বিশ্বের ধনকুবেরের স্ত্রী মাত্র ৮০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন,

Title: বিশ্বের ধনকুবেরের স্ত্রী মাত্র ৮০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন, ৮০০ টাকা নিয়েই চালাতেন সংসার! বিয়ের আগে এই কাজ করতেন নীতা আম্বানি,

 

Focus:

বিশ্বের ধনকুবেরের স্ত্রী মাত্র ৮০০
টাকার বিনিময়ে করতেন কাজ!

আজ যার একটি লিপস্টিকের
দাম শুরু হয় ৪০ লাখ টাকা দিয়ে,

এমনকি কোটি টাকার হার নাহলে
যেখানে সাজ সম্পূর্ণ হয় না!

একসময় মাত্র ৮০০ টাকা দিয়েই
দিন চলতো নীতা আম্বানির!

এত শিক্ষিত হয়েও এই টাকার
কাজটিকেই বেছে নেন তিনি,

কি কাজ করতেন মুকেশ পত্নী?
কেনোইবা ৮০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন?

দেখুন আজকের প্রতিবেদনে

Body:

ভারতবর্ষের সবচেয়ে অভিজাত এবং কোটিপতি পরিবার আম্বানি পরিবার। তাদের হেনো কেনো বিষয় নেই যা নিয়ে আলোচনা হয় না। আম্বানি পরিবার বলে কথা,,,,,, তারা চাইলে সোনার জল দিয়েও স্নান করতে পারেন। আবার চাইলেও হীরের মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে পারেন। শুধু কি তাই তাদের জুতোও বোধ হয় প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি এমনটাই মনে করেন সকলে। তবে আম্বানি পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত মেম্বার হচ্ছেন নীতা আম্বানি। তাঁর লাইফস্টাইল থেকে শুরু করে হীরে,জহরত, দামী দামী পোশাক সবই আলোচিত। ছেলের প্রি ওয়েডিং বিয়েতে অনন্ত কিংবা রাধিকা নয় বরং তাক লাগিয়েছিলেন নীতা আম্বানি। তবে জানেন আজ যিনি ৫০০ কোটি ৪০০ কোটি টাকার শাড়ি পড়ছেন। একসময় তাঁর মাসিক বেতনই ছিল ৮০০ টাকা। ৪০ লাখের লিপস্টিক ঠোঁটে লাগানো তো দূর, মাস গুনে ১০০০ টাকাই ইনকাম করতে পারতেন না। কোটি টাকার শাড়ি পড়া সেই সময় ছিল তাঁর কাছে দিবা স্বপ্নের মতো। দিনরাত পরিশ্রম করে মাসের শেষে হাতে আসতো ৮০০ টাকা। আর এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন খোদ নীতা আম্বানি।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আম্বানি পরিবারকে একত্রে দেখা যায়। সেখানে নানা ধরনের কথার ছলে এই কথাটি উঠে আসে। নীতা আম্বানি জানান তিনি একসময় ৮০০ টাকা বেতনের কাজ করতেন। জানা যায়, নীতা আম্বানি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তবে কখনোই অভাব কিংবা দারিদ্রতা সেভাবে তাকে ছুঁতে পারেনি। মধ্যবিত্ত হলেও দিন তাদের বেশ ভালোই চলে যেত। ছোটো থেকেই পড়াশোনার প্রতি অমোঘ আকর্ষণ। নিজে যেমন পড়াশোনা ভালোবাসেন তেমনি পড়াতেও ভালোবাসেন, বিশেষ করে বাচ্চাদের। তিনি জানান বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে খুব ভালোলাগে। তখন সদ্য কলেজ পাশ করেছেন। চাকরীর খোঁজে এদিক ওদিক ঘোরা শুরু করেন। সেইসময় তিনি ভাবলেন চাকরী যখন করতেই হবে তার চেয়ে ভালো বাচ্চাদের পড়ানো। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বেশ কয়েকটি স্কুলে যোগাযোগও করেন। এরপর সেন্ট ফ্লাওয়ার নামক একটি নার্সারি স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পান। আর নার্সারি স্কুল মানেই অনেক বাচ্চা। এই সুযোগ তিনি একেবারে লুফে নেন। স্বল্প টাকা বেতন দিলেও তিনি সেখানেই পড়াতে রাজি হয়ে যান। মাত্র ৮০০ টাকার বিনিময়ে তিনি এই স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতেন। নীতা আম্বানি চাইলে অন্য কোনও বড় অফিসেও কাজ করতে পারতেন। তবে তিনি তা করেননি। বেশ কয়েক বছর তিনি স্কুলে কাজও করেন। এরপর ধীরুভাই আম্বানির বড় ছেলের পুত্রবধূ করার জন্য বেছে নেন নীতা আম্বানিকে। বেশ জাঁকজমক ভাবে বিয়েও হয় তাদের। তবে বিয়ে করার আগে নীতা শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন যে তাকে এই স্কুলে পড়াতে দিতে হবে। ধীরুভাই আম্বানি এবং মুকেশ আম্বানিও এই শর্ত মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ির বউ অন্যের হয়ে কাজ করবে এই নীতি মোটেও পছন্দ ছিল না আম্বানি পরিবারের। যদি স্কুল চালাতেই হয় তাহলে আম্বানিদের স্কুলই তিনি পরিচালনা করুক। এরপর তার হাতে ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। আর আজ তাঁর হাত ধরে স্কুলটি এতো বড় জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যেখানে নিজেদের সন্তানদের পড়াশোনা করানোর জন্য বলিউডের তারকারা পর্যন্ত ভিড় জমায়। বিয়ের পর থেকেই নীতা আম্বানির গোটা জীবনটাই বদলে যায়। লাইফস্টাইল থেকে শুরু করে সাজ পোশাক সবকিছুই বিলাসিতার মধ্যে কাটান। কোথায় সেই ৮০০ টাকার বেতন আর এখন কোথায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কর্ণধার , সেই সাথে রিলায়েন্স গ্রুপের মালকিন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *