৪৫ ডিগ্রি গরমে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি! মারা যাচ্ছে অগণিত মানুষ! জানেন? এই হিটস্ট্রোক আসলে কি?

৪৫ ডিগ্রি গরমে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি! মারা যাচ্ছে
অগণিত মানুষ! জানেন? এই হিটস্ট্রোক আসলে কি?

৪৫ ডিগ্রি গরমে বাড়ছে
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি!

মারা যাচ্ছে
অগণিত মানুষ!

জানেন?
এই হিটস্ট্রোক আসলে কি?

ব্রেন স্ট্রোকের সাথে
এর পার্থক্য কোথায়?

গরম এলেই কেন
এই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে?

হিট স্ট্রোকের এই ৫টি লক্ষণ
ভুলেও অবহেলা করবেন না!

তাহলেই সাংঘাতিক মৃত্যু!

পুড়ছে গোটা বাংলা!! সকাল থেকেই সূর্যের তেজ থাকছে আকাশচুম্বি। বাড়ির বাইরে পা দেওয়া যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে এটা পশ্চিমবঙ্গ নাকি মরুভূমি বোঝা মুশকিল! পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, বিনা আগুনেই রোদের তেজে ডিম ভাজা হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গের রোদের তেজ এখন ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। যে কোনও সময় হাফ সেঞ্চুরিও পার করে যেতে পারে। ঠিক এইরকমই একটি ভয়ংকর দাবদাহের মাঝে বাংলা জুড়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়ার সংখ্যা। এই মুহূর্তে হিট স্ট্রোকের জেরে বাংলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হিট স্ট্রোক শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে নয় পশু পাখিদের মধ্যেও হয়। মানুষের সাথে সাথে অনেক পশু পাখিও মারা যাচ্ছে। তবে এত গরমের মধ্যে হিট স্ট্রোকের রমরমা বাড়লেও অনেকেরই হিট স্ট্রোকের বিষয়ে ধারণা নেই। এই নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছেন CMRI Hospital এর চিকিৎসক সুমন মিত্র। তিনি এই স্ট্রোককে হালকা ভাবে নিতে নিষেধ করেছেন।

তিনি খুব সহজভাবে এই জটিল স্ট্রোকের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। চিকিৎসক সুমন মিত্রের মতে, হিট স্ট্রোক অত্যন্ত ভয়ংকর একটি স্ট্রোক। যখনই শরীরের ভিতরে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায় তখনই হিটস্ট্রোক হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ক্রস করলে হিট স্ট্রোকের চান্স বাড়ে।

হিট স্ট্রোক এবং ব্রেন স্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য কি?

হিট স্ট্রোক এবং ব্রেন স্ট্রোকের মধ্যে বিপুল পার্থক্য রয়েছে। এই দুটি স্ট্রোক একই নয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন না হলে ব্রেন স্ট্রোক হয়। এক্ষেত্রে শরীরের এক পাশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। অন্যদিকে, হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। রোগী সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে।

গরমকালে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ একমাত্র গরম কালেই শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য হারায়। শরীর আগুনের মতন তপ্ত হয়ে ওঠে। এই কারণেই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

হিট স্ট্রোকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে যা ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না। তাহলেই কিন্তু সাংঘাতিক বিপদ!

প্রথম লক্ষণটি হল মাথা ঝিমঝিম করা –

তাপমাত্রা যখন ৪২° ক্রস করে ঠিক সেই সময় বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় যদি দেখেন মাথা ঝিমঝিম করছে তাহলে অবশ্যই সাবধান। ৪২ ডিগ্রির মতন গরমে , হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর হিট স্ট্রোকের আগে মাথা ঝিমঝিম করা একটি প্রাথমিক লক্ষণ।

দ্বিতীয় লক্ষণটি হল ঘাম হওয়া –

হিট স্ট্রোকের আগে শরীর থেকে প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম নির্গত হয়। এই ঘামের পরিমাণ এতটাই বেশি হয় যে দেখলে মনে হবে যেন স্নান করে উঠেছেন। অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণটি দেখলে অবশ্যই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে সাবধানতা অবলম্বন করে বেড়ুন।

তিন নম্বর লক্ষণটি হল গায়ে কাঁপুনি দেওয়া । অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় হিটস্ট্রোক এর আগে গোটা শরীরে কাঁপুনি দিয়ে ওঠে।

চার নম্বর লক্ষণটি হল বমি হওয়া। হিট স্ট্রোকের আগে সাংঘাতিক রকমের বমি হয়।

চার নম্বর লক্ষণটি হল চোখে ব্ল্যাকআউট দেখা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *