চাকরিহারাদের হাহাকার করার দিন শেষ! আর করতে
হবে না দুশ্চিন্তা, খুলে গেল নতুন দুখানা দরজা
চাকরিহারাদের হাহাকার
করার দিন শেষ!
আর করতে হবে না
দুশ্চিন্তা!
এবার পালা শুধু হাসার,
খুলে গেল নতুন দুটি দুয়ার!
এখন চাকরি ফেরত
কেবল সময়ের অপেক্ষা!
দেখুন
বিগত কিছুদিন ধরেই চাকরি নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। এই কদিন আগেই, কলকাতা হাই কোর্টের তরফে,,, ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। যার যেতে একজন দুজন নয় গুনে গুনে ছাব্বিশ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে। ভাবতে পারছেন? এক লহমায় ২৬ হাজার চাকরিজীবী বেকার হয়ে গিয়েছে! এদের কারো মাথায় ঋণের বোঝা, কারো কাঁধে ই এম আই এর প্রেশার, কেউ আবার ক্যান্সার পেশেন্ট, আবার এদেরই কেউ কেউ স্বপ্ন বুনেছিলেন, মাইনের টাকায় বাড়ি ঠিক করবেন, বোনের বিয়ে দেবেন! কিন্তু আর হলো কই? যোগ্য হোক বা অযোগ্য নির্বিচারে সকলের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর করবে নাই এবার কেন???? কলকাতা হাইকোর্টের যুক্তি অনুসারে,,,, যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার অর্থাৎ পৃথক করার কোন রাস্তায় যে নেই!!! তাই বাধ্য এমন ঐতিহাসিক এবং মর্মস্পর্শী সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে কলকাতা হাইোর্টে।
ইতিমধ্যেই এই ২৬ হাজার মানুষের মধ্যে , যারা যোগ্য তারা এই নিয়ে সরব হয়েছেন। আন্দোলনে নেমেছেন। আর এবার এদের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধুমাত্র যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য নিলেন বড় বড় দুখানা সিদ্ধান্ত। প্রথম সিদ্ধান্তটি হল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নিজ উদ্যোগে বঙ্গ বিজেপির তরফে একটি লিগেল সেল গঠন করেছেন। যে লিগেল সেলে ৬ জন চোখা চোখা আইনজীবী রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই লিগেল সেল তৈরি করা হয়েছে যোগ্য অথচ চাকরি হারিয়েছেন এমন মানুষ গুলোর জন্য। এই লিগেল সেলে যে সকল আইনজীবীরা রয়েছেন তারা হলেন যথাক্রমে – লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়, সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য, সুকান্ত চক্রবর্তীর দুদে আইনজীবীরা।
এরপরেই দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি হল আগামী বুধবার চাকরি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি লিগেল পোর্টাল খোলা হবে। যে পোর্টালের সাহায্যে চাকরি চলে গিয়েছে এমন চাকরি হারারা রেজিস্টার করতে পারবেন এক্ষেত্রে তাদের যাবতীয় আইনি সহায়তা থেকে শুরু করে মামলা চালানোর খরচ দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।।
Leave a Reply