রোজ পাতে রাখুন কুড়ি টাকা আঁটির এই শাক!

Title:
রোজ পাতে রাখুন কুড়ি টাকা আঁটির এই শাক! এটি পেটে গেলেই ক্যান্সারের জীবাণু বাপ বাপ করে পালাবে!

Focus:

রোজ পাতে রাখুন কুড়ি
টাকা আঁটির এই শাক!

এই একটি শাকেই রয়েছে ক্যান্সার
তাড়ানোর ওষুধ!

সামান্য এই খাবারেই রয়েছে,
৫০ রকমের ভেষজ প্রোটিন!

শুধু ক্যান্সারই নয় গুনে গুনে চারটি
রোগ নিরাময় করে এই শাক!

টানা সাতদিন খেলেই কাবু হয়ে
যাবে বড় বড় রোগ ব্যাধি!

আজকাল ঘরে ঘরে রোগ বালাই! ৮ থেকে ৮০ কারোরই নিস্তার নেই রোগের থেকে। এই রোগের কবলে পড়ে দিনের পর দিন খেতে হচ্ছে ঝুড়ি ঝুড়ি ট্যাবলেট, ক্যাপসুল। ডাক্তারের পিছনেই চলে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবুও যেন রোগ পিছু ছাড়ছে না। আর আজ এই রোগের কবলে পড়ে বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। তবে এবার বড় বড় রোগ থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য হাতে এসেছে মোক্ষম অস্ত্র। এই ওষুধ পেটে পড়লেই বাপ বাপ করে পালাবে ক্যানসার থেকে শুরু করে ভয়ংকর চারটি রোগ। তবে এটি কোন অ্যালোপ্যাথিক কিংবা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নয়। একেবারে ভেষজ ওষুধ! এই ভেষজ ওষুধ টক্কর দেবে লাখ লাখ টাকার ওষুধকেও। মাত্র ২০ টাকাতেই বাজারে পাওয়া যাবে এটি। আর এই ওষুধের নাম হচ্ছে পুঁইশাক। গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে এই শাক প্রায় দেখা যায়। পুঁইশাকে লুকিয়ে রয়েছে বড় বড় অসুখ কাবু করার মন্ত্র। প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখুন এই শাক। সাতদিন খেলেই ধরা পড়বে তার গুন। কোন কোন রোগ কাবু করে দেখে নিন-

এক, ক্যান্সার:

ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ আর একটিও নেই। এই মুহুর্তে এই মারণব্যাধি যেনো ছোঁয়াচে রোগে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য সকলে প্রতি নিয়ত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার ক্যান্সারের মতো বড় রোগকে ধোলাই করে ছাড়বে পুঁই শাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পুঁই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ এবং ফাইবার। এই উপাদানটি ক্যান্সারের যম। প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখলে ক্যান্সারের কোষ এমনিই দূর হয়ে যাবে। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে বড় ওষুধ এটি।

দুই, ডায়াবেটিস:

ডায়াবেটিসের মত ভয়ঙ্কর রোগকেও খুব সহজেই নিরাময় করে দেয় এই শাক। শরীরে যখন ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন পুঁইশাক অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে পুঁইশাকের বীজ রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ , ভিটামিন সি। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

তিন, রক্তচাপ:

মানবদেহের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এই শাকটি অত্যন্ত ফলদায়ক। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, পুঁইশাকে রয়েছে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম। এই পটাশিয়ামই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। টানা সাত দিন এইসব খেলে রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আসে।

চার, অ্যাজমা:

আজকাল প্রায় সকলের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিচ্ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই এই রোগে আক্রান্ত। তবে এই রোগ থেকেও মুক্তি দিচ্ছে পুঁইশাক। কারণ এই শাকে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা অ্যাজমা প্রতিহত করতে বিশেষভাবে সক্ষম।

পাঁচ, দৃষ্টিশক্তি:

চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে চোখের সমস্যা দূর করতে পুঁইশাক মোক্ষম দাওয়াই। কারণ পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ। যা চোখের রেটিনা এবং কার্নিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে করে চোখের দৃষ্টি শক্তিও ভালো থাকে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে খাবেন এই শাক?

প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখলে বড় বড় রোগের যম হয়ে উঠবে পুঁই শাক। আপনি চাইলে ভাজাও খেতে পারেন এবং তরকারি করেও খেতে পারেন। এটা আপনার নিজের পছন্দের বিষয়। তবে চেষ্টা করবেন বেশি মশলা দিয়ে না খাওয়ার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *