ভোটের মধ্যেই বড়সড় পরিবর্তন ! 

ভোটের মধ্যেই বড়সড় পরিবর্তন ! এবার আর ৫০০ – ১০০০ দিন শেষ , ইলেকট্রিক বিলের জন্য গুনতে হবে কড়কড়ে নোট ;

 

ভোটের মধ্যেই

বড়সড় পরিবর্তন !

 

এবার আর ৫০০ – ১০০০

দিন শেষ !

 

ইলেকট্রিক বিলের জন্য

গুনতে হবে কড়কড়ে নোট !

 

ইউনিট প্রতি

বাড়ল  দাম !

 

WBSEDCL নয়া

পরিবর্তন !

 

মধ্যবিত্তদের

মাথায় হাত  !

 

দেখে নিন

কত টাকা বাড়ল

প্রতি ইউনিট ?

 

চলছে এপ্রিল মাস ! এই মুহূর্তে যা গরম পড়েছে তাতে করে গোটা বঙ্গ জুড়ে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে । আর এই গরম থেকে বাঁচতে একমাত্র এসি , পাখা, কুলার ভরসা। তবে শুধু গরমেই কারেন্ট ব্যবহার হয় এমনটা নয় । আজকাল যেকোনো সময় কারেন্ট মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ । সকলের বাড়িতে লাইট, পাখা, ফ্রিজ ,এসির দেদার ব্যবহার। হ্যাঁ কিন্তু গরম পড়লে কারেন্টের ব্যবহার একটু বেশি বেড়েই যায়। যার জেরে সকলেরই চিন্তা থাকে গরমের সময় কারেন্টের বিল কত আসবে ?  আর এবছর যেহেতু গরমের তাপমাত্রা অন্যান্য বছরের  তুলনায় একটু বেশি পড়েছে । এরফলে সকলের বাড়ি বাড়ি এসি , কুলার পাখা একটু বেশিই চলছে । কিন্তু হঠাৎ করেই জানা যাচ্ছে ইলেকট্রিক বিলের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে । ভোটের আবহে ঠিক এমন ঘটনা গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে । একেই বাজারে জিনিসপত্রেরব যা দাম তাতে মধ্যবিত্তদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা । আর তার মাঝে  WBSEDCL এর নয়া পরিবর্তন মধ্যবিত্তদের মাথায় বাজ ফেলেছে । প্রতি ইউনিটের চার্জ যা ছিল তা  হুট করেই বেড়ে গিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টকে ঘিরে। সামাজিক মাধ্যমে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ইলেকট্রিক বিল সংক্রান্ত একটি তথ্য শেয়ার করেছেন। পোস্টটি দেখে মনে হচ্ছে তাঁর নিজের বাড়িতেই এই বিলটি এসেছে । পোস্টটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন , ভোটের আগেই  WBSEDCL এর তরফ থেকে নতুন উপহার দেওয়া হল সকলকে । যদিও এটা উপহার বলা ভুল । মধ্যবিত্তদের জন্য বড়সড় বাঁশ । পুরনো ইউনিটের চার্জ বদলে গিয়ে নতুন ইউনিটের চার্জ আনা হয়েছে ৯ টাকা ২২ পয়সা । সেই সাথে তিনি আরও লেখেন এই চার্জ ২৮৯ ইউনিট বেশি কারেন্ট ব্যবহার করলে তখন আসতো । কিন্তু এখন ১১৮ ইউনিট হলেই চার্জ হয়ে দাঁড়াবে ৯ টাকা ২২ পয়সা। এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আসার পর রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে । বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের মধ্যে চিন্তা শুরু হয়েছে । তবে এই পোস্টকে ঘিরে নানা লোকে নানারকমের মন্তব্যও করেছেন । কেউ কেউ বলছেন যে , ভোটের আগে কারচুপি করা হচ্ছে না তো । আবার কেউ কেউ এই পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করছেন। আসলে তাদের মতে , প্রতিবছর অর্থবর্ষের সময় নিয়ম অনুসারে নতুন টারিফ রেট চার্জ আপডেট করা হয়। তবে সব সেকশনের টারিফ রেট বেড়ে যায় এমনটা কখনোই নয় । এবার যিনি পোস্ট শেয়ার করেছেন  তার কাছে ৮৬ দিনের অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এপ্রিল মাসের ওপর ভিত্তি করে বিল এসেছে । তার মধ্যে ৬০ দিনের পুরনো টারিফ অনুযায়ী চার্জ কেটেছে আর বাকি ৩০ দিনের ইউনিট এসেছে নতুন টারিফের উপর। তাই ইউনিটের যে কোনও পরিবর্তন হয়নি সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । আবার একদল তো পুরো গোটা বিষয়টা অঙ্কের মত কষে বুঝিয়েছেন যে পুরো বিষয়টা একেবারেই ভুল। তাই যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন সেটি হয়তো কোথাও না কোথাও গিয়ে ভুল হতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে । আর যদিও ইউনিট বেড়েও গিয়ে থাকে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই । কারণ আমরা সকলে যে পরিমাণ কারেন্ট ব্যবহারকারী তা মাত্রার বাইরে চলে যাচ্ছে। একসময়ে এর ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসলে কিন্তু সকলকেই সমস্যায় পড়তে হবে । এই নিয়ে কিন্তু আগে ভাগেই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সাবধানও করে দিয়েছেন।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *