হনুমান জয়ন্তীর পর থেকে এই পাঁচটি ভুল করবেন না !

হনুমান জয়ন্তীর পর থেকে এই পাঁচটি ভুল করবেন না ! বিশেষ করে হনুমান ভক্তরা এই ভুল গুলি করা থেকে বিরত থাকুন !

 

হনুমান জয়ন্তীর পর থেকে
এই পাঁচটি ভুল করবেন না !

বিশেষ করে হনুমান ভক্তরা
এই ভুল গুলি করা থেকে বিরত থাকুন !

নাহলে জীবনে ঘনিয়ে
আসবে সাংঘাতিক বিপদ !

বজরংবলী রুষ্ট হলে
কপালে লাগবে দুর্ভোগ !

কেঁদে কেটেও কূল
পাবেন না !

বজরংবলী! সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি শক্তির বাহক। জীবনে যত রকমের সমস্যা আছে সবই কাটিয়ে দেন স্বয়ং হনুমানজি। সংকটমোচন হনুমানকে পুজো করলে যেমন জীবনে সমস্যা দূর হয় তেমনি সকলের ভাগ্যও ফিরে যায়। পবন পুত্র বজরংবালী কে তুষ্ট করার জন্য প্রায় সকলেই হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে বিশেষভাবে বেছে নেন। তবে মনে রাখবেন শুধু হনুমান জয়ন্তীর দিন পুজো করলে ভগবানকে তুষ্ট করা যায় না। এরপরের দিনগুলো বিশেষভাবে কার্যকর। তাই হনুমান জয়ন্তীর পরের দিন থেকে পাঁচটি ভুল কখনোই করবেন না। বিশেষ করে যারা হনুমানজীর ভক্ত তারা তো আরওই না। এই ভুলগুলি করলে ঘোরতর পাপ লাগবে আপনার জীবনে। দুঃখের সাগরে ভেসে যাবেন আপনি। তাই সাবধান হয়ে যান । আর দেখে নিন কোন কাজগুলি করা অনুচিত –

এক, চালিশা পাঠ করতে ভুলে যাওয়া:

প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করলে জীবনে সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কেটে যায়। অত্যন্ত জাগ্রত এবং শক্তিশালী এই মন্ত্র। হনুমান জয়ন্তীর পরদিন থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে একবার হলেও এই চালিসা পাঠ করবেন। ভুল করেও যদি পাঠ না করেন তাহলে আপনার জীবনে হনুমানজির ডুগডুগি বাজানো শুরু করবেন। আপনার এই ছোট্ট ভুল আপনাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে। প্রভু রুষ্ট হয়ে আপনাকে দুহাত ভরে অভিশাপ দেবেন। তাই বজরংবালিকে রুষ্ট করতে না চাইলে এই ভুলটি করবেন না।

দুই মঙ্গলবার ভুলেও আমিষ খাবেন না:

মঙ্গলবার হচ্ছে হনুমানজিকে তুষ্ট করার কার্যকর দিন । অনেকেই মঙ্গলবারকে হনুমানজির বার বলে মনে করেন। আর এমন দিনে ভুলেও আমিষ খাবেন না। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এদিন আমিষ খেলে আপনার জীবনে মঙ্গলের বদলে অমঙ্গল ঘটে । বিশেষ করে যারা হনুমানদের ভক্ত তাদের জন্য তো একেবারেই আমিষ খাওয়া উচিত নয়।

তিন, লাড্ডু নিবেদন না করা :

মঙ্গলবার এবং শনিবার লাড্ডু নিবেদন করতে ভুলবেন না । শুধু হনুমান জয়ন্তীর দিন লাড্ডু নিবেদন করলেই হয় না ভগবানকে তুষ্ট করতে হলে মঙ্গলবার এবং শনিবারও বিশেষ দিন। আর এমন বিশেষ দিনে প্রসাদে লাড্ডু নিবেদন না করলে ভগবান রেগে যেতে পারেন। আসলে লাড্ডু হচ্ছে বজরংবালির প্রিয় খাবার। এই ভোগ নিবেদন করলে তিনি খুবই খুশি হন। সেই সাথে আপনার জীবনে সমস্ত বাঁধা, বিপত্তি, জরা ব্যাধি নিজের হাতে দূর করে দেন। তাই বজরংবালীকে খুশি রাখতে চাইলে লাড্ডু নিবেদন করার কথা কখনোই ভুলবেন না।

চার, কমলা সিঁদুর :

ভুলেও কমলা সিঁদুরের বদলে লাল সিঁদুর হনুমানজির পায়ে অর্পণ করবেন না । বিশেষ করে বিবাহিত মেয়েরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কারণ লাল সিঁদুর আয়স্থি স্ত্রীদের অংশ। আর এই সিঁদুর যদি আপনি হনুমানজির নামে নিবেদন করেন । তাহলে আপনার স্বামীর কপালে ভয়ংকর সমস্যা সৃষ্টি হবে। সেই সাথে আপনার বিধবা দশা পর্যন্ত লাগতে পারে।

পাঁচ, হনুমানজীর সাথে রামকে পূজো করা:

অনেকেই শুধু বজরংবালী কে পূজা করেন। কিন্তু শুধু বজরংবালী কে পূজা করলে হয় না ,,,,,,,, প্রভু রামকেও পুজো করতে হয়। আপনি যদি প্রতিদিন এভাবে পূজা করে থাকেন তাহলে এভাবে পুজো করা বন্ধ করুন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বজরংবালি একমাত্র রামের কথাই পালন করতেন । তাই রামকে পূজো করলে বজরংবালীকেও খুব সহজে প্রসন্ন করা যায়। তাই রামকে পূজো না করে হনুমানজিকে পুজো করার মতো ভুল কখনোই করবেন না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *