ভারতেই রয়েছে ১টি মাত্র অদ্ভুতেড়ে মন্দির!

Title: ভারতেই রয়েছে ১টি মাত্র অদ্ভুতেড়ে মন্দির! যেখানে যাওয়ার নাম শুনলে হাঁটু কাঁপে সকলের, আশীর্বাদ নয় বরং এখান থেকে পাওয়া যায় অভিশাপ!

 

Focus:

ভারতেই রয়েছে  ১টি মাত্র
অদ্ভুতেড়ে মন্দির!

 

এখান থেকে আশীর্বাদ নয় বরং

পাওয়া যায় অভিশাপ

 

যেখানে যাওয়া তো দূর কেউ

মাথা তুলে পর্যন্ত তাকাতে পারে না!

 

মন্দিরে পা রাখলেই

শিউরে ওঠে গা!

 

সন্ধ্যে হলেই শুরু হয়ে যায়

অদ্ভুতেড়ে সব কাণ্ড!

 

ভারতের কোথায় আছে

এই মন্দির?

 

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক,,,,,,,,বাংলা হান্টের আজকের প্রতিবেদন থেকে জানবো এই অদ্ভুতেড়ে মন্দিরের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে।

 

Body:

এই ভারত জুড়ে অসংখ্য দেব-দেবীদের মন্দির। মন্দির ছাড়া ভারত কল্পনা করাও যেন বৃথা। এই গোটা ভারতেই রয়েছে ৩৫ লক্ষেরও বেশি মন্দির। হিন্দুরা তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর উপাসক। তাই মন্দিরের অভাব হয় না। মানুষ মন্দিরে যায় পূজো করে ভগবানের কাছে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। তবে যদি বলি মন্দিরে শুধু আশীর্বাদ নয় অভিশাপও পাওয়া যায়। কি শুনে চমকে গেলেন তো! এই ভারতেই এমন মন্দির রয়েছে যেখানে মানুষ যাওয়ার নাম শুনলেই রীতিমত থরথর করে কাঁপতে থাকে। মন্দিরে পূজো দেওয়া তো দূর এই মন্দিরের ছায়া পর্যন্ত মারাতে ভয় পায়। এই মন্দিরের কাহিনী শুনলেও আপনারও শিরদাঁড়া দিয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে যাবে। সকালে এই মন্দিরে গেলে তাও ঠিক আছে। কিন্তু সূর্য অস্তর পর এই মন্দিরের যাওয়ার নাম মুখে আনাও পাপ। সন্ধ্যে হলেই শুরু হয় অদ্ভুতেড়ে কাণ্ড। এই মন্দিরে পিছনে ফিরে তাকালেই মানুষ হয়ে যায় মূর্তি স্বরূপ! এতটাই ভয়ঙ্কর এই মন্দির।

এইসব অদ্ভুতেড়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে রাজস্থানের কিরাডু মন্দিরে। রাজস্থানের বারমের শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিহনি গ্রাম। আর এই গ্রামেই রয়েছে কিরাডু মন্দির। এই মন্দির আবার খাজুরাহোর মন্দির বলেও পরিচিত। এখানে বাস করেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব এবং রক্ষা কর্তা বিষ্ণু। রহস্যে মোড়া কিরাডু মন্দির দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষ। তবে মন্দিরের দর্শন পাওয়া যায় সকাল টুকুই। সূর্য অস্ত যাওয়া মানেই মন্দিরের দ্বার বন্ধ। শোনা যায় সন্ধ্যের পর এই মন্দিরে যারাই গেছে তারা কেউই সশরীরে ফিরে আসেনি। বরং মূর্তিতে পরিণত হয়ে সেখানেই থেকে গেছে। রাজ-রাজাদের আমলে তৈরি এই মন্দির। হাজার বছরের পুরনো মন্দির এক সন্ন্যাসীর অভিশাপে অভিশপ্ত। বহুকাল আগের ঘটনা! সেইসময় এক সন্ন্যাসী একদল শিষ্যদের নিয়ে এই মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানকার রাজা এবং প্রজাদের ভরসায় শিষ্যদের রেখে তপস্যা করতে চলে যান। কিন্তু রাজা প্রজা শিষ্যদের খেয়াল রাখা তো দূর, তাদের কথাই ভুলে যায়। ঠিক সেইসময় একজন শিষ্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাকে সুস্থ করার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে শিষ্যরা সাহায্যে চাইতে যান। কিন্তু কেউ  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল না। নিজেদের প্রাণ প্রিয় শিষ্যদের এমন করুণ পরিনতি দেখে সন্ন্যাসী রেগে যান। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে রাজা সহ গোটা গ্রামকে অভিশাপ দিয়েছিলেন সেদিন।  সন্ন্যাসীর  অভিশাপে গোটা গ্রাম সেদিন পাথরে পরিণত হয়ে যায়। শুধুমাত্র একজন মহিলা শিষ্যকে সাহায্য করায়  সন্ন্যাসী তার উপর খুশি হয়েছিলেন। তাকে আদেশ দেন সন্ধ্যে হওয়ার আগে সে যেন এই গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। এমনকি গ্রাম ছাড়ার সময় পিছনে ফিরে না তাকানোর নির্দেশও দেন। নাহলে গ্রামবাসীদের মত সেও পাথরে মূর্তিতে পরিণত হয়ে যাবে। কিন্তু ওই মহিলা গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সময় ভুলবশত পিছন ফিরে তাকিয়েছিলেন। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও  পরিণত হয়ে যান পাথরের মূর্তিতে। আজও সেই মূর্তি সেখানে রয়ে গেছে। এতকাল কেটে গেছে তবুও কেউ ভুলেও বিকেলের পর এই মন্দিরে পা রাখেন না। পাথরে পরিণত হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে স্থানীয়রা সেখানে যেতে ভয় পায়। এমনকি সরকারের তরফ থেকে এই মন্দিরে সন্ধ্যের পর যাওয়া কড়াকড়ি ভাবে নিষেধ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *