শিয়ালদাহ স্টেশনের যাত্রীদের জন্য, ফাটাফাটি সুখবর! এবার আর বাঁদরের মতন ঝুলে ঝুলে যেতে হবে না, এখন যাত্রা হবে মধুময়
শিয়ালদাহ স্টেশনের যাত্রীদের জন্য,
ফাটাফাটি সুখবর!
এবার আর বাঁদরের মতন
ঝুলে ঝুলে যেতে হবে না!
এখন থেকে জনে জনে পাবেন
বসার সিট!
শুয়ে, বসে, হেসে, খেলে
পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে!
দুর্ধর্ষ উদ্যোগ নিয়ে হাজির
শিয়ালদাহ রেল কর্তৃপক্ষ!
শুনলে মাথা ঘুরে যাবে,
যাত্রীরা আনন্দে লাফাবেন
কি? এতক্ষণে নিশ্চয় ট্রেন যাত্রীদের মনের মধ্যে লাড্ডু ফুটছে! অনেকেই হাফ ছেড়ে নিশ্চয় বলছেন, তীব্র চাঁদি ফাটা গরমে আর রোজকার ট্রেনের ভিড় কামরায় ধস্তাধস্তি করতে হবে না! আসলেই তাই। সত্যি সত্যিই তাই!!!!!! এবার ট্রেন যাত্রীদের আর কষ্ট করতে হবে না। এখন থেকে বাঁদরের মতন ঝুলে ঝুলে ট্রেনে চড়ে গন্তব্যেও পৌঁছাতে হবে না। রেলযাত্রীদের জন্য আরামে শুয়ে, বসে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের নতুন পদক্ষেপে যাত্রীরা ভিড়মুক্ত কামরায় শুয়ে, বসে গল্প করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
রেলের এই নতুন পদক্ষেপটি ঠিক কি রকম হতে চলেছে, দেখুন ——–
রেলের এই নতুন উদ্যোগটি হল, ট্রেনের বগি তথা কামরা বাড়ানো। পূর্ব রেলের শিয়ালদাহ সূত্রের খবর অনুযায়ী, শিয়ালদার মেইন, নর্থ ও সাউথ এর দুদিকে যাতায়াতকারী প্রত্যেকটি ট্রেনের বগি সংখ্যা বাড়িয়ে এখন থেকে ১২ টি করা হবে। এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে ট্রেনে আরো বেশি করে জায়গা পাওয়া যাবে। কামরা বাড়লে, ট্রেনে ঠাসাঠাসি কম হবে। যাত্রীরা আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে, আরামে বসে বসে গন্তব্যস্থলে রওনা দিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই কল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শিয়ালদা স্টেশনে ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্ম বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু ট্রেনের কামরা তথা কোচ বাড়ানো হলে প্ল্যাটফর্মও বড় করতে হবে,,,, তাই ইতিমধ্যেই শিয়ালদা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু বাড়তি কামরা যোগ হবে এমনটাই নয়। একই সঙ্গে নতুন ট্র্যাক সংযুক্তিকরণ, নতুন লেআউট অনুযায়ী ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন এর ব্যবস্থা এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশন এর কাজও করা হবে। অর্থাৎ সহজ কথায় বললে শিয়ালদা স্টেশনে আমুল পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। যা কেউ দেখেনি।
নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রেল কর্মীরা ইতিমধ্যেই কাজ আরম্ভ করে দিয়েছে। ঠিকঠাকভাবে কাজ চললে খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। আর সেই হিসেবে খুব দ্রুত পরিষেবাও শুরু হয়ে যাবে।
Leave a Reply