স্নান করতে গিয়ে গায়ে জল ঢাললেই ফোসকা পড়ছে?

Title: স্নান করতে গিয়ে গায়ে জল ঢাললেই ফোসকা পড়ছে? চরমে গরমে ট্যাঙ্কের জল আগ্নেয়গিরি! বরফের মত ঠান্ডা জল পেতে রইলো এই ম্যাজিক টিপস!

Focus:

স্নান করতে গিয়ে গায়ে জল
ঢাললেই ফোসকা পড়ছে?

ট্যাঙ্কির জলও গরমে
টগবগ করে ফুটছে!

তাহলে আপনার জন্য
রইল এই সহজ টিপস!

এই টিপসের মাধ্যমেই
ট্যাঙ্কির জল হয়ে যাবে বরফের মতো ঠান্ডা!

ইতি মধ্যেই এই টিপসগুলি
সামাজিক মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে!

এই উপায়গুলি প্রয়োগ করে
দারুণ ফল পেয়েছেন সাধারণ মানুষ!

আপনিও কি ট্যাঙ্কি থেকে ঠান্ডা ঠান্ডা
জল পেতে চান?

তাহলে আজই এই পাঁচটি ম্যাজিক
টিপস সমন্ধে জেনে নিন!

এই মুহুর্তে গোটা বাংলায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন তীব্র দাবদাহ পুড়ছে গোটা বঙ্গবাসী। রাত পোহাতে না পোহাতেই ঘড়ি ধরে চড়ছে গরমের পারদ। গরমের যা অবস্থা তাতে এটা পশ্চিমবঙ্গ না মরুভূমি বোঝা বড়োই মুশকিল। আর এই তীব্র গরমের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সকলের ভরসা স্নান। কিন্তু এখানেও যেন নিস্তার নেই! গায়ে জল ঢাললেই রীতিমত ফোসকা পড়ছে। ভয়ঙ্কর গরমে ট্যাঙ্কির জলও রীতিমত ফুটতে শুরু করে দিয়েছে। সূর্যের তেজে ট্যাঙ্কি পুরো আগ্নেয়গোলা। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে পাঁচটি ম্যাজিক টিপস। এই পাঁচটি টিপসে জল হয়ে যাবে একবারে বরফের মতন ঠাণ্ডা। যত গরমই পড়ুক না কেন ট্যাঙ্কির জল গরম হবে না। আমাদের আজকের ভিডিওতে জানাবো কি সেই পাঁচটি টিপস।

এক, ট্যাঙ্কে চুনের প্রলেপঃ

তীব্র গরমে ট্যাঙ্কির জল ঠাণ্ডা রাখতে অত্যন্ত কার্যকারী এই টিপস। একবার লাগলেই কাজ করবে বারবার। তবে এর জন্য শুধু চুন নয় লাগববে আরো বেশ কিছু উপাদান। সবার আগে নিতে হবে ৫ কেজি পাথরের চুন, ১.৫ কেজি হোয়াইট সিমেন্ট, ১.৫ কেজি ফেভিকল এবং ১ কেজি জিঙ্ক অক্সাইড। যেকোনো হার্ডওয়ারের দোকানে গেলে অনায়াসে পেয়ে যাবেন। এরপর ওই ৫ কেজি চুন একটি বড় পাত্রে জল দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সারারাত ভিজিয়ে রাখলে এটি ভালোভাবে জলের সাথে মিশে যাবে এবং সূর্য ওঠার আগে কাজটি সেরে ফেলা যাবে। সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর এই চুনের সাথে একে একে হোয়াইট সিমেন্ট, ফেভিকল এবং জিঙ্ক অক্সাইড ভালো করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ব্রাশের সাহায্যে ট্যাঙ্কির বাইরের অংশটায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এই প্রলেপ লাগানোর ফলে আপনার ট্যাঙ্কির জল একদম ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

দুই, কভার লাগানোঃ

ট্যাঙ্কির জল ঠান্ডা রাখার মোক্ষম উপায় হচ্ছে কভার পড়িয়ে রাখা। ছাদে ট্যাঙ্কি থাকার ফলে সূর্যের রোদ এসে সরাসরি পড়ে ট্যাঙ্কির ওপর। এর ফলে ট্যাঙ্কির জল সহজেই গরম হয়ে যায়। তাই ট্যাঙ্কির গায়ে যাতে সরাসরি রোদ না লাগে তার জন্য কভারের ব্যবস্থা নিন। চাইলে মোটা কাপড় দিয়ে ট্যাঙ্কি ঢাকা রাখতে পারেন। এমনকি দোকানে  ট্যাঙ্ক কভার কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়েও ঢাকা রাখতে পারেন। এরফলে যেমন সূর্যের রোদ লাগবে না তেমনই জলও গরম হবে না।

তিন, সাদা রং করাঃ

গরমের সময় গবেষকরা প্রায় সাদা রঙয়ে জামা পড়তে বলেন। গবেষকদের মতে, সাদা রঙয়ে সবচেয়ে বেশি আলো প্রতিফলিত হয়। অর্থাৎ সাদা রঙ সূর্যের আলো কম শোষণ করে। এই সাদা রং ট্যাঙ্কির ক্ষেত্রেও বেশ প্রয়োগ করা যায়। দোকান থেকে সাদা রং কিনে এনে আপনি ট্যাঙ্কির বাইরে প্রলেপ হিসেবে লাগাতে পারেন। এতে করে ট্যাঙ্কি সূর্যের রোদ কম শোষণ করবে। এমনকি জলও থাকবে দারুণ ঠান্ডা।

চার, মাটিঃ

জল ঠান্ডা রাখতে মাটি দুর্দান্ত একটি উপাদান। এখনও গ্রামবাংলার প্রায় অনেক মানুষ মাটির কলসি, মাটির পাত্র ব্যবহার করেন জল ঠান্ডা রাখার জন্য। আর মাটির পাত্রে জল রাখলেও ফ্রিজেরও প্রয়োজন পড়ে না। এবার ট্যাঙ্কির জল ঠান্ডা রাখা যাবে এই মাটির সাহায্য। শুধু লাগবে অনেকটা মাটি। এই মাটি পুরো ট্যাঙ্কির গায়ে ভালো করে লাগিয়ে দিলেই কাজ করতে শুরু করে দেবে। সূর্যের রোদ তো ঢুকতে দেবেই না , সেইসাথে জল একদম বরফের মত কনকনে ঠান্ডা রাখবে।

পাঁচ, পাটের বস্তাঃ

এরজন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ থেকে ৬ টা চটের বস্তা। এই বস্তা গুলি প্রথমে ভালো করে জলে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর ট্যাঙ্কের গায়ে ভালো করে বস্তা দিয়ে ঘিরে দিন। এই টিপসটি দারুণভাবে কাজ করবে। প্রায় অনেকেই এই টিপস থেকেই বেশভালো ফল পেয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *