প্রচণ্ড গরমে জেলের ভিতর কেমন আছেন পার্থ, বালু?
পাচ্ছে নাকি এসির হাওয়া? খাচ্ছে নাকি ডাবের জল, ORS?
প্রচণ্ড গরমে জেলের ভিতর
কেমন আছেন পার্থ, বালু?
পাচ্ছে নাকি
এসির হাওয়া?
নাকি খাচ্ছে
ফ্যানের হাওয়া?
৪২ ডিগ্রি গরমে ডাবের জল নাকি স্যালাইন
কোনটা খাচ্ছেন দুই বন্ধু?
আসুন জেনে নেওয়া যাক
সাংঘাতিক গরমে পার্থ, বালুর অবস্থা
দুজনেই এককালে ছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। কিন্তু এখন দুজনের পরিচয় চোর! নাহ এই কথা আমরা বলছি না! পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষই এই দুজনের নামের আগে চোর শব্দটি বসিয়ে দিয়েছেন। আর এই দুজনকে, মানুষ কেন চোর বলছে, সেই যুক্তি আলাদা করে দিতে হবে না! দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে দুর্নীতির ভুঁড়ি ভুঁড়ি অভিযোগ! আপনারা প্রত্যেকেই জানেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ২০২২ সালের জুলাই মাসে বঙ্গ রাজনীতির শিক্ষা দুর্নীতির বিশাল অধ্যায় খুলে যায়। বাংলার মানুষ সেই বছর দেখেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা! অল্পস্বল্প নয় একেবারে পঞ্চাশ কোটি টাকা! সাধারণ মানুষের জীবনে একসঙ্গে ৫০ কোটি টাকা দেখার সৌভাগ্য হয় না! কিন্তু আমজনতার সেই স্বপ্নকে এক মুহূর্তে বাস্তবায়িত করে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষাদূর্নীতির অর্থ দিয়ে ঠাসিয়েছিলেন বাড়ি। সেই ছবি গোটা বাংলা দেখেছিল। আর ঠিক তারপরেই ২০২৩ সালে রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে যায়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর নাম। মূলত খাদ্যদ্রব্য চুরির অভিযোগ পাওয়া যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে।
তবে দুজনের চুরি বিদ্যা আলাদা হলেও, ঠাঁই হয়েছে এক ছাদের তলায়। দুজনে একসঙ্গে রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুজনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর। বিশেষ করে মানুষের মনে কৌতুহল দেখা দিয়েছে , এই বলে যে, চাদিফাটা গরমে আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে কেমন আছেন এই দুই হেভি ওয়েট নেতা?
এই দুই নেতা একসময় থাকতেন রাজপ্রাসাদে। এসির হাওয়া ছাড়া দুজনের ঘুম হতো না ভালো। খাওয়া দাওয়া থাকতে এলাহী পদ। এইসব এখন অতীত। এখন তারা রয়েছেন জেলে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আলিপুর জেলের যে সেলে এই দুজনকে রাখা হয়েছে সেখানে নেই কোনও এসি, নেই কোনও ফ্যান! নিয়ম অনুসারে জেলের সেলে ফ্যান লাগানো যায় না। তাই গরম থেকে রেহাই দিতে দুজনের জন্য রাখা হয়েছে টেবিল ফ্যান। তবে দুজনের খাদ্য তালিকায় ঠাঁই পাই না ঠান্ডা জাতীয় খাবার। ফ্রিজের ঠান্ডা জলেরও ব্যবস্থা নেই। ডাবের জল কিংবা স্যালাইন কোনোটাই দেওয়া হয় না। গরম থেকে স্বস্তি পেতে দুজনের দেওয়া হয় ২০ লিটারের একটি করে জলের বোতল। প্রাক্তন মন্ত্রী বলে আলাদা করে দু’জনকে কোনও প্রকার সেবা শুশ্রসা দেওয়া হয় না।
তথ্যসূত্রে খবর এই দুই প্রাক্তন নেতার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। দুজনেই ক্রনিক ডিজিজে আক্রান্ত। একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যা অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত অসুবিধা!!! সব মিলিয়ে মাঝে মাঝেই হাসপাতালে ছুটছে নিয়ে দুই মন্ত্রী
Leave a Reply