Title: ক্রিকেট ছেড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি হয়ে উঠেছেন ফল বিক্রেতা! দামী দামী ফল রপ্তানি করে দুহাত ভরে কামাচ্ছেন টাকা,
Focus:
ক্রিকেট ছেড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি হয়ে
উঠেছেন ফল বিক্রেতা!
নিজের হাতেই করছেন চাষ!
ধোনির বাগানে রয়েছে
বহুমূল্যবান ফল!
সেই ফল রপ্তানি করে
দুহাত ভরে কামাচ্ছেন টাকা!
সোনার দামে বিক্রি
হচ্ছে সেই ফল,
এক একটি ফলের দাম শুনলে
চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসবে!
Body:
মহেন্দ্র সিং ধোনি! ক্রিকেট জগতের অন্যতম নক্ষত্র। তাঁর মতন স্ট্যাম্পিং কেউ করতে পারে না এমনটাই মনে করেন তার অনুগামীরা। গোটা ভূ- ভারতে খুঁজে বেড়ালেও মহেন্দ্র সিং ধোনির মত ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া দুর্লভ ব্যাপার। মাত্র ০.০০৮ সেকেন্ডে স্ট্যাম্পিং করা মানুষটির হাত ধরেই ভারত দ্বিতীয়বারের মত ছিনিয়ে নেয় বিশ্বকাপ। তার ব্যাটে ছক্কা উঠলে গোটা স্টেডিয়াম কাঁপতে থাকে। যদিও আন্তর্জাতিক খেলা থেকে বিদায় নিয়েছেন কয়েক বছর হয়েছে। তবে আইপিএলের ময়দান তিনি এখনো কাঁপাচ্ছেন। তার ক্রিকেট দক্ষতা নিয়ে তো সকলেরই জানা। তবে এটা কি জানেন তিনি একজন দক্ষ চাষি। ক্রিকেট ছেড়ে তিনি এখন নাম লিখিয়েছেন চাষাবাদের কাজে। জমির পর জমি চাষ করে ফলান বহুমূল্যবান ফল। এই ফলের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। আর সেই ফলই বিক্রি করে কামাচ্ছেন মুঠো মুঠো টাকা। বস্তা বস্তা ফল পৌঁছে যাচ্ছে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। চাষাবাদ করে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন আরো বড়লোক।
জানা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিকেটের পাশাপাশি অবসর সময় চাষাবাদ করতে বড্ড ভালোবাসেন। আর এই চাষাবাদের টানেই তিনি রাঁচির সাম্বোতে একটি ফার্ম হাউজ খোলেন। প্রায় ৪৩ একর জমির ওপর নিজের স্বপ্নের ফার্ম হাউজটি তৈরি করেছেন। ভালোবাসে তার নামও দিয়েছেন ইজা ফার্ম। ভারতের অধিনায়ক থাকাকালীন তিনি খুব একটা সময় দিতে পারতেন না এখানে। আন্তর্জাতিক খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেন ফার্ম হাউজটিকে নিজের মত করে বানানোর। এই ফার্ম হাউজে ২৪ ঘন্টা দেখাশোনার লোকও রয়েছে। তবুও তিনি সুযোগ পেলেই চাষের কাজে হাত লাগান। এমন কোনও ফল নেই এখানে চাষ হয় না। তরমুজ থেকে শুরু করে পেঁপে, আম, আপেল, পেয়ারা, আনারস প্রায় সবই চাষ হয়। এখন নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে এগুলিতো প্রায় সব বাড়িতেই চাষ হয়। তবে এর মধ্যে কোনটি দামী? হ্যাঁ এগুলির মধ্যে কোনোটাই দামী নয়। আসল দামী ফলটি হচ্ছে ড্রাগন ফল। মহেন্দ্র বাবুর বাগানেই চাষ হয়ে থাকে এই ফল। ভারতের কোন চাষীদেরই তেমন একটা ড্রাগন চাষ করতে দেখা যায় না। এত দামি ফল চাষ করতে গেলেও পয়সাও খরচ করতে হয়। তবে ভারতে চাষ না হলেও এই ফলের ব্যাপক চাহিদা ভারতীয়দের মধ্যে। একেই বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে এই দেশে আসে। যার জেরে বাজারে এর দাম প্রায় অগ্নি ছোঁয়া। এক কেজি ড্রাগন ফলের দামই প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর সেই ফলই চাষ করা হয় ধোনির বাগানে। শুধু চাষই নয় রপ্তানিও চলছে দেদার। প্রতিবছর কেজি কেজি ড্রাগন ফল এই বাগান থেকে পৌঁছে যাচ্ছে দুবাই থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। বিক্রি করে বেশ মোটা অঙ্কের টাকাও কামাচ্ছেন তিনি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ড্রাগন ফল রপ্তানি করে তিনি লাখেরও বেশি টাকা কামিয়ে থাকেন। ভারতেই এই ফলের এত চাহিদা,,,,,,,,,,বিদেশে তো আরো বেশি। তাহলে বুঝতেই পারছেন ক্রিকেটার বিদেশে ড্রাগন ফল বিক্রি করে ঠিক কত টাকা ইনকাম করছেন। শুধু ড্রাগন ফলই নয় সেই সাথে লিচু, স্ট্রবেরি, ব্রকলি,ফুলকপি,জলপাই,টমেটো মুলো সবই চাষ হয় ধোনির ফার্ম হাউসে। মহেন্দ্র সিং ধোনি চাষ করতে ঠিক কতটা ভালোবাসেন, তা তাঁর ইনস্টাগ্রাম দেখলেই বোঝা যায়। সেখানেই তিনি নিজের যাবতীয় চাষাবাদের ভিডিও পোস্ট করে থাকেন। এমনকি তাকে নিজের হাতে ট্রাক্টর চালাতেও দেখা গিয়েছে।
Leave a Reply