শুধু ১ টি মাছ বিক্রি করেই ফকির থেকে হয়ে গেছেন রাজা!

শুধু ১ টি মাছ বিক্রি করেই ফকির থেকে হয়ে গেছেন রাজা! রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন বছর ১৯ এর তরুন!

 

শুধু ১ টি মাছ বিক্রি করেই ফকির

থেকে হয়ে গেছেন রাজা!

 

হঠাৎ করেই  ঘুরে গেছে ভাগ্য!

 

রাতারাতি কোটিপতি হয়ে

গেলেন বছর ১৯ এর তরুন!

 

কি এমন মাছ বিক্রি করলেন যে

এক রাতেই কোটিপতি হয়ে গেলেন?

 

আচ্ছা বড়লোক হতে কে না চায় বলুন তো! কিন্তু বড়লোক হওয়া তো আর মুখের কথা নয়। অনেকে আবার ভাবেন যদি বড়লোক হওয়ার মন্ত্র থাকতো। তাহলে রাতদিন জপ করেই বড়লোক হওয়া যেত। লটারি কেটে রাতারাতি বড়লোক হওয়া যায় নিশ্চয়ই শুনেছেন! কিন্তু মাছ ধরে বড়লোক হওয়ার কথা শুনেছেন কখনো? হ্যাঁ এবার মাছ ধরেই বড়লোক হয়েছেন বছর ১৯ এর তরুন। এক টোপেই, এক বড়শিতেই ধরেছেন এই মাছ। ব্যাস এই মাছ বিক্রি করেই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠেছেন। কোটিপতি হওয়া এই মাছের নাম বারামুন্ডি। অনেকে আবার এই মাছকে ভেটকি মাছের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে থাকে। আর এই মাছ এক পিস বিক্রি করেই তিনি কোটিপতি হয়ে উঠেছেন। ঠিকই শুনছেন মাত্র একপিস! এই তরুণ ক্যাথরিনের বাসিন্দা। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভেটকি প্রজাতির বারামুন্ডি মাছে কি এমন আছে? যা কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে । এটা কোনও বিরল মাছও নয়, তাহলে এর বিশেষত্ব কি?

 

ইতিমধ্যেই এই খবর সারা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছ। তবে জানিয়ে রাখি এই মাছ ভেটকির মতন সাধারণ হলেও এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অসাধারন গুন। এই একটি মাছ বহু মুল্যবান। মূল্যবান হওয়ার আসল কারণ আপনাদের জানাই। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দানের টেরিটোরি রাজ্যে। প্রতিবছর এই টেরিটোরি রাজ্যে *মিলিয়ন ডলার ফিশ* প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৯ বছর ধরে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসা হচ্ছে। অক্টোবর থেকে শুরু হয় মার্চ মাস পর্যন্ত চলে এই কম্পিটিশন। এবছরও এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তবে এবার তার সময়সীমা বেড়ে গিয়ে এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। আর অক্টোবর মাসে শত শত মাছ নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই মাছের মধ্যে একটি বিশেষ শনাক্তকরণ যন্ত্র ফিট করা থাকে। যা দেখেই সহজেই চিহ্নিত করা যায়। আর এবারের প্রতিযোগিতায় ভেটকি প্রজাতির বারামুন্ডি মাছ ছাড়া হয়। যার মধ্যে লাগানো ছিল বিশেষ এই শনাক্তকরণ যন্ত্র। জানা যায়,  এই মাছের পুরষ্কারমূল্য ছিল ১০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম প্রায় ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮ টাকা। যিনি মাছটি ধরবেন তার হাতে নগদ এত টাকা তুলে দেওয়া হবে। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন ১৯ বছরের তরুন, নাম কিগান পেইন। আর তার ভাগ্যের বড়শিতেই এই মাছ লাগে। তবে প্রথমে এই মাছটি ধরার পর ভেবেছিলেন এটি সাধারণ তেলাপিয়া মাত্র। তাই আবারও মাছটিকে জলে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছেলেটির বোন অ্যাডাসিন পর্যবেক্ষণ করার পর বুঝতে পারেন এর মধ্যে ওই শনাক্তকরণ যন্ত্র লাগানো রয়েছে। আর এটাই সেই মাছ যার মূল্য ৫ কোটি টাকা। এরপর কিগান প্রতিযোগিতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে তার হাতে ১০ লাখ ডলারের চেক তুলে দেন। কিগানকে এই টাকা নিয়ে কি করবে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান তার অনেক বড় পরিবার। তাকে নিয়ে প্রায় ৮ জন সদস্য। এই টাকা দিয়ে তিনি প্রথমে মা-বাবার ঋণ শোধ করবেন। এরপর তিনি কি করবেন না করবেন পরে ভেবে দেখবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *