চরম ভোগান্তি চাকরি হারাদের! ফের ঝুলে রইল
চাকরি হারাদের ভবিষ্যৎ, কাল সুপ্রিম কোর্টে দিনভর
কি কি হলো দেখুন এক নজরে –
চরম ভোগান্তি
চাকরি হারাদের!
ফের ঝুলে রইল
চাকরি হারাদের ভবিষ্যৎ!
কার চাকরি যাবে?
কার চাকরি থাকবে?
এ এক ভয়ংকর টানাপোড়েন!
কাল সুপ্রিম কোর্টে দিনভর
কি কি হলো দেখুন এক নজরে –
২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ন প্যানেল বাতিল, যা নিয়ে তোলপাড় গোটা বঙ্গ রাজনীতি! এই মামলাকে কেন্দ্র করে,,,, উত্তপ্ত কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও প্রকার শর্তহীন স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। ১৬ জুলাই পুনরায় এই মামলার রায় দেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত সমস্ত চাকরি বহাল থাকবে। তবে ১৬ই জুলাইয়ের শুনানিতে যে সমস্ত চাকরিজীবীদের অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হবে তাদের চাকরি বাতিল হবে এবং তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,,,, যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের যোগ্যদের থেকে আলাদা করা যায় কিনা এবং করা গেলেও তা কিভাবে করা যায় সেই বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানান –
ন্যায়ের স্বার্থে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আপাতত চাকরি সুরক্ষিত থাকছে। তবে যারা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে চাকরি করে যাবেন, তাদের চাকরি বাতিল হবে এবং তখন বেতন ও ফেরত দিতে হবে।
এই গোটা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ ছিল –
‘ সরকারি চাকরি এমনিতেই দুর্লভ। তার মূল্য মানুষের কাছে অনেক। কারণ মানুষ সরকারি চাকরিকে সামাজিক উন্নতির পথ হিসেবে দেখেন। সেই সরকারি নিয়োগে যদি এমন অনিয়ম হয় তাহলে মানুষের আস্তাই চলে যাবে! এটা সিস্টেমিক ফ্রড!!!! যদি সরকারি নিয়োগও কালিমালিপ্ত হয়, তাহলে আর গোটা ব্যবস্থায় কি পরে থাকবে? মানুষ যদি আস্থা হারায় কিভাবে তার মোকাবিলা করবেন?’
এমনই ঝাঁঝালো পর্যবেক্ষণের সাথে সাথে বেশকিছু হাই ভোল্টেজ প্রশ্নও তিনি ছুঁড়ে দেন
১,
কেন ওএমারশিট সংক্রান্ত তথ্য একটি বেসরকারি সংস্থা নাইসার হাত থেকে অন্য বেসরকারি সংস্থা ডেটা স্ক্যান টেকের হাতে চলে গেল?
২,
কেনই বা ওএমারশিট সংক্রান্ত নথি নষ্ট করে ফেলা হলো?
৩,
পরীক্ষার উত্তরপত্রের গোপনীয়তা রক্ষায় এসএসসির দায়িত্ব নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠল!
৪,
২০১৬ সালের যে নিয়োগ প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন সেই প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করতে কেন অতিরিক্ত পদ অর্থাৎ সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান –
“সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। শিক্ষা সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিমকোর্টকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।”
অপরদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনিও বলেন –
“অযোগ্যদের জন্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার মন্ত্রিসভাকে জেলে পুড়বে। তাই এই আদেশকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
Leave a Reply