Title: অনুব্রতর ডেরাই পাখা মেলছে অন্য কেউ! কার এতো বড় সাহস কেষ্টপুরে চোখ রাঙাচ্ছে?
Focus:
অনুব্রতর ডেরাই পাখা
মেলছে অন্য কেউ!..
কার এতো বড় সাহস
কেষ্টপুরে চোখ রাঙাচ্ছে?!
কেষ্টযুগ এখন পুরোটাই অতীত!
আর গুঁড় বাতাসা নয়
এবার হাতে উঠবে বড় বড় মোয়া!
কে বাজাবে
চরাম চরাম ঢাক?
বীরভূম দখল করছে
অন্য কেউ!
দেখুন
Body:
অনুব্রত মন্ডল! নামটাই যথেষ্ট। একসময় এই নামেই গোটা বীরভূম কাঁপতো। কেষ্টর অঙ্গুলিহেলনে একটা পাতা পর্যন্ত নড়ার ক্ষমতা ছিল না। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ভোট এলেই সবার আগে নাম উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের। তিনি একাই ভোটের ময়দান দাপিয়ে বেড়াতেন। ভোটের বাদ্যি বাজলেই বোলপুরে কেষ্টর তৃণমূল কার্যালয়ে রীতিমতো ভরে উঠত। পিঁপড়ে পর্যন্ত ঢোকার জায়গা থাকতো না। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সকলকেই এই কার্যালয়ে ভিড় জমাতে দেখা যায়। তিনি শুধু দাপুটে নেতাই নন, বক্তৃতা দিতেও ওস্তাদ। কিন্তু সেসব এখন অতীত! বীরভূমে কেষ্টর বাঁশি বাজানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনুব্রতর ডেরা কাঁপাচ্ছে অন্য কেউ। কেষ্টর চ্যাপ্টার ফুল ক্লোজ ! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কার এত সাহস হল যে, অনুব্রতকে টেক্কা দিচ্ছে? তাঁর ডেরায় বসেই তাকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে। শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা ভোট! এই প্রথম ব্রতহীন বীরভূমে লোকসভা ভোট হতে চলেছে। কেষ্টকে পাওয়া যাবেই বা কি করে? তাঁর ঠিকানা যে এখন তিহাড়! গরুপাচার কাণ্ডে তিনি বন্দি হয়ে আছেন তিহাড় জেলে। আর যার জেরেই বোলপুরের কার্যালয়ে কাক পক্ষীর টের পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছেনা। এই কার্যালয়ে বসেই একের পর এক ভোট করিয়েছেন বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ২৪ এর লোকসভা ভোটে এইকাজ এবার কে করাবে? তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের ভোটে তৃণমূল এই জেলার জন্য কোর কমিটির গঠন করে দিয়েছে। আর এই কমিটির উপরই সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । আলাদা করে কোনও নেতাকে এই দায়িত্ব আর দেওয়া হয়নি। তবে অনুব্রতহীন বীরভূম ঠিক কতোটা প্রভাব ফেলতে পারে সেটাও এখন ভাবার বিষয়। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে অনুব্রতর মুখ থেকে শোনা যায় বীরভূমে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। আর সত্যি সত্যি ভয়ঙ্কর খেলাও হয়েছিল। বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই শাসকদলের হাতের মুঠোয় আসে। কিন্তু ২০২৪ সেই একই খেলা কি দেখা যাবে? কোর কমিটির সদস্যদের মতে, অনুব্রত মন্ডলের মত সংগঠন আর কেউ তৈরি করতে পারেননি। তিনি নম্বর ওয়ান! তবে এবার তিনি না থাকলেও তাঁর সাজানো সংগঠনকেই তুলে ধরে লোকসভার ভোট করা হচ্ছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী থেকে শুরু করে অভিষেক ব্যানার্জীও রীতিমত উঠে পড়ে লেগেছে। একচুল জমি ছাড়তে নারাজ শাসকদল। এবারে বীরভূমে তৃনমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় এবং বোলপুরের প্রার্থী অসিত কুমার মাল। দুজনেই এখন তুমুল ব্যস্ত, জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট প্রচার। তবে অনুব্রতর অনুপস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপিও। মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, যোগী সকলেই এখন বীরভূমকে নিশানা করেছেন। দফায় দফায় এসে প্রচার চালাচ্ছেন। এবার দেখার বিষয় বীরভূমের বাঘ ছাড়া কতোটা ছাপ ফেলতে পারে শাসকদল।
Leave a Reply