মহিলা কর্মীর সঙ্গে চরম নোংরামো! পদোন্নতির টোপ দিয়ে
বার বার কুইঙ্গিত দেওয়া, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
মহিলা কর্মীর সঙ্গে
চরম নোংরামো!
পদোন্নতির টোপ দিয়ে
বার বার কুইঙ্গিত দেওয়া!
সাংঘাতিক অভিযোগ
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে!
তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি!
ঠিক কি ঘটেছে দেখুন
ভোট মরশুমে, বেনজির ঘটনার সাক্ষী গোটা বাংলা। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই,,,, এ যেন এক নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে, রাজ ভবনে কর্মরত মহিলার সঙ্গে নোংরা আচরণের অভিযোগ! আর এই অভিযোগ সামনে এনেছেন খোদ নোংরামোর শিকার ওই মহিলা। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিনী পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা।
২০১৯ সাল থেকে রাজভবনে কাজ করছেন। রাজভবনের একাধিক বিভাগে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ওই মহিলা জানান, সম্প্রতি তাকে এক বিভাগ থেকে তুলে এনে অন্য এক বিভাগে আনা হয়। সেই সূত্রেই ওই মহিলার সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ হয়। তিনি জানান গত সপ্তাহে তাকে, রাজ্যপালের চেম্বারে ডাকা হয়। তিনি সেই মতো রাজ্যপালের চেম্বারে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েই ঘটে বড়সড় অঘটন। মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী রাজ্যপাল তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে বলতে এক সময় তার গায়ে টাচ করেন। রাজ্যপালের সেই টাচ একেবারেই সুখকর ছিল না বলে দাবি মহিলার। তিনি আরও জানান রাজ্যপাল যখন তাকে স্পর্শ করেন তখন তিনি প্রচণ্ড পরিমাণে অস্বস্তিতেও ভোগেন। রাজ্যপাল কুরুচিকর ভাবে তাকে স্পর্শ করেন।
এখানেই শেষ নয় ওই মহিলা আরও জানান, এর আগেও একবার রাজ্যপাল তার সঙ্গে এমন নোংরামো আচরণ করেছেন। সে সময় চাকরি হারানোর ভয়ে তিনি মুখ খোলেননি। তবে এবার মুখ বন্ধ রাখতে পারেননি। রাজ্যপালের কাছ থেকে চরম নোংরামোর শিকার হয়ে, দ্রুত হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য –
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। তার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগপত্র জমা দিতে গিয়েছেন এক মহিলা। নোংরামোর ( নিরাপত্তার খাতিরে শব্দটি পরিবর্তন করা হল ) অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এ কী ধরনের ঘটনা ঘটছে! যে রাজ্যপাল বলেন, তিনি ‘পিসরুম’ খুলে সকলের অভিযোগ শুনবেন এবং তার নিষ্পত্তি করবেন। সেই ‘পিসরুম’ কি আসলে নারী সম্মানের ‘পিস হাভেন’ হয়ে গিয়েছে? যেখানে বার বার প্রধানমন্ত্রী নারীশক্তির কথা বলছেন, সেখানে রাজ্যপাল নারীর অপমান, অসম্মান করছেন। এ কী ঘটছে বাংলার মাটিতে! যে মাটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক ভাবে ঐতিহ্যশালী। ছিঃ!’’
এদিকে চুপ করে থাকেননি রাজ্য পালও। তিনিও বলেছেন –
“সত্যের জয় হবেই। বানানো বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। আমার সম্মানহানি করে কেউ যদি নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চান, তাহলে ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন। কিন্তু বাংলায় অন্যায় ( সুরক্ষার খাতিরে শব্দ পরিবর্তিত করা হলো ) এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই কখনও থামবে না।”
Leave a Reply