সায়নী ঘোষের দেওয়াল লিখনে চরম নোংরামো! কোথাও সাপের ছবি, কোথাও দৃষ্টিকটু দৃশ্য, কি হচ্ছে দেখুন

সায়নী ঘোষের দেওয়াল লিখনে চরম নোংরামো! কোথাও সাপের ছবি, কোথাও দৃষ্টিকটু দৃশ্য, কি হচ্ছে দেখুন

সায়নী ঘোষের দেওয়াল
লিখনে চরম নোংরামো!

কোথাও সাপের ছবি,
কোথাও দৃষ্টিকটু দৃশ্য!

আমজনতার সামনেই
দেদার দৃশ্য দূষণ!

দেখুন

সায়নী ঘোষ! নামেই যার পরিচয়। বিতর্কিত বক্তব্য আর ঝাঁঝালো ভাষণ দিয়ে,,,, বারে বারে শিরোনাম দখল করে থাকেন। শিবলিঙ্গের জন্ম নিয়ন্ত্রক আবরণ, গোমূত্র দিয়ে কুলকুচি – বঙ্গ রাজনীতিতে এগুলো তারই মুখনিঃসৃত বাণী। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে লড়ছেন সায়নী। নাম ঘোষণার পর থেকেই রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে। তবে এবার নতুন করে আলোচিত হচ্ছেন দেওয়াল লিখন নিয়ে। আপনারা জানেন যে, বঙ্গ রাজনীতিতে দেওয়াল লিখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।দেওয়াল লিখন বঙ্গ রাজনীতির একটি ঐতিহ্যও বটে। এই ঐতিহ্যবাহী দেওয়াল লিখনেও যদি চলে, নোংরামো, দৃষ্টি কটু বার্তা চালান, তাহলে কার ভালো লাগে বলুন তো?

যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের দেওয়াল লিখন জুড়ে নোংরামো শুরু হয়েছে। সব জায়গায় না হলেও, বেশ কিছু দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে, সাপের ছবি দিয়ে সায়নীর নাম লেখা হয়েছে, তাও আবার একেবারে নান্দনিক নয়। চোখে পড়লেই লজ্জায় পড়তে হবে এমন দেওয়াল লিখন। আবার কোথাও কোথাও নোংরামোর মাত্রা আরও দু স্তর বাড়িয়ে, জঘন্য আকার ইঙ্গিত দিয়ে, সায়নীর প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছে এই সব দেওয়াল লিখনের ছবি। এই সব দেওয়া লিখন, এডাল্ট ছেলে মেয়েদের কাছে খিল্লীর বিষয় হলেও, বাচ্চা – বুড়োদের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই লজ্জা জনক।

সামাজিক মাধ্যমে এসব ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠছে, এই সমস্ত দেওয়াল লিখন কি আদৌ তৃণমূলই লিখেছে? নাকি সায়নী তথা তৃণমূলকে অপদস্থ করতে বিরোধী শিবির থেকে এমন রুচিহীন কাজ করা হচ্ছে? তবে কোন পক্ষের তরফে সচেতন কিংবা অসচেতন ভাবে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে সেই তথ্য কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোলসা হয়নি। তবে একটি বিষয় খোলসা হয়েছে সেটি হচ্ছে এই ধরনের দেওয়াল লিখন কখনোই শোভনীয় নয়। রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষকে বিপর্যস্ত হোক বা কটাক্ষ করা, সব ক্ষেত্রেই একটা মাত্রা রয়েছে। সেই মাত্রা বজায় রাখা উচিত।

বঙ্গ রাজনীতিতে দেওয়াল লিখন কোন নতুন বিষয় নয়। সেই বহু বছর আগে থেকে বাংলায় ভোটের মরশুমে দেওয়াল লিখন হয়ে আসছে। দোরগোড়ায় ভোট এলেই দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়। নানা রকম মজার মজার স্লোগান দিয়ে সেজে ওঠে নির্বাচনী পাড়া থেকে মহল্লাগুলো। এক কালে নেতামন্ত্রীদের ভোট-আকাঙ্ক্ষাকে হাস্য কৌতুকের মোড়কে মুড়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত লিখেছিলেন –

”ভোট দিয়ে যা/ আয় ভোটার আয়।
মাছ কুটলে মুড়ো দিব,
গাই বিয়োলে দুধ দিব,
দুধ খেতে বাটি দিব।”

আরও কত কি

তবে পরিশেষে একটাই কথা, দেওয়াল লিখনকে এখনও পর্যন্ত বঙ্গ রাজনীতির সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য হিসেবে মানা হয়। পক্ষ প্রতিপক্ষের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কলুষিত করা ঠিক হবে না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *