কোন বয়সে বিয়ে করলে ছেলেদের আয়ু বাড়ে ?

কোন বয়সে বিয়ে করলে ছেলেদের আয়ু বাড়ে ? ২৫ নাকি ৩০ নাকি ৪০ !

কোন বয়সে বিয়ে করলে
ছেলেদের আয়ু বাড়ে ?

২৫ নাকি ৩০ নাকি ৪০ !

কোন বয়সে বিয়ে করলে
ছেলেরা তাড়াতাড়ি মরে যায় ?

বিয়ে করার সঠিক
বয়স কোনটি !

গবেষণায় বেরিয়ে এলো
চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিয়ের সঠিক কোনও বয়স আছে নাকি ? হ্যাঁ আছে তবে সেটা মেয়েদের ক্ষেত্রে ! ওই যে কথায় বলে মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। তাই বুড়ি হওয়ার আগে সকলেই মেয়েদের বিয়ে দিতে চান। অন্যদিকে ছেলেরা ৩০-৩৫ কেনো ৫০ পার করে গেলেও কোন সমস্যা নেই। সোনার আংটি বাঁকা হোক বা ট্যারা। সোনার তো কদর থাকবেই । এমনটাই মনে করে আসেন সমাজের লোকেরা। তাই ছেলেরা বেশি বয়সে বিয়ে করলেও কোন সমস্যা নেই। আর আজকাল যেনো ছেলেদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তারা বিয়ের জন্য বেশি বয়সটাকেই বেশি প্রায়োরিটি দেন । আসলে ছেলেদের একটাই নীতি আগে নিজেদের লাইফ সেটেল করবে তারপরে বিয়ে । সে বিয়ে নিয়ে নানা মুনির মত রয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন বয়সে বিয়ে করলে ছেলেদের আয়ু বাড়ে। বিয়ে করলে শুধু লাল টুকটুকে বউ পাওয়া যায় এমনটাই নয় । বিয়ে করলে দীর্ঘায়ুও হওয়া যায়। তবে তার জন্য প্রয়োজন সঠিক বয়সের। গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখান থেকে জানা গিয়েছে কোন বয়সে বিয়ে করলে ছেলেরা লম্বা আয়ু পাবেন।

সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফের ছেলেদের বিয়ে নিয়ে একটি সমীক্ষা পেশ করা হয়েছে । এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে ছেলেদের সঠিক কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু মেয়েদেরই নয় ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করা উচিত । সমাজ শুধু মেয়েদের কুড়িতে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে । তবে গবেষণা বলছে ছেলেদেরও ২৫ বছর হলেই বিয়ে করা নেওয়া মঙ্গল । এবার অনেকেই বলবে এ আবার কেমন কথা ? এত তাড়াতাড়ি কি ছেলেদের ক্যারিয়ার সেটেল হয়ে যায় নাকি ?  যে বিয়ে করবে ।  না সেটা হয়তো হয় না…………… তবে ছেলেদের আয়ু বাড়ে । গবেষকদের মতে , ছেলেরা যৌবন থাকাকালীনই  বিয়ে করাটাই সঠিক সময় । বিয়ে যেহেতু সারা জীবনের একটা দায়িত্ব। আর অল্প বয়স থেকে এই দায়িত্ব নিতে পারলে দাম্পত্য জীবনে এর বেশ প্রভাব পড়ে । শুধু তাই নয় , একটা নতুন মানুষকেও চিনতে জানতে সময় লাগে । আর ছেলেরা যদি বিয়ে তাড়াতাড়ি করেন । তাহলে হাতে অনেকটা সময় থাকে একে অপরকে সময় দেওয়ার। আর নিজের জীবন সঙ্গীকে সঠিক ভাবে চিনে নিতে পারলে মাথা থেকে বোঝা কিছুটা হলেও কমে যায় । মাথা থেকে দাম্পত্য জীবনের বাড়তি চাপ নেমে গেলে মানসিক দিক থেকে প্রশান্তি আসে। আর মানসিক চাপ কমে যাওয়া মানে হার্ট সুস্থ থাকা, রক্তচাপও সঠিক মাত্রায় থাকা। এককথায় পুরো শরীর রোগমুক্ত থাকবে এবং আপনার আয়ুও তরতরিয়ে বাড়বে ।

আর বেশি বয়সে বিয়ে করা কেন ঠিক নয় সেই ব্যাখ্যাও করি আপনাদের। আসলে বেশি বয়সে বিয়ে করার ফলে সাংসারিক চাপ , অফিসের চাপ সব মিলিয়ে আপনাকে নাজেহাল করে রাখে। অনেক সময় দেখা যায় স্বামীর বয়স বেশি এবং স্ত্রীয়ের বয়স কম । এরফলে বোঝাপড়া ঠিক ভাবে হয় না । বাড়িতে নিত্যনতুন ঝামেলা লাগতেই থাকে ।  দিনের পর দিন এমন চলতে থাকার ফলে আপনাকে মানসিক এবং শারীরিক দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় । এর ফলে আপনার শরীরে নানাধরনের রোগ দেখা দেয় । বিশেষ করে হার্টের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে । হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। শুধু হার্ট অ্যাটাকই নয় বরং ডায়াবেটিস, রক্তচাপ সহ বিভিন্ন রোগ শরীরে দেখা দেয় । এরফলে আয়ু কমতে থাকে ।

তাহলে বুঝতেই পারছেন কম বয়সে বিয়ে করা কেন উচিত ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *