বাংলাদেশের দেদার বিকোচ্ছে সবুজ সাথী সাইকেল ! 

বাংলাদেশের দেদার বিকোচ্ছে সবুজ সাথী সাইকেল !

বাংলাদেশে রাজ করছে পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্প !

বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে সবুজসাথী !

ভারত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে গেছে নীলরঙ্গা এই সাইকেল !

পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বাংলাদেশে এর ব্যাপক চাহিদা !

তবে প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে বাংলাদেশে যাচ্ছে এই সাইকেল ?

কত টাকা দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা ?

 

সবুজ সাথী প্রকল্প ! পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম। বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে মমতা ব্যানার্জী এই প্রকল্প চালু করেছেন । বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই প্রকল্প । বিগত কয়েক বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন বাংলার পড়ুয়ারা । নবম শ্রেণীতে ওঠামাত্রই সকল ছাত্রছাত্রীরা একদম বিনামূল্যে পেয়ে যায় এই সাইকেল। আবার বাজারেই এই মডেলের সাইকেল কিনতে গেলে  ১০-১২ হাজার টাকা কিছুই না। তাই সকল মধ্যবিত্ত ঘরের পড়ুয়াদের ভরসা এই সবুজ সাথীর সাইকেল। তবে এই সাইকেল যতই সুবিধা দিক না কেন……………এই প্রকল্পকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই ।তবে এবার কোনও সাধারণ বিষয় নিয়ে বিতর্কে সৃষ্টি হয়নি । ইতিমধ্যেই এই সাইকেল স্পিড এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে চলতে চলতে পৌঁছে গিয়েছে একদম বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সকলের হাতে হাতে ঘুরছে এই সাইকেল। বাংলাদেশের প্রায় অনেক বাজারে জলের দামে এই সাইকেল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা একদম জমিয়ে করছে ব্যবসা, সেই সাথে ভরাচ্ছেন পকেট ।  কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ সাইকেল কিভাবে পড়শি দেশে পৌঁছে যাচ্ছে ? কারাই বা বিক্রি করছে এই সাইকেল ? কত টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে তা ? এই নিয়েই তৈরি হয়েছে জোর চর্চা ।

 

ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে । সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এক যুবক একদম ঢালাও ভাবে সাজিয়ে বিক্রি করছেন সাইকেল। কোনোটা একটু পুরনো ,আবার কোনোটা একবারেই নতুন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সাইকেলগুলিকে দেখতে হবহু একদম সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল মত। সাইকেলের মতো দেখতে বলা ভুল এগুলি আসলেই সবুজ সাথীর সাইকেল। নীল রঙয়ের সাইকেলের মধ্যে লাগানো রয়েছে বিশ্ববাংলার লোগো । এমনকি সাইকেলের পিছনেও সবুজসাথীর স্টিকার আটকানো । এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। মানুষের মনে তৈরি হয়েছে একের পর এক প্রশ্ন। আর তারই উত্তর পাওয়া গিয়েছে বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে । এই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কে কারা কিভাবে এই সাইকেল গুলি বিক্রি করছে ? এমনকি কত টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে সব জানা গিয়েছে । সূত্রের খবর এই সাইকেলগুলো পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রান্তে দুভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রথমত, ভারতে এমন অনেক নাগরিক আছে যাদের জমি রয়েছে কাঁটাতারের ওপারে । আর তাদের হাত ধরেই হয়তো সাইকেল ওপার বাংলায় যাচ্ছে। অনেকেই ওপারে যাওয়ার সময় সবুজ সাথীর সাইকেল চড়ে যান । কিন্তু আসার সময় সাইকেল না নিয়েই পায়ে হেঁটে চলে আসেন । আর এখানেই অনুমান করা হয় তারা হয়তো সেই সাইকেল বাংলাদেশে বিক্রি করে দিয়ে আসছেন । আর তার বিনিময়ে হাতে আসছে মোটা অঙ্কের টাকা। দ্বিতীয় পথটি হল, চোরাই পথ অবলম্বন করে ।খোলা বর্ডার থেকে একাধিক সাইকেল চোরাই ভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হয়ে থাকে। কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে এই পাচার কাজ চালু আছে বলেই অনুমান। কাঁটাতারের নীচ থেকে একের পর সাইকেল পৌঁছে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের প্রান্তে । এইভাবেই জোরকদমে চলছে ব্যবসা। তবে সমস্তটাই  সেনাবাহিনীদের নজর এড়িয়ে করা হয়ে থাকে । বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে , বাংলাদেশের বিশেষ কিছু বাজারে এই সাইকেল দেদার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত – রাজশাহি, খুলনা, পাবনা, গাংনি, চুয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরের মত বাজারগুলিতে রমরমিয়ে সবুজ সাথী সাইকেলের ব্যবসা চলছে । শুধু তাই নয় , এই একটা সাইকেলের দাম ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন ঠিক কিভাবে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পৌঁছে যাচ্ছে এই সাইকেলগুলি ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *