কি পার্থ? কি অর্পিতা? এনারা দুজন অতীত! এবার মন্ত্রী ঘনিষ্টের বাড়ি থেকে বেরোল আস্ত টাকার পাহাড়
কি পার্থ? কি অর্পিতা?
এনারা দুজন অতীত!
এবার মন্ত্রী ঘনিষ্টের বাড়ি
থেকে বেরোল আস্ত টাকার পাহাড়!
যা গুনে গুণে
শেষ করা যাবে না!
দেখুন সেই গুণধর
মন্ত্রীকে!
মনে আছে তো শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডের দুই মূল কান্ডারী পার্থ অর্পিতাকে? এদের ভুলে যাওয়া অবশ্য এত সহজ নয়! কারণ এই দুজনের হাত ধরেই বাংলার মানুষ প্রথমবার একসঙ্গে কোটি কোটি টাকার পাহাড় দেখেছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন এক কালে শিক্ষামন্ত্রী, এদিকে অর্পিতা মুখার্জি যিনি মন্ত্রী , মিনিস্টার কিছুই নন, ইনি ছিলেন পার্থ বাবুর ঘনিষ্ঠা বান্ধবী! এই দুই মাস্কেটিয়ার্স এর বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল কালো টাকার বিশাল পাহাড়! যা আজও চোখে ভাসলে ধাঁধা লাগে।।
তবে এবার পার্থ অর্পিতার মতন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাল এক মন্ত্রী ঘনিষ্ট ব্যক্তি। এই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এর হাত ধরে দেশবাসী ফের একবার একই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল। এই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কুড়ি কোটি টাকার কালো ধন। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠর কালো ধনের গুদাম দেখে তাজ্জব ইডি আধিকারিকেরা। তবে এই মন্ত্রী মশাইয়ের ঘনিষ্ঠ লোকটি পশ্চিমবঙ্গের নন। ইনি হলেন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারক। যার বাড়ি থেকে নগদ কুড়ি কোটি টাকা বেড়িয়েছে।
ইডি আধিকারিকদের দাবি গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরন্দ্র কে রাম আর্থিক তছরূপ মামলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর এই মামলাতেই জড়িয়ে ছিলেন সঞ্জীব। এই অনুমান নিয়েই মূলত অভিযান চালাই এই ইডি। আর অভিযান চালাতেই সঞ্জীবের পরিচালকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে কারি কারি টাকা। আপনাদের জানিয়ে রাখি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডের ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। মূলত দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই বীরেন্দ্রর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সঞ্জীবের যা তল্লাশিতে অনেক আগেই দিদির হাতে উঠে আসে। এরপর বীরেন্দ্র কাণ্ডের কুল কিনারা করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ইডির হাতে উঠে আসে আরও অনেক তথ্য।
এই দুর্নীতি কাণ্ড বাংলায় না ঘটলেও বাংলাকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ২০২২ সালের পার্থ অর্পিতার শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির কথা।
Leave a Reply