Titel:
কি আপনিও মোয়ে মোয়ে রিলসে মজে আছেন? এই গানেই কুপোকাত এখন গোটা সোশ্যাল মিডিয়া!
focus:
কি আপনিও মোয়ে মোয়ে
রিলসে মজে আছেন?
এই গানেই কুপোকাত
এখন গোটা সোশ্যাল মিডিয়া!
বিয়ে হোক কিংবা আইপিএলের ম্যাচ
সবেতেই দেদার ব্যবহার এই গানের!
কিন্তু ভাইরাল এই গানের আসল
অর্থ কি সে সম্পর্কে কি জানা আছে?
কোথা থেকে উৎপত্তি
মোয়ে মোয়ে শব্দের?
দেখে নিন
আজকের প্রতিবেদনে
Body:
সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বাজছে মোয়ে মোয়ে! রীতিমত এই গানের প্রতি পাগল গোটা দেশ। জামাল কুদুর পর এখন সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডে মোয়ে মোয়ে। ফেসবুক হোক কিংবা ইন্সটাগ্রাম সবতেই এই একটি মাত্র গান। আর কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছেও এই গানটি অত্যন্ত পছন্দের। তবে এই ট্রেন্ডিং সংয়ের গণ্ডি পৌঁছে গিয়েছে আইপিএলের ম্যাচ থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়িতেও। ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাতেও বাজছে “মোয়ে মোয়ে”। ইডেনের মাঠে উইকেট পড়লেও বাজছে একই গান । শুধু কি তাই অফিসের বসের ঝাড় খেলেও পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভেসে আসছে মোয়ে মোয়ে গান। ব্রেকআপ হলেও আর অরিজিৎ সংয়ের স্যাড সং নয় , এই গানটিই যথেষ্ট। আজকাল তো আবার বলিউডে তারকারাও স্টেজে উঠে এই গানের সুর ধরছেন। তবে এই যে গানটিকে নিয়ে এত রিলস এত কিছু হচ্ছে। কিন্তু এই গানের আসল অর্থটা কি আদৌ জানা আছে? কোথা থেকে এলো এই মোয়ে মোয়ে শব্দটি? আমাদের আজকের প্রতিবেদনে জানাবো মোয়ে মোয়ে এই গানের আক্ষরিক অর্থ।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই গানটি আসলে একটি সার্বিয়ান গান “ডেজনাম”। গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ান গায়িকা টেয়া ডোরা। ইতিমধ্যেই এই গানটি প্রায় ৬০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তবে যত না ভিউজ হয়েছে তার চেয়ে বেশি সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড হতে দেখা গেছে। রাতারাতি যেন গানটিকে সমাজ মাধ্যমে হু হু করে ভাইরাল হতে দেখা যায়। কিন্তু একটু ভালো করে শুনলে লক্ষ্য করবেন গানটির আসল উচ্চারন “মোয়ে মোরে”। যেখানে ভারতীয়রা গানটিকে বানিয়ে ফেলছেন “মোয়ে মোয়ে”। আর এই গানটিকে পুরোপুরিভাবে মজার ছলে নিয়েছেন ভারতীয়রা। তবে এই গানের আসল অর্থ কিন্তু অন্য। সার্বিয়ান ভাষায় এই মোয়ে শব্দের অর্থ হচ্ছে দুঃখ, বেদনা। গোটা গানের প্লটকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে জড়িয়ে রয়েছে শুধু দুঃখ আর দুঃখ। অবসাদ, মনখারাপ এই সমস্ত কিছুকে ঘিরেই এই গানের কাহিনী। কিন্তু যত দুঃখই আসুক না কেন এই দুঃখের মধ্যেই সুখ খোঁজার চেষ্টা করছেন গায়িকা টেয়া ডোরা। এমনকি গায়িকা এই গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর জীবনে এমন কেউ আসুক যে এই সমস্ত দুঃখ ঘুচিয়ে দেবে। সেই মানুষটির হাত ধরে সুখের সন্ধান মিলবে। কিন্তু সে গান জুড়ে যতই দুঃখ থাকুক না কেন ভারতীয়রা এই গানটিকে না বুঝেই আনন্দের খাতায় তুলে নিয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে তারা ব্যাকগ্রাউন্ডে এই গানটি চালাচ্ছে। গোটা সমাজমাধ্যমে যে হারে এই গানটি ভাইরাল হচ্ছে তা দেখে রীতিমত অবাক গায়িকা। তবে তিনি বেশ খুশি হয়েছেন তার গান এইভাবে ভাইরাল হতে দেখে। এখনও প্রায় সকলের মুখে মুখে এই গানটি শুনতে পাওয়া যায়।ভারতীয়দের কাছে এই গানের জনপ্রিয়তা ঠিক কতোটা তা আর আলাদা করে ভাষায় প্রকাশ করতে হবে না।
Leave a Reply