৩ মিনিটে দেখুন কুণাল ঘোষকে অপসারণ করার ৫টি সম্ভাব্য কারণ! কেন? কি কি কারণে কুণালকে বহিষ্কার করা হতে পারে?

৩ মিনিটে দেখুন কুণাল ঘোষকে অপসারণ করার ৫টি সম্ভাব্য কারণ! কেন? কি কি কারণে কুণালকে বহিষ্কার করা হতে পারে?

৩ মিনিটে দেখুন কুণাল ঘোষকে
অপসারণ করার ৫টি সম্ভাব্য কারণ!

কেন? কি কি কারণে কুণালকে
বহিষ্কার করা হতে পারে?

কুণালের অপসারণ কি
আগে থেকে প্ল্যান ছিল?

দেখুন

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কুনাল ঘোষকে। আর এই ঘটনা ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আর নাড়িয়ে দেবে নাই বা কেন বলুন তো? কুনাল ঘোষ যাকে তৃণমূলের ডান হাত বলা হয়, যিনি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক! সেই মানুষটাকেই নাকি অপসারণ করে দেওয়া হল। এখানে তো প্রশ্ন উঠবেই! হঠাৎ কি এমন হলো, যে তড়িঘড়ি করে তৃণমূলের দলের মুখপাত্রকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? ডেরেক ও’ব্রায়েন নিজের হাতে কুণাল ঘোষকে অপসারণের চিঠি পাঠিয়েছেন। কি লিখেছেন তিনি – একবার পড়ে শোনাবো –

“দলের সঙ্গে কুনাল ঘোষের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কোনও যোগ নেই। সব মন্তব্য তার ব্যক্তিগত তা দলের বক্তব্য হিসেবে দেখা উচিত নয়। তৃণমূলের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিই দলের অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এর আগে মুখ্য দলের মুখপাত্রের পথ থেকে সরানো হয়েছিল কুনাল ঘোষকে। এবার তাকে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পথ থেকে অপসারিত করা হল।”

এই পর্যন্ত তো আপনারা শুনলেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি কুনাল ঘোষকে অপসারণ করাটা সত্যিই কাকতালীয়?নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো অঙ্ক?

এই প্রশ্নের সাপেক্ষে ৫টি সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে –

১, তাপস রায় পোষণ –

কুণাল ঘোষকে, অপসারণের বড় কারণ হিসেবে অনেকেই তাপস রায়কে দায়ী করছেন। সম্প্রতি রক্তদান শিবিরে গিয়ে, উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী, তাপস রায়ের ভুয়সী প্রশংসা করেন কুণাল ঘোষ। এই বিষয়টি তৃণমূলের জন্য একেবারে সুখকর হয়নি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২, দেবকে নিয়ে কটু মন্তব্য –

এই কিছুদিন আগেই কুণাল ঘোষ ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতাকে কটাক্ষ করেন। ভোটের প্রচার কাজে গিয়ে, দেবকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন দেব নাকি ইমেজ ভালো রাখতে চৈতন্যদেব সেজে বসে থাকেন। কুণাল ঘোষ নিজের দলের নেতার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করাতে অনেকেই বিষয়টি ভালো চোখে নেননি।

৩, দলকে বেকায়দায় ফেলা –

কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি বহুবার উঠে এসেছে। বিভিন্ন সভায়, সমাবেশে, বক্তৃতায় কথা বলতে গিয়ে, কুণাল ঘোষ অনেকবার দলকে বেকায়দায় ফেলেছেন। কুণাল ঘোষকে অপসারণের পেছনে এটাও একটা মূল কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।

৪, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধ –

উত্তর কলকাতার বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই কুনাল ঘোষের। বহুবার জনসমক্ষে দুজনের কাদা ছোড়াছুড়ি প্রকাশ্যে এসেছে। যে রক্তদান শিবিরে কুনাল ঘোষের মন্তব্য বিতর্ক বাধিয়েছে,,, সেখানে কুনাল ঘোষ, তাপস রায়ের পক্ষ নিয়ে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন – মানুষ ঠিক করে নিক, কে প্রকৃত প্রার্থী, কেউ যেন ছাপ্পা ভোট না দেয়! কুনালের এই মন্তব্য যে দল ভালোভাবে নেবে না তা সাথে সাথে বোঝা গিয়েছে।

৫, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলা –

একেবারে অতীত সম্প্রতি কুনাল ঘোষ আরো একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর পরই, এই মন্তব্য করেন কুনাল ঘোষ। ঠিক কি জানান কুনাল বাবু – তিনি একেবারে স্পষ্ট করে গোটা গোটা অক্ষরে বলেন – রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির সমস্ত খবর রাজ্য সরকার আগে থেকেই জানতেন। ব্যাস কুনাল ঘোষের এই মন্তব্য আগুনে যেন আরো বেশি করে ঘি ঢেলে দিল!

এদিকে এখনো পর্যন্ত কুনাল ঘোষকে অপসারণ আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল কি না, সেই নিয়ে কিছু জানা যায়নি

তবে ঘড়ির কাঁটা ধরে এখন নজর শুধু – কুনাল ঘোষ এর মুখ দিয়ে দল বিরোধী আর কি কি কথা বেরিয়ে সেই দিকে


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *