বেঁচে যাবে যোগ্যদের চাকরি! হারানো চাকরি ফিরে পাবে
যোগ্যরা, বড়সড় ব্যবস্থা নিল এসএসসি কমিশন
বেঁচে যাবে যোগ্যদের চাকরি!
হারানো চাকরি ফিরে পাবে
যোগ্যরা!
যোগ্যদের সঙ্গে কোনও
অবিচার হবে না!
বড়সড়ো ব্যবস্থা নিল
এসএসসি!
আশার আলো দেখাল
সুপ্রিম কোর্ট!
কিভাবে? কি হবে?
দেখুন
সদ্য,,, কলকাতা হাইকোর্ট সততার অভাবে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে। যার জেরে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছে ২৬ হাজার মানুষ। এক মুহূর্তে চাকরিজীবী থেকে বেকার হয়ে পড়েন এই ২৬ হাজার মানুষ। ভাবা যায়? এই মুহূর্তে এই গোটা বিষয়টি রাজ্য রাজনীতিকে তোলপাড় করে রেখেছে।
এখনো কলকাতা হাইকোর্টে চাকরি হারাদের থিকথিকে ভিড়। এই চাকরিহারাদের মধ্যে মিলেমিশে একাকার যোগ্য এবং অযোগ্য ক্যানডিডেটরা। যে কারণে এই বিষয়টি আরো জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। অবশ্য সেই সুনানিতে কোন সুরাহা মেলেনি। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে আগামী সোমবার এই মামলার ফের শুনানি হবে।
তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন, এসএসসি কমিটির তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট যদি চাই, তাহলে তারা যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে তালিকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু কিভাবে এই যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত!!
শীর্ষ আদালতের সংশয় দূর করতে এসএসসি কমিটির যুক্তি – এক্ষেত্রে তারা, ও এম আর সিটের যে স্ক্যান কপি রয়েছে সেগুলোকে পুনঃমূল্যায়ন করবে। সেই সাথে তালিকায় নথিভুক্ত ক্যান্ডিডেটদের নাম, তাদের একাডেমিক স্কোর এর কাগজপত্র, কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। এরপর ক্যান্ডিডেটদের পার্সোনালিটি টেস্টের যে নম্বর কমিশনের কাছে আছে সেটি দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে। আর যদি এক্ষেত্রে কোনও প্রকার ওএমআর শিট পাওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে অ্যানসার স্ট্রিমিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসএসসির তরফে আরো জানানো হয়েছে কমিশন প্রতিটি যোগ্য ক্যান্ডিডেটের ওএমআর এবং অন্যান্য মাপকাঠি সুনিপুণভাবে খতিয়ে দেখবে। ওএমআর শিটের উপর ভালোভাবে বিচার বিবেচনা করে সেগুলির পুনঃ মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সেই সাথে মাধ্যমিকের নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর, ইন্টারভিউ এর নম্বর মিলিয়ে কমিশন একটি পরিচ্ছন্ন তালিকা প্রস্তুত করবে। যে তালিকায় কমিশন জানাবে আপাতত দৃষ্টিতে কারা কারা যোগ্য। ঠিক একইভাবে সিবিআই এর বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের ভিত্তিতে একটি অযোগ্যদের তালিকাও প্রস্তুত করা হবে।
আপাতত এসএসসি কমিশনের এই দাবির উপর ভরসা রেখেছে শীর্ষ আদালত। এদিকে চাকরি হারারা প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে চলেছেন যাতে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনা হয়। এখন দেখার অপেক্ষা এসএসসি কমিশনের এই উদ্যোগ তথা প্ল্যান কতটা সাফল্যমন্ডিত হয়!
Leave a Reply