উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়া সৌম্যদীপ বলল, সবাই ডাক্তার হলে রোগী হবে কে?
উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়া সৌম্যদীপ বলল, সবাই ডাক্তার হলে রোগী হবে কে? সে হতে চাই না ডাক্তার,
হতে চাই না ইঞ্জিনিয়ার! সে হতে চাই অন্য কিছু! রাজনীতি তার ভালো লাগে না, মোবাইল ফোন তার কাছে বড্ড বিরক্তিকর! সাঁতার তার বড্ড প্রিয়, ঠাকুরের প্রতি তার অগাধ ভক্তি।
এই ছেলে কিনা আজকের যুগে ছেলে! ভাবা যায়? ভাবতে পারছেন? বিশ্বাস হচ্ছে এই কথাগুলো বলছে ২০২৪ সালে এক যুবক। ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন পড়ুয়ার সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে ছিল সে। ভাবেনি এত ভালো রেজাল্ট করবে। সর্বক্ষণ নিজের লক্ষ্যের প্রতি ছুটে গিয়েছে। তার পরিশ্রম বৃথা যায়নি। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। সৌম্যদীপ এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অন্যতম কৃতি ছাত্র। এমন খুশির সংবাদে একেবারে আপ্লুত, আনন্দে আত্মহারা সে।
আজকালকার যুগে ছেলেদের থেকে একেবারে আলাদা সৌম্যদীপ। কন্ঠে তার আত্মবিশ্বাস দুচোখে তার বিশাল স্বপ্ন। বড্ড ব্যতিক্রম সে। তার হাতে ওঠে না স্মার্ট ফোন, তার বদলে ওঠে মোটা মোটা অংকের বই। সৌম্যদীপ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক ছাত্র। বরাবর অংক কষতে ভালবাসে। আগামী দিনে সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনো করতে চায় সে। স্বপ্ন তাঁর, অনেক বড় স্ট্যাটিসটিকস হবে। আইএসআই-তে পড়াশুনো করবে।
কখনো ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করেন। ভালোবেসে মন দিয়ে যখন যতটুকু পড়েছে তাতেই তার এই রেজাল্ট। পড়াশোনার পাশাপাশি সেই ভালোবাসে সাঁতার কাটতে আবৃত্তি করতে। জীবনে বড় মানুষ হতে চাই সৌম্যদীপ। দুর্ধর্ষ নজরকাড়া রেজাল্টের কৃতিত্ব সে ভাগ করে নিয়েছে তার বন্ধু এবং দাদার সঙ্গে। ব্যক্ত করেছে কিভাবে তার কাছের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছে।
কোথাও গিয়ে যেন বারে বারে মনে হয় সৌম্যদীপ বয়সের তুলনায় অনেকটাই যেন পরিণত আর সত্যিই তাই। সবাই যদি ডাক্তার হয় রোগী হবে কে? তার এই কথা থেকেই বোঝা যায় সে কতটা দূরদর্শী সম্পন্ন। আধুনিকতার মোড়কে মোড়ানো এই সমাজে, যখন কিছু ছেলে মেয়ে আদর্শ নিয়মানুবর্তিতাকে বিসর্জন দিচ্ছে,,, সেখানে দাঁড়িয়ে সৌম্যদীপরা বারে বারে এটাই প্রমাণ করে দিয়ে যায় সংস্কৃতি, সভ্যতা, আদর্শ এখনো মরে যায়নি ….. এগুলো আজও
Leave a Reply