৮০ বছর পর আকাশে ফাটবে তারা! এই বছরেই ঘটবে
এই মহাজাগতিক ঘটনা
৮০ বছর পর
আকাশে ফাটবে তারা!
এই বছরেই ঘটবে
এই মহাজাগতিক ঘটনা!
এক অলৌকিক দৃশ্যের
সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব!
চোখের সামনেই দেখা যাবে
তারা ফাটার ছবি!
এই মুহূর্তে এই ১টি খবর গোটা বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, এই দৃশ্য গোটা বিশ্ব তথা ভারতের যে কোনও প্রান্তে বসে প্রত্যক্ষ করা যাবে। টেলিস্কোপ ছাড়াই খালি চোখে এই দৃশ্য দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই দৃশ্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের হতে চলেছে। তার কারণ গুনে গুনে ৮০ বছর পর এই মহা জাগতিক দৃশ্য ঘটতে চলেছে। তাই যারা এই দৃশ্য দেখবেন তারা খুবই ভাগ্যবান হবেন। এই দৃশ্য ঘটে যাওয়ার পর আবার ৮০ বছর এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
গোটা বিশ্ব টানা ২ , ৩ ধরে এই দৃশ্য দেখতে পাবে। শেষবার এই তারা ফাটার দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ১৬০০ সালে। সেই সময় রাতের আকাশে দু দুটো তারা ফাটে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কিভাবে এই তারা ফাটে? আর কেনই বা ফাটে? আর ফেটে গিয়েই বা কিভাবে আবার তারা তৈরি হয়?
আর এই সমস্ত তথ্য জানতে ফিরে যেতে হবে এক রেলকর্মীর ঘটনায়। ১৯৬৬ সালে একজন রেলকর্মী ছিলেন। যিনি রেগুলার রাতের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বাড়ি ফিরতেন। মহাকাশ সম্পর্কে এই মানুষটির ছিল অগাধ আগ্রহ এবং কৌতুহল। তিনি মহাকাশে থাকা তারা, নক্ষত্রের নাম ধাম মুখস্থ জানতেন। একদিন তিনি ডিউটি থেকে ফেরার পথে লক্ষ্য করলেন আকাশে অদ্ভুত এক জিনিস। যে জিনিস তিনি আগে দেখেননি। উত্তর দিকের আকাশে তিনি সেই জিনিস দেখতে পান। তিনি লক্ষ্য করে দেখলেন সেটি একটি তারা। যেটি অনেক উজ্জ্বল ছিল এবং আকারে অনেক বড়। কিছুদিন পর সেই তারা তিনি আর দেখতে পাননি। এরপর সেই সাধারণ রেল কর্মী হিসেব কষে মেলাতে থাকেন, বিভিন্ন নক্ষত্র ও তারার জন্ম ও গতিবিধি।
তিনি ভাবতেন থাকেন, একটি তারা জন্মাতে সময় লাগে ১ মিলিয়ন বছর, আর ধ্বংস হতে সময় লাগে ২ বিলিয়ন বছর। তাহলে প্রশ্ন হল এই তারাটি কিভাবে,,, এক দিনে জন্ম নিয়ে, একদিনেই গায়েব হয়ে যেতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তিনি একটি ভালো মানের টেলিস্কোপের সাহায্য নেন। এরপরই তিনি লক্ষ্য করেন এক অলৌকিক দৃশ্য। তিনি দেখতে পান তারাটি আসলে কোথাও যায়নি তারাটি যেখানে তিনি দেখেছিলেন সেখানেই রয়েছে। শুধুমাত্র খালি চোখে তারাটিকে দেখা যাচ্ছে না। তিনি রোজ নিজের হোম টেলিস্কোপ দিয়ে সেই নক্ষত্রটির ওপর নজরদারি করতে থাকেন। এরপর কেটে যায় অনেক বছর। তত দিনে সেই রেল কর্মীও পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।।
এরপর ১৯৪৬ সালে ওই নক্ষত্রটি আবার দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে বিষয়টি বিজ্ঞানীদের গোচরে আসতে থাকে। সেবারেও একই ঘটনা ঘটে। তারাটি দেখা যায়, আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর ২০১৬ সালে আবার একই ঘটনা ঘটে। এরপর বিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে তারা জানতে পারেন আসলে এই ঘটনা কোনও তারা ফাটা নয়। এটা হল দুটো তারার সৃষ্ট একটা বাইনারি সিস্টেম। যাকে সাধারণ মানুষ তারা ফাটা বলে মনে করে থাকেন।
আর বেশিদিন নেই গুনে গুনে আর তিনটি মাস পর এই অলৌকিক এবং মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছি আমরা।
Leave a Reply