জানেন ? মহানায়ক কখনোই বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না !

জানেন ? মহানায়ক কখনোই বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না ! লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করে কখনো ভোট দিতে হয় নি তাকে ;

 

জানেন ? মহানায়ক কখনোই বুথে গিয়ে
ভোট দিতেন না !

লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করে
কখনো ভোট দিতে হয় নি তাকে !

কিন্তু একবারের জন্যও
ভোট মিস করেননি উত্তম কুমার !

কি এমন বিশেষ ব্যবস্থা
তিনি পেতেন ?

যার জন্য লাইনে না দাঁড়িয়েও
ভোট দিতে পারতেন !

 

 

আজও বাংলা সিনেমার কথা উঠলে সবার আগে যে নামটি মাথায় আসে তিনি আর কেউ নন উত্তম কুমার। জনপ্রিয়তার কথা উঠলে সবার শীর্ষে একমাত্র তিনি। বাংলা ছবির অন্যতম স্তম্ভ এই মানুষটি। তিনি শুধু মহানায়কই নন ……….. বাংলার ম্যাটিনী আইডল। তবে মহানায়ক তার এমনি এমনি হননি। একজন সেরা অভিনেতা হতে গেলে যে যে গুণের প্রয়োজন ঠিক সেই গুনই তার মধ্যে ছিল। আর এই মহানায়ক হওয়ার দরুণ একসময় সব জায়গায় তিনি বিশেষ সুবিধাও পেতেন। তারকা মানুষ বলে কথা তারা তো সব জায়গায় সুবিধা পাবেনই তাই না। কিন্তু সেলিব্রেটিরা সব জায়গায় সুবিধা পেলেও একটি জায়গায় কখনোই বিশেষ সুবিধা পান না। সেটি হল ভোট। ভোটের সময় আমজনতা হোক কিংবা তারকা এখানে কোন বাছ-বিচার নেই । যত বড়ই তারকা আসুক না কেন লাইন দিয়েই ভোট দিতে হবে। তবে একমাত্র উত্তম কুমার যিনি ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে ভোট দিতেন। কখনো আর সাধারণ পাঁচটা মানুষের মতো লাইনেও দাঁড়াতে হয়নি তাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কিভাবে তাহলে ভোট দিতেন? ভোট কেন্দ্র ছাড়া তো আর ভোট দেওয়া যায় না । তাহলে তার জন্য কি এমন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো ?

ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে লোকসভা ভোট নিয়ে মাতামাতি। আর তারই মাঝে উত্তম কুমারের এমন কাহিনী শুনে সকলের মনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মহানায়ক হওয়া দরুণ তিনি ঠিক কোন স্পেশাল সিস্টেমে ভোট দিতেন ? আর এই বিষয় জানিয়েছেন খোদ মহানায়কের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। যদিও তিনি ঠাকুরদাকে নিজের চোখে দেখেননি। বাড়ির বড়দের মুখে শুনেছেন তার ঠাকুরদা ঠিক কিভাবে ভোট দিতেন। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে মহানায়ক কখনোই বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। প্রথমত তিনি একজন মহানায়ক। আর এখন যদি তিনি বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন । তাহলে ভোট দেওয়া তো দূর সেখানে তাকে দেখার ভিড় জমবে। স্বাভাবিকভাবেই সেইসময় মহানায়ককে দেখার জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকতেন। আর মহানায়ক এসেছে শুনলে সকলে ভোট দেওয়া ছেড়ে তাকে ঘিরে ধরবে । আর এই ভিড়ের ফলে ভোট কেন্দ্রে নানারকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয় তিনি অনেক সময় দেখেছেন তাকে দেখার জন্য মানুষের উচ্ছ্বাস এতটাই বেড়ে যেত,,,,,,,,,,,, যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যেত। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনি কখনোই ভোট দিতে যেতেন না। বাড়িতে বসেই তার ভোট দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতেন। সরকারি কর্মীরা তাঁর বাড়িতে আসতেন। আর উত্তম কুমার নিজের ভোট একটি খামে ভরে ভোট কর্মীদের হাতে তুলে দিতেন। এভাবেই তিনি প্রতি বার নিজের ভোট প্রয়োগ করতেন। এছাড়াও তিনি মহানায়ক হওয়ার আগে পোর্ট ট্রাস্ট এর চাকুরীজীবী ছিলেন। যার ফলে তিনি এই বিশেষ সুবিধা পেতেন। এছাড়াও ভোটের সময় নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে,,,,,,,,,,,, সেই সময়ের ক্ষমতায় থাকা সরকার তাকে এই সুবিধা দিয়েছিল । ভাবতেও অবাক লাগে আজকালকার দিনে যেখানে তারকাপ্রার্থীরা ভোটের জন্য লড়াই করছেন। আর সেই উত্তম কুমারকে নাকি ভোটের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতো। ঠিক হয়তো এই জন্যই উত্তম কুমার মহানায়ক। যার কোনও বিকল্প এসেছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দশবার ভাবতে হয় ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *