চিনের কপালে ভয়ংকর দুঃখ!

চিনের কপালে ভয়ংকর দুঃখ! সাংঘাতিক বিপদে গোটা চীন , তলিয়ে পড়ছে বেইজিং-সাংহাই

 

চিনের কপালে
ভয়ংকর দুঃখ!

সাংঘাতিক বিপদে
গোটা চীন !

তলিয়ে পড়ছে
বেইজিং-সাংহাই !

শনির ঘণ্টা
বাজছে চিনের !

নিরাপদে নেই
কলকাতাও!

আর রক্ষে নেই ! এবার চিন শেষ হলো বলে । দিনের পর দিন চিনের বিপদ বেড়েই চলছে। একের পর এক চিনের বড় বড় শহর ডুবে যাচ্ছে । যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে । সংকটের মুখে ভারতের পড়শি দেশ। নিউইয়র্কের পর এবার চিনের পালা। ঘরছাড়া হতে পারে চিনের একাধিক মানুষ । যে দেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী দেশ সেই দেশের করুণ পরিণতি দেখে স্তব্ধ গোটা বিশ্ববাসী।  বিপদের মুখে বেইজিং-সাংহাইয়ের মত শহরগুলি । বড় বড় বিল্ডিং, সিনেমাহল, কমপ্লেক্স বানানোর ফল পেতে হচ্ছে এখন চিনকে । প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের খেসারত হিসেবে ভুগতে হচ্ছে প্রায় প্রতিটি দেশকে । যেমন  দুবাইয়ের মত উষ্ণ শহর এখন জলের তলায় ডুবছে । তেমনি চিনের শহর গুলিও মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে । এর আগেও নিউইয়র্ক শহর মাটির তলায় ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায় । আবারও সেই একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটলো চিনে ।

সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র থেকে চিনের এমন করুন পরিণতির কথা উঠে এসেছে । এমনকি এই পরিণতির ফলে চিনকে নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে গবেষকদের মধ্যে । ইতিমধ্যেই চিনের অন্যতম শহর বেইজিং,সাংহাই, তিয়ানজিন প্রায় ডুবতে বসেছে। বিশ্ব উষ্ণানায়নের খেল দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে এই দেশে।  এই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে , একসময় যেখানে  জমি  প্রতিবছর ৩ মিলিমিটার করে মাটি বসে যাচ্ছিল। আজ সেখানে চিনের ৪৫ % শহরতলি ডুবে যাচ্ছে প্রতিবছর। এমনকি সাংহাই বিগত এক দশকে প্রায় ৩ মিটার অবধি ডুবে গিয়েছে। শুধু কি তাই , বেইজিংয়ের ভু-গর্ভস্থ পথ হাইওয়ে গুলি প্রতিনিয়ত ৪৫ মিলিমিটার করে বসে যাচ্ছে । গবেষকদের মতে , ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চিনের যে শহরগুলির জনসংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি ……………… সেই শহরগুলিই দ্রুত ডুবে যাচ্ছে । তার মানে বুঝতেই পারছেন চিনের অবস্থা ঠিক কতটা ভয়াবহ । চিনের এমন পরিনতির পেছনে গবেষকরা কারনও উল্লেখ করেছেন।  এককথায় বলা যায়, চিন অত্যন্ত বিলাহবহুল শহর। একের পর এক বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে , উঁচু উঁচু বাড়ি , ২০ তলা ২৫ তলা বিল্ডিং  প্রতিনিয়ত তৈরি হয়ে যাচ্ছে । এই বিল্ডিং, বাড়ি, ঘর তৈরির জন্য মাটির ওপর খনন কাজ চলছে নিত্যদিন । আর যত মাটির ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে ততই মাটির ধারণ ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। আর এতে করে মাটির সাথে সাথে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে চিনের শহরগুলি।  সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুমিকম্পের পরিমান। শুধু তাই নয় মাটির তলা থেকে অতিরিক্ত পরিমান জল তোলাও চিনের ধ্বংসের অন্যতম কারণ। দিনের পর দিন এমন হতে দেখে স্বাভাবিক ভাবে মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে চিনের বাসিন্দাদের ।

তবে চিনের এই ভয়ঙ্কর পরিনতি কিন্তু একসময় ভারতেও আসতে পারেই বলে মনে করছেন গবেষকরা । কারণ ইতিমধ্যেই ভারতে জলসঙ্কটের সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে । বিশেষ করে বেঙ্গালুরুতে জল নিয়ে ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি হয়েছে ।  মাটির নিচে জল প্রায় শুকিয়ে এসেছে । শুধু বেঙ্গালুরুই নয় কলকাতারও প্রায় একই হাল। গবেষকদের মতে , যেকোনো দিন চিনের মত অবস্থা শুরু হতে পারে কলকাতা, দিল্লি , মুম্বাইয়ের মত বড় শহরগুলিতে । তাই এখন থেকেই বিজ্ঞানীরা ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *