Title: ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! বাবা-মাকে টুপি পড়িয়ে ঘুরতে যাওয়ার দিন শেষ, বাড়িতে বসেই বাবা মা জানতে পারবেন সন্তান স্কুলে নাকি পার্কে!
Focus:
স্কুলের নাম করে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন!
তাহলে সাবধান,
এসব এখন অতীত!
বাড়িতে বসেই বাবা-মা নজর
রাখতে পারবেন আপনার ওপর!
আপনার সন্তান স্কুলে না পার্কে
তাও জানা যাবে অনায়াসে!
দুর্দান্ত পদ্ধতি চালু করা হয়েছে
প্রতিটি স্কুলে স্কুলে!
এমনকি হাত তুলে ইয়সে ম্যাম
বলে চিৎকারও করতে হবে না
বাবা-মায়েদের নিশ্চিন্ত
করবে এই ব্যবস্থা!
কি সেই ব্যবস্থা?
দেখুন
Body:
রোল নম্বর ১? ইয়েস ম্যাম, রোল নম্বর ২? ইয়েস ম্যাম। প্রায় প্রতিটি স্কুলেই প্রথম ক্লাসেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঠিক এইভাবেই রোল কল করেন। আর স্টুডেন্টরা চিৎকার করে করে ইয়েস ম্যাম বলে নিজেদের উপস্থিতি জানান। কিন্তু এখন থেকে আর রোল কল করে অ্যাটেনড্যান্সের খাতা ভরাতে হবে না। আবার একদল পড়ুয়া থাকে যারা স্কুলের নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় ঠিকই, কিন্তু স্কুলের দোয়ারে আর পৌঁছানো হয় না। পৌঁছে যায় কোনও সিনেমা হলে কিংবা পার্কে। তবে জানিয়ে রাখি এখন থেকে ডাহা মিথ্যে বলার দিন শেষ। স্কুলে না গেলেও আপনার আদরের সন্তান কোথায় রয়েছে সবই এখন নখদর্পণে। মিথ্যে ধরা পড়লেই বাড়ি থেকে জুটবে রাম কেলানি। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথেও ছেলে মেয়েদের অ্যাটেনডেন্স এখন দেখতে পারবেন বাবা মাও। কি বিশ্বাস হচ্ছে না! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
ভুলে যাবেন না এটা ডিজিটাল যুগ! এই যুগে সবই সম্ভব। যেখানে উত্তমকুমারকে সিনেমার পর্দায় ফিরিয়ে আনা সহজ ব্যাপার। সেখানে ঘরে বসে ছেলে মেয়েদের অ্যাটেনডেন্স জানা তো হাতের ময়লা। আসলে সরকার পড়ুয়াদের কথা ভেবেই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সের ব্যবস্থা নিয়েছেন। আর এই ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকা থেকে শুরু করে বেরনো সব আপডেট পাওয়া যাবে। এমনকি স্কুলে আদৌ গিয়েছে কিনা তাও জানা যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে? আসলে এই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হবে কিউআর কোড অ্যাটেনডেন্স (QR code attendance) এবং ফেস রেকগনাইজেনশন (face recognition ) পদ্ধতির মাধ্যমে। অনেক অফিস কিংবা সরকারী কার্যালয়ে এমন সিস্টেম চালু রয়েছে। এবার সেই পদ্ধতিই দেখা যাবে পশ্চিমবাংলার স্কুলে স্কুলে। স্কুলের ঢোকার আগে মেশিনের সামনে গিয়ে নিজের মুখ স্ক্যান করাতে হবে কিংবা আইডি কার্ডের পিছনে থাকা QR code স্ক্যান করিয়ে নিতে হবে। স্ক্যান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনে মেসেজ চলে যাবে। আবার বেরোনোর সময় সেই একই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। আর এই মেসেজের মাধ্যমে আপনার সন্তান কখন বেরোচ্ছে, ঢুকছে সব আপডেট পেয়ে যাবেন। এই আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে আর অ্যাটেনডেন্সও দিতে হবে না। এই মেশিনেই সব তথ্য রেকর্ড করা থাকবে। ফলে এই চিন্তাও এখন থেকে দূর। ইতিমধ্যেই কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে এই ডিজিটাল সিস্টেম চালু হয়ে যাবে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এই দুর্দান্ত পরিবর্তন বাবা- মায়েদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
Leave a Reply