মেয়েদের লজ্জা স্থানে কালো দাগ কেন হয় জানেন?!

মেয়েদের লজ্জা স্থানে কালো দাগ কেন হয় জানেন?!

মেয়েদের লজ্জা স্থানে কালো
দাগ কেন হয় জানেন?!

আপনিও কি এই
সমস্যায় ভুগছেন ?

নানা ধরনের উপায় প্রয়োগ করেও
কালো দাগ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না !

বিচ্ছিরি কালো দাগ
আপনাকে লজ্জায় ফেলছে !

ঠিক কোন কারণে আপনার লজ্জাস্থান
কালো কুচকুচে হয়ে যায় !

এই সমস্যা থেকে মুক্তি
পাবেন কিভাবে?

দেখে নিন ঝটপট

প্রায় প্রতিটা মেয়েই নিজেদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। রূপচর্চা চুলচর্চা তাদের নিত্যদিনের রুটিন। কিন্তু এত কিছু চর্চা করার পরও দিনের শেষে একটা সমস্যা সকল মেয়েদের পোহাতে হয়। আর সেটি হচ্ছে লজ্জাস্থান কালো হয়ে যাওয়া। মুখের দাগ, ব্রণ, চুলকানির মত সমস্যা থেকে নিমিষেই ছুটকারা পাওয়া যায়। কিন্তু মেয়েদের লজ্জা স্থান কালো হয়ে যাওয়া এযেন এক বিরাট বড় সমস্যা। এত সহজে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। প্রায় সকল মেয়েরাই লোক লজ্জার ভয়ে এ কথা সকলের সামনে খুলেও বলতে পারেন না। এমনকি ডাক্তার দেখাতে গেলেও এই সমস্যার জন্য অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। তবে মেয়েদের লজ্জাস্থান কালো হয়ে যাবার পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। প্রায় সময় তারা এমন কিছু ভুল করে থাকেন যার জন্য এমন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কি সেই কারণ গুলি একে একে দেখে নিন –

এক, আঁটোসাঁটো প্যান্ট:

মেয়েদের লজ্জা স্থানে কালো দাগ হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আঁটোসাঁটো প্যান্ট পড়া। প্রায় সকল মেয়েরাই নিজেদের স্মার্ট দেখানোর জন্য অত্যন্ত টাইট প্যান্ট পড়ে থাকেন । এমনকি নিচের লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য ভেতরের জামাও একবারে টাইট পড়ে থাকেন। অনেকে ভাবেন সারাদিন ওই স্থান ঢাকা রাখলে পরিষ্কার থাকবে। কিন্তু এমন ধারণা ভুল। অতিরিক্ত টাইট প্যান্ট পড়ার ফলে ওই জায়গায় ঘর্ষণ হতে থাকে। এই ঘর্ষণ হওয়ার ফলে আপনার ওই স্থানটি ছিড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ হতে থাকলে ওই ছিড়ে যাওয়া স্থানগুলি কালো হতে থাকে। শুধু তাই নয় টাইট প্যান্ট ব্যবহারের ফলে লজ্জাস্থানে ঘাম সৃষ্টি হয় । এই ঘাম জমার ফলে আপনার ওই স্থানে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জমা হতে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া গুলি আপনার ওই স্থানটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। অনেক সময় ওই স্থানে নানা ধরনের ফুসকুড়ি র‍্যাশ তৈরি হয়। এগুলি একসময়ে কালো দাগেও পরিণত হতে পারে ।

দুই, শরীর আদান প্রদান:

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে মেয়েদের লজ্জা স্থানে পিগমেন্টেশন হওয়ার কারণ শারীরিক মিলন। সকল মেয়েরাই তার বয়ফ্রেন্ড হোক কিংবা স্বামীর কাছাকাছি আসে। শরীর আদান প্রদানের ফলে মেয়েদের ওই স্থানে সাংঘাতিকভাবে ঘর্ষণ হয় । আর এই ঘর্ষণ মেয়েদের ওই স্থানটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। যার ফলে ওখানে কালো দাগ পড়ে যায়।

তিন, হাঁটাচলা:

হাঁটা চালাও এই সমস্যার আরো একটি কারণ। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে হাঁটা মেয়েদের ওই স্থানকে আঘাত করে। এমনকি অত্যাধিক চেপে হাঁটাও মেয়েদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কারণ পায়ের সাথে মেয়েদের লজ্জাস্থানের সংযোগ রয়েছে। চেপে হাঁটলে কিংবা তাড়াহুড়ো করে হাঁটলে ওই স্থানটি ক্রমাগত আঘাত পেতে থাকে। এই আঘাতের ফলে অনেক সময় মেয়েদের তলপেটের নিচে থাকা হরমোনে সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় হরমোনের এই সমস্যা কালো দাগ তৈরি করে।

এরপর আসি কিভাবে এই কালো দাগ দূর করবেন :

বেকার ডাক্তার দেখিয়ে টাকা খরচ করতে হবে না। তারচেয়ে বরং ঘরোয়া উপায় লজ্জাস্থানের দাগ দূর করুন।

এক, টকদই:

শুধু টকদই ব্যবহার করেই মেয়েদের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করা যাবে। তবে একদম ঠান্ডা দই ব্যবহার করবেন না। মোটামুটি ঠাণ্ডা রয়েছে তেমন দই ব্যবহার করুন। লজ্জাস্থানে দই লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন । এরপর উষ্ণ গরম জল দিয়ে ওই জায়গাটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। আসলে দই এমন একটি জিনিস যার দ্বারা ত্বকের যে কোন চুলকানি, র‍্যাশ সহজেই দূর করা যায়।

দুই, অ্যালোভেরা জেল:

ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। । বাড়িতে থাকা অ্যালোভেরা গাছ থেকেও জেল ব্যবহার করতে পারেন কিংবা দোকান থেকে কিনে আনা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। লজ্জা স্থানের চারপাশে ভালো করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রেখে দিন । এরপর ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করেই কাজ করুন দেখবেন এর দুর্দান্ত রেজাল্ট।

তিন, আলু:

ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে আলু হচ্ছে সবচেয়ে সেরা উপাদান। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে, দাগ ছোপ দূর করতে মোক্ষম ওষুধ। আলু গুলি গোল গোল করে কেটে, লজ্জা স্থানে আশেপাশে ভালো করে ঘষে নিন। আলুতে থাকা রস আপনার ওই স্থানে লাগালেই হবে। ব্যাস এরপর মিনিট দশেক রেখে আপনার স্থানটি পরিষ্কার করে নিন। তবে হ্যাঁ আলু দেওয়ার পর কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নেবেন। এতে করে ওই স্থানটি আরো ভালো থাকবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *