বাজার কাঁপাচ্ছে গরীবের এসি !

 

বাজার কাঁপাচ্ছে গরীবের এসি ! ৫০ ডিগ্রীর গরম থেকে রেহাই মিলবে অতি সহজেই ,

 

বাজার কাঁপাচ্ছে গরীবের এসি !

 

৫০ ডিগ্রীর গরম থেকে রেহাই

মিলবে অতি সহজেই !

 

না খসাতে হবে

মোটা টাকা !

 

না দিতে হবে  মোটা

অঙ্কের ইলেকট্রিক বিল !

 

টেক্কা দেবে এক দুই

টনের এসিকেও !

 

কাশ্মীরের মত অনুভব

করবেন আপনি !

 

 

ফাটিয়ে পড়েছে গরমকাল ! রাস্তায় পা রাখলেই ছেঁকা লাগছে গোটা শরীর জুড়ে ! বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে গরম পড়েছে এবার। রীতিমত অগ্নিকুণ্ডে পরিনত হয়েছে গোটা বঙ্গ। সূর্য্যিমামাও যেন ভালবেসে নিজের তেজ উপহার দিচ্ছে আমাদেরকে। বাইরে তো দূর ঘরের ভেতরেও গরমের আই পি এল খেলা চলছে । তবে এই গরম থেকে বড়লোকেরা বেঁচে গেলেও। মধ্যবিত্ত এবং গরীবেরা কি করবে । এসি কেনা তো আর চাট্টিখানি কথা নয় ! আর এই গরমের বাজারে এসি কিনতে যাওয়া মানে নিজের পকেটের হিটস্ট্রোক করানো ।  কিন্তু এখন কথা হচ্ছে গরীব বলে কি এসি কেনা যাবে না ?  সব কেনা যাবে বস ! খালি পকেট থেকে খসাতে হবে ৯০০ টাকা । ব্যাস তারপর ঘর হয়ে যাবে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল । মাত্র ৯০০ টাকায় পেয়ে যাবেন এসি । বাড়িতে বসেই কাশ্মীরের উপভোগ করতে পারবেন। না লাগবে গাদা গুচ্ছের টাকা , আর না লাগবে ইলেক্ট্রিসিটি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না ! তবে বিশ্বাস না হলেও একথাই  সত্যি। ৯০০ টাকার এই এসি টক্কর দেবে ৫০ হাজারের এসিকেও। এখন নিশ্চয় এই কথা শুনে আপনাদের সকলের মনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। কোথায় পাওয়া যাবে এই এসি ? কিভাবেই বা কিনবেন?  তাহলে আর দেরী না করে জেনে নিই এই বিষয়ে ।

এই যন্ত্রটির নাম হচ্ছে এয়ার কুলার ফ্যান । পুরো এসির মতো কাজ করবে এই ফ্যান । শুধু দরকার একটু জলে । বেশ তারপরই পেয়ে যাবেন এসির মত ঠাণ্ডা হাওয়া।  ইতিমধ্যেই বাজারে চলে এসেছে এই ফ্যান।  এমনকি বেশ ভালোই সেল হচ্ছে এই ফ্যানের । তবে এই ফ্যানের চাহিদার পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ। এর মধ্যে যে সুবিধা গুলি রয়েছে সেগুলি আর কোথাও নেই । এই সুবিধা গুলি হচ্ছে –

এক, এটি একেবারে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে গরীবের বাজেটের মধ্যে। এমনকি এই ফ্যান মেসে থাকা স্টুডেন্টদের জন্যও খুবই কার্যকর। এই ফ্যানের দাম শুরুই হচ্ছে ৯০০ থেকে । আপনি চাইলে ৯০০ টাকারও বেশি দিয়েও কিনতে পারেন । বেকার আর ৫০ -৬০ হাজার টাকা খরচ করে এসি কুলার কেনার প্রয়োজনই নেই ।

দুই, থ্রি স্পিড যুক্ত এই ফ্যানের হাওয়া অত্যন্ত জোরালো হলেও একেবারে সাউন্ড বিহীন ।

তিন, আপনি চাইলে এটিকে শুধু পাখা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন । আবার চাইলে জল ব্যবহার করে ঠাণ্ডা হাওয়া তৈরি করতে পারেন । এই পাখার মধ্যে একটি জল রাখার ব্যবস্থা রয়েছে । যাকে বলে হিউমিটি ফায়ার সিস্টেম । এই সিস্টেমের মাধ্যমে ৬০০ মিলিলিটার জল ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা হাওয়া ।

চার, সাধারণ টেবিল ফ্যানের মতই প্লাগের মাধ্যমে চালু করতে হবে । তবে ডিভাইস হতে হবে সি টাইপ । কিন্তু কারেন্টের সাহায্যে চললেও এতে বেশি ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হয় না। খুবই সাশ্রয়কারি এই ফ্যান ।

পাঁচ, এটা আপনি যখন ইচ্ছে খুলে পরিষ্কারও করতে পারবেন । কোনও ঝুট ঝামেলা ছাড়াই অনায়াসে পরিষ্কার হয়ে যাবে ।

ছয়, এসি , কুলারের মতো বিশাল জায়গার প্রয়োজন নেই । যেখানে ইচ্ছে সেখানে আপনি রাখতে পারেন । এমনকি চাইলে অফিসে কিংবা কোথাও দূরে ঘুরতে গেলে এটিকে সাথে নিয়ে যেতে পারেন।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় পাওয়া যাবে এই ফ্যান ?

এই এয়ার কুলার ফ্যান যেকোনো ইলেকট্রিক দোকানে কিনতে পাওয়া যায় । এমনকি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এই ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে । তাই দেরী না করে এই গরম থেকে বাঁচতে আজই কিনে নিন এই ফ্যান ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *