Titel: ছাতা হাতে তৈরি থাকুন! কিছুক্ষণ পর বিধ্বংসী রূপে হাজির হবে কালবৈশাখী! আরোও এতদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি?
Focus:
ছাতা হাতে তৈরি
থাকুন বঙ্গবাসী!
আবারো কয়েকঘন্টার মধ্যে বিধ্বংসী রূপে
হাজির হবে কালবৈশাখী!
ফুলে ফেঁপে উঠেছে বঙ্গোপসাগর!
বৃষ্টির সিংহদুয়ার এখনই
বন্ধ হচ্ছে না!
টানা চলবে
ঝড়বৃষ্টির তান্ডব!
বৃষ্টির দাপটে স্বস্তি মিলবে
পশ্চিমবঙ্গবাসীর!
কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে
জারি করা হলো সতর্কবার্তা!
কোন কোন জেলায় হবে বৃষ্টি?
কতদিন চলবে কালবৈশাখীর তান্ডব?
সামনে এলো আবহাওয়ার
মেগা আপডেট
Body:
অবশেষে এতদিনে হাজির হয়েছে কালবৈশাখী। গোটা বঙ্গবাসীর মুখে জ্বলজ্বল করছে খুশির ঝিলিক। বিগত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হবে হবে বলেও হচ্ছিল আর না। রবিবার দিনও বঙ্গজুড়ে বৃষ্টি হবার প্রবল সম্ভবনা দেয় হাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টির আর দেখা মেলেনি। সোমবারেও হাওয়া অফিস আবারো কালবৈশাখীর বার্তা পৌঁছে দেয়। তা সত্ত্বেও মুখ ভারি ছিল সকলের। ভেবেই নিয়েছিলেন বৃষ্টি হয়তো আর হবে না। সপ্তাহের শুরুতে এই দীর্ঘ দহন জ্বালা থেকে শেষমেষ মুক্তি মিলেছে। সন্ধ্যে হতেই কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হয়। বৃষ্টির বেগ কড়কড়ে বজ্রপাত মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়। তবে জানিয়ে রাখি এই মুহূর্তে হাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃষ্টির বেগ আরো বাড়বে। এত সহজে বঙ্গ থেকে বিদায় নিচ্ছে না কালবৈশাখী। টানা শুক্রবার পযর্ন্ত চলবে বৃষ্টি। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অবধি কালবৈশাখীর সতর্কবার্তা রয়েছে।
সম্প্রতি বৃষ্টির নয়া আপডেট হাজির করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জানা গিয়েছে সোমবার বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৪০ থেকে ৩০ ডিগ্রির ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গরম কিংবা সূর্যের তেজ তেমন একটা নেই বললেই চলে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর অনুসারে এই বৃষ্টি শুধু সোমবারই নয় চলবে টানা শুক্রবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার মোট ১১ টি জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতা, হাওড়া, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলী এবং দুই ২৪ পরগনায় কালবৈশাখী মারমুখী হয়ে উঠবে। শুধু মঙ্গলবারই নয় আগামী ৪৮ ঘন্টা এই জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে বৃষ্টির পাশাপাশি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার অবধি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই বৃষ্টির জেরে চাষাবাদেও ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা মঙ্গল। সোমবার বজ্রবিদ্যুতের যে ভয়ংকর ইনিংস দেখা গিয়েছে তাতে করে বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়াবিদরা। বজ্রপাতের সময় যাতায়াত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে কোন সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নিন। তীব্র বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন অলিগলি জলে ভরে যেতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কথা অনুযায়ী, ঝাড়খন্ডে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত । আর এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়। ফলত প্রচুর প্রচুর জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগর দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করছে। এতে করে আগামী শুক্রবার পযর্ন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই খবর। যা বঙ্গবাসীদের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে বঙ্গবাসীদের জন্য আনন্দের খবর হলেও অন্যদিকে সুন্দরবনে টর্নেডোর সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। উপকূল এলাকায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে সমুদ্র। দুর্যোগের কথা ভেবে সেখানকার বাসিন্দাদের আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিও এখন অনেক ঠান্ডা। এখানকার জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply