অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিবাহিতরা মেয়েরা ভুলেও এই পাঁচটি কাজ করবেন না ! 

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিবাহিতরা মেয়েরা ভুলেও এই পাঁচটি কাজ করবেন না !

 

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিবাহিতরা মেয়েরা

ভুলেও এই পাঁচটি কাজ করবেন না !

 

নাহলে সাংঘাতিক বিপদ !

 

ঘর ছেড়ে পালাবেন

মা লক্ষ্মী !

 

বাজবে দুর্ভাগ্যের

ঘণ্টা !

 

হুড়মুড়িয়ে কমবে

স্বামীর আয়ু !

 

ঘরে ছেয়ে যাবে

অলক্ষ্মীর ছায়াড়ছে

 

বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বন ! বছরের শুরু থেকে শেষ অবধি লেগেই রয়েছে একের পর এক পার্বণ। নববর্ষ শেষ হতে না হতেই দরজায় কড়া নাড়ছে অক্ষয় তৃতীয়া । সকল হিন্দুদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং শক্তিশালী একটি দিন।এদিন লক্ষ্মী গনেশ একসাথে পুজো করলে সিদ্ধি লাভ করা যায়। সেই সাথে নিজের ভাগ্যের বদলও ঘটানো যায় । তবে মনে রাখবেন এদিনটিতে বিবাহিত মহিলাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আয়স্থী স্ত্রীদের হাত ধরেই ঘরে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে । তাই অক্ষয়তৃতীয়ার দিন বিবাহিত মহিলারা ভুলেও পাঁচটি কাজ করবেন না । এই পাঁচটি কাজ আপনার সংসারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয় । স্বামী সুখ থেকেও বঞ্চিত হতে হয় । তাই বিবাহিত মহিলারা কি সেই পাঁচটি কাজ দেখে নিন-

 

এক, তুলসীপাতা ছিঁড়বেন নাঃ

ভুল করেও অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিবাহিত মহিলারা তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না । নাহলে জীবনে সাংঘাতিক বিপদ লাগতে পারে । মনে রাখবেন তুলসী দেবী স্বয়ং মা লক্ষ্মীর রূপ। আর অক্ষয় তৃতীয়ার মত পবিত্র দিনে তুলসীপাতা ছিঁড়লে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন । শুধু তাই নয় এই তুলসীদেবী বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। তুলসী গাছের পাতা ছিঁড়ে মা লক্ষ্মীকে আঘাত করা মানে বিষ্ণুকেও আঘাত করা । এই আঘাত করার পরিমাণ হিসেবে আপনার কপালে একসাথে জোড়া অভিশাপ লাগতে পারে। তাই বিবাহিত মহিলারা নিজের সমস্যা বাড়াতে না চাইলে এমন কাজ করবেন না ।

দুই, মা লক্ষ্মীর ঘট অযত্নে রাখবেন নাঃ

প্রায় প্রত্যেক হিন্দুদের বাড়িতেই মা লক্ষ্মীর ঘট স্থাপন করা রয়েছে । এই ঘট সংসারের শ্রীবৃদ্ধির ঘট ! তবে অনেক বিবাহিত মহিলারা এই ঘটকে সঠিকভাবে যত্ন নেন না । যেমন তেমন ভাবে সিংহাসনে বসিয়ে রেখে দেন। বিবাহিত মহিলাদের জন্য একাজ করা একদমই উচিত নয়। আর বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মত পবিত্র দিনে তো আরওই নয়। মা লক্ষ্মীর ঘট অযত্নে রাখলে  সংসারের আয় উন্নতি তো ঘটেই না । বরং উল্টে ক্ষতি হতে থাকে । এমন কাজ করার জন্য মা লক্ষ্মীও আপনার উপর ক্ষুব্ধ হন। অক্ষয় তৃতীয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে মা লক্ষ্মীকে না রাগিয়ে তুষ্ট করুন ।

 

তিন, ঘর অপরিষ্কার রাখবেন নাঃ

এরপরের কাজটি হচ্ছে ঘর অপরিষ্কার রাখা চলবে না । বিবাহিত মেয়েরা চেষ্টা করুন এদিন পুরো ঘর পরিষ্কার রাখার। অপরিষ্কার ঘর নেতিবাচক শক্তির উৎস। সনাতন হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে , অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ঘর অপরিষ্কার রাখলে বাড়িতে লক্ষ্মী নয় অলক্ষ্মীর আগমন ঘটে । অলক্ষ্মীর আগমনের ফলে আপনার স্বামী আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। এমনকি আপনার এই একটি ভুল স্বামী সুখ থেকে বঞ্চিতও করতে পারে ।

চার, আমিষ খাবেন নাঃ

যেহেতু এদিন বাড়িতে লক্ষ্মী এবং গণেশের একত্রে পূজো করা হয় । তাই এদিন আমিষ খাওয়া উচিত নয় । বিশেষ করে বিবাহিত মহিলারা এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন । বাড়ির কোনও ব্যক্তি এদিন যেন আমিষ না খায় সেইদিকেও খেয়াল রাখুন। এমন পবিত্র দিনে  বাড়িতে পূজো করে আমিষ খেলে ঘোরতর অমঙ্গল সৃষ্টি হয়। ভগবানের আশীর্বাদের বদলে কপালে জোটে অভিশাপ। আর মা লক্ষ্মী এবং গণেশের অভিশাপের ফলে আপনার স্বামীর ব্যবসা থেকে শুরু করে কর্মে বিপুল  ক্ষতি হতে থাকে। শুধু তাই নয় , এই কর্মের ফলে আপনার সুখের সংসারে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ।

পাঁচ, জুতো কিংবা ঝাঁটা কিনবেন নাঃ

ভুল করেও এদিন জুতো এবং ঝাঁটা কেনার মতো ভুল করবেন না । এই দুটি জিনিস অশুভ শক্তির বাহক । আর যদি কথা হয় অক্ষয় তৃতীয়ার মতো পবিত্র দিনের…………তাহলে আরও এই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। এমন মাঙ্গলিক দিনে ঘরে সোনা, রূপো কিংবা বাড়িতে ঠাকুরের মূর্তি স্থাপন করা হয় । আর ওই একই দিনে এমন অশুভ জিনিস বাড়িতে ঢোকালে ঘরে মঙ্গলের বদলে অমঙ্গল ঢোকে ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *