কেঁদে কেটে ভাসাচ্ছেন শেখ শাহজাহান

কেঁদে কেটে ভাসাচ্ছেন শেখ শাহজাহান ! আল্লাহার দুয়ারে মাথা ঠুকছেন তিনি ! ৫৩ দিনে ভোল বদল সন্দেশখালির বাঘের!

 

কেঁদে কেটে ভাসাচ্ছেন
শেখ শাহজাহান !

আল্লাহার দুয়ারে
মাথা ঠুকছেন তিনি !

৫৩ দিনে ভোল বদল
সন্দেশখালির বাঘের!

বাঘ এখন
ভেজা বিড়াল!

বউ-বাচ্চাকে দেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে
কাঁদছেন সন্দেশখালির সম্রাট !

শেখ শাহজাহানের এমন
পরিণতি দেখে সকলেই হতবাক !

কথায় বলে সময়ের ছোবলে আজ যে রাজা, কাল সে ফকির! কিন্তু তাই বলে সময় যে বাঘকেও কাঁদায় এমনটা জানা ছিল না। না না তাই বলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কাঁদছে এটা ভাববেন না । কাঁদছে সন্দেশখালির টাইগার ওরফে শেখ শাহজাহান। কি শুনে অবাক হচ্ছেন ! যার কি না, চলনে বলনে সব সময় বাঘের দাপট দেখা যায়,,,,,,,,,,,, সেই মানুষটাই কাঁদছেন। হয়তো একেই বলে বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা পুলিশ ছুঁলে ৩৬ । মাত্র ৫৩ দিন তার মধ্যেই কেঁদে ভাসালেন শেখ শাহজাহান। কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছেন। আদালত চত্বরের সামনে এসে নিজের কান্না ধরে রাখতে পারলেন না। তার কান্না দেখে অবাক সকলেই । কি এমন হলো এই ৫৩ দিনে ? যে হঠাৎ করে তার রঙ রূপ বদলে গেল।

সম্প্রতি শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। সেদিন কার্যত আগামি শুনানির জন্যই তাকে আদালতে হাজির হতে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়মত শুনানিও শেষ হয়ে যায় । এতদূর সব ঠিক ছিল। কিন্তু আদালত থেকে বেরিয়েই যেন সবকিছু বদলে যায়। প্রিজন ভ্যানে করে যখন আদালত ছাড়ছেন সেই সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। কান্নার কারণ তার স্ত্রী এবং মেয়ে। প্রিজন ভ্যানের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন দুজনে। মেয়ে শাহজাহানকে দেখামাত্রই আব্বু বলে ডেকে ওঠে। এতদিন পর মেয়ের মুখ থেকে আব্বু ডাক শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। প্রিজন ভ্যানের জানলার এক চিলতে ফাঁক দিয়েই আঙ্গুল বাড়িয়ে দেন বউয়ের দিকে। স্ত্রীয়ের আঙ্গুল জড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে বলেন,,,,,,,, আল্লাহার কাছে দোয়া করতে। স্বামীর এমন করুন পরিনতি দেখে কেঁদে ওঠেন স্ত্রীও। ব্যাস এটুকুই কথোপকথন। নিজের কান্না ঢাকতে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন শাহজাহান। এমনকি চোখের জল পর্যন্ত মুছতে দেখা যায় তাকে। আর তার এই কাণ্ড দেখে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছে বাংলার মানুষেরা। এইতো মাস কয়েক আগের ঘটনা। রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে একসময় তার ডেরা থেকেই অফিসারদের মার খেয়ে ফিরে আসতে হয়। এমনকি শাহজাহানকে ধরতে গিয়েও পুলিশদের কম নাকানি চোবানি খেতে হয়নি। শেষপর্যন্ত ৫৫ দিনের মাথায় পুলিশরা সন্দেশখালির সম্রাটকে গ্রেফতার করলেও তার মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় ছিল না। গ্রেফতারের পরও একদম ফিটফাইন হয়ে বাদশাহী মেজাজে তাকে দেখা গিয়েছিল। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও একদম সাহেবি ঢঙে জবাব দিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু গ্রেফতারির ৫৩ দিনের মাথায় সবকিছু বদলে গেল। শরীরের মধ্যে বিন্দুমাত্র দাপটের ছাপ নেই শাহজাহানের। এই কয়েকদিনের মধ্যেই দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একেবারে ভেঙে পড়েছেন শাহজাহান । ইতিমধ্যেই তার এক ভাই আলমগির পুলিশের হেফাজতে। আরেক ভাই সিরাজউদ্দিনের দিন শেষ হলো বলে। একের পর এক তার চেলা-চামুণ্ডারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায়। শাহজাহানের পিঠ দেওয়ালের ঠেকে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই শাহজাহানের সোয়্যাগও আর দেখা যাচ্ছে না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *