এই গরমে সানস্ক্রিন থেকে ছড়াচ্ছে ক্যান্সার ! মেয়েদের শরীরের থাবা বসাচ্ছে ক্যান্সারের জীবাণু!
এই গরমে সানস্ক্রিন থেকে
ছড়াচ্ছে ক্যান্সার !
মেয়েদের শরীরের থাবা
বসাচ্ছে ক্যান্সারের জীবাণু!
আজই বন্ধ করুন
সানস্ক্রিন মাখা !
না হলে বিপদের
মুখে আপনি !
ক্যান্সারের প্রকোপে আপনার
জীবনে ঘনিয়ে আসবে মৃত্যু সংকট !
কিভাবে ছড়াচ্ছে সানস্ক্রিন
থেকে ক্যান্সার ?
এর লক্ষণ গুলোই
বা কি ?
দেখে নিন
মেয়েরা সাবধান ! আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। সানস্ক্রিন থেকে ছড়াচ্ছে মারাত্মক ক্যান্সার। সূর্যের রোদ থেকে বাঁচতে যে সানস্ক্রিন আপনারা প্রতিনিয়ত মুখে মেখে চলছেন। সেই সানস্ক্রিনই মৃত্যুর অন্যতম কারণ। প্রায় সকল মেয়েরাই গরমে দেদার সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকেন। শুধু মুখেই না গায়ে হাতে পায়েও অনেকে মেখে থাকেন। আসলে সানস্ক্রিন মাখলে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা মেলে। সেই সাথে , মুখে ট্যানও পড়ে না। তবে আপনি ত্বকের সুরক্ষা করতে গিয়েই শরীরে বাসা বাঁধাচ্ছেন মারন রোগ ক্যান্সারের। বিষয়টা অনেকের কাছে আজগুবি মনে হতে পারে? তবে একথা আমরা বলছি না,,,,,,,,, বলছে বড় বড় গবেষকরা। বিশিষ্ট গবেষকদের মতে সানস্ক্রিনও ক্যান্সারের অন্যতম বন্ধু। বিশেষ করে মেয়েদের এই ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। কারণ পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই সানস্ক্রিন বেশি ব্যবহার করেন । কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে সানস্ক্রিন কিভাবে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে ? আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরব সেই সমস্ত তথ্যই।
সবার আগে দেখে নিই সানস্ক্রিন কিভাবে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে ?
মনে রাখবেন সানস্ক্রিন যেমন একাধারে ভালো তেমনি একাধারে খারাপও। তবে সব সানস্ক্রিন ক্যান্সারের কারণ নয়। বিশেষ কিছু সানস্ক্রিন থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। গবেষকদের মতে আজকাল সানস্ক্রিনে বেনজিন মেশানো হয়। এই উপাদানটি বর্ণহীন এবং তরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। বিশিষ্ট গবেষকদের মতে এই বিষাক্ত পদার্থটি ক্যান্সার সৃষ্টিকারীর অন্যতম উপাদান। এটি মূলত ব্যবহার করা হয় কিছু রাসায়নিক পদার্থের জন্য। কিন্তু বেনজিনের পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে ক্ষতি নেই। তবে উচ্চমাত্রা বেনজিন যুক্ত সানস্ক্রিন ক্যান্সারের কারণ। এই উপাদানটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কোষগুলি ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে। সেই সাথে ভালো কোষগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়ে,,,,,,, জন্ম দেয় ক্যান্সারের কোষকে। তবে মনে রাখবেন বাজারে সব সানস্ক্রিনে কিন্তু বেনজিন মেশানো হয় না । যেগুলি বেনজিন ছাড়া সেই সানস্ক্রিন সেগুলি ব্যবহার করুন।
প্রশ্ন হচ্ছে সানস্ক্রিন থেকে কি ক্যান্সার হতে পারে ?
যেহেতু বেশিরভাগ মেয়েরা সানস্ক্রিন মুখে বেশি ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে । এমন কি আজকাল আমরা হাতে, পিঠে,গলাতেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি। এর ফলে এই উপাদানটি রক্তে মিশে গিয়ে রক্তের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে । সেই সাথে দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকেও ক্ষতিকর করে তোলে।
এই ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি ?
এক, চুলকানি:
সানস্ক্রিন মাখার পর আপনার ত্বকে মারাত্মকভাবে চুলকানি সৃষ্টি হবে। একসময় চুলকানি এমন পর্যায়ে চলে যাবে যে সেখান থেকে রক্তপাত পর্যন্ত সৃষ্টি হতে পারে। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রথম প্রথম এই লক্ষণ গুলি দেখা যাবে না। ব্যবহারের কিছুদিন পর চুলকানি শুরু হবে।
দুই, অতিরিক্ত পরিমাণে ফুসকুড়ি:
ত্বকের ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ফুসকুড়ি। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে ভালো কোষগুলি মরে যাওয়ায় । আপনার ত্বকের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এর ফলে কোন কারণ ছাড়াই মুখে ফুসকুড়ি বেরোতে থাকে। তবে সব ফুসকুড়ি যে ক্যান্সারের কারণ তেমনটা নয়। ঘন ঘন ফুসকুড়ি বেরোতে থাকলে আপনার হয়তো ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে।
তিন, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া:
সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার ত্বক লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা। অনেক সময় আপনারা বিষয়টিকে এলার্জি বলে এড়িয়ে চলে যায় । কিন্তু এটা এলার্জি নাও হতে পারে। সানস্ক্রিনে থাকা বেনজিনের প্রভাব আপনার ত্বকে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলছে। যার ফলে ত্বক লাল হয়ে উঠছে।
এছাড়াও দুর্বলতা, ঘনঘন গা-হাত-পা ব্যথা, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে চোখ ফুলে যাওয়া, ক্ষত সারতে সময় নেওয়া এগুলিও ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
কিভাবে এই ক্যান্সার থেকে বাঁচবেন?
যখনই সানস্ক্রিন কিনবেন চেষ্টা করবেন একটু ব্র্যান্ডেড সানস্ক্রিন কেনার। কারণ উচ্চমানের সানস্ক্রিন গুলিতে এই বেনজিন উপাদানটি থাকে না। তাই বাজারে সানস্ক্রিন কিনতে গেলেই অবশ্যই ভালো করে দেখে নিয়ে তারপরেই কিনবেন। এভাবে ক্যান্সার রোধ করা যাবে।
Leave a Reply