সাবধান ! এভারেস্ট মশলা থেকে হতে পারে বিষাক্ত ক্যান্সার !
সাবধান !
এভারেস্ট মশলা থেকে হতে পারে
বিষাক্ত ক্যান্সার !
ছড়াচ্ছে মারণ
রোগের জীবাণু !
ধ্বংস করছে
মানব কোষ !
বাজাচ্ছে মৃত্যু ঘণ্টা !
আপনিও কি রান্নায় ব্যবহার করছেন এভারেস্টের মশলা। খাবারের স্বাদ বাড়াতে মাছের ঝোলে ছড়াচ্ছেন এভারেস্টের ফিশ কারী মশলা। তাহলে সাবধান হয়ে যান । আজই বন্ধ করুন এই মশলার ব্যবহার । এই মশলা থেকেই উৎপন্ন হচ্ছে ক্যান্সারের জীবাণু। মশলা পেটে পড়া মাত্রই জাগ্রত হচ্ছে ক্যান্সারের কোষ । প্রায় প্রত্যেক গৃহিণীদের রান্নাঘরে এভারেস্টের মশলা থাকবেই থাকবে । মাছ হোক কিংবা মাংস সবেতেই দেদার ব্যবহার করে থাকেন রাঁধুনিরা । সেই রান্নাই চেটেপুটে থালা পরিষ্কার খেয়ে নিচ্ছেন আপনারা । আর নিজের অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধাচ্ছেন ভয়ঙ্কর ক্যান্সারের । ইতিমধ্যেই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ । একেই ক্যান্সার নিয়ে মানুষের নিত্যদিন উদ্বেগ বেড়েই চলছে । তার ওপর আবার এই মশলা যেন উদ্বেগের মাত্রা আরও দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে । তবে এভারেস্টের সব মশলা থেকে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে না …………ফিশকারি মশলাতেই লুকিয়ে রয়েছে ক্যান্সারের মারণ বিষ। কি কথাটা শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না ? আজগুবি গল্প মনে হচ্ছে । তবে একথা আমরা বলছি না । এবিষয়ে মুখ খুলেছে বিশিষ্ট গবেষকরা। তারা এভারেস্টের ফিশকারী মশলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।
কিভাবে ছড়াচ্ছে এই মশলা থেকে ক্যান্সার তা নিয়ে গবেষকরা যা বলেছেন দেখে নিন –
সিঙ্গাপুরের খাদ্যসুরক্ষা দপ্তর থেকে এভারেস্টের এই মশলাকে ব্যান্ড করা হয়েছে । ভারতের তৈরি এই মশলা সিঙ্গাপুরে প্রচুর পরিমানে রপ্তানি করা হয় । তবে এই রপ্তানি হওয়ার রাস্তায় এবার ভাটা পড়েছে । ভারতের এই মশলাকে সিঙ্গাপুরে আনা বন্ধ করে দিয়েছে । এর নেপথ্যে সিঙ্গাপুরের খাদ্যদপ্তর জানিয়েছে , এভারেস্টের ফিশকারি মশলায় ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহার করা হয় । যা একপ্রকার কীটনাশক । এই রাসায়নিক উপাদানটি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সির মতে, এই রাসায়নিক উপাদানের পরিমান একটা মাত্রা অবধি ব্যবহার করলে ঠিক আছে । কিন্তু সেই মাত্রা যদি পার করে যায় তাহলেই সর্বনাশ । আর এভারেস্টের এই ফিশকারি মশলায় নির্ধারিত পরিমানের তুলনায় বেশি ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। যা মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।
সিঙ্গাপুরের এই কথা অনুসারে, এই মশলাতে থাকা ইথিলিন অক্সাইড ক্যান্সারের কারণ । এই কেমিক্যাল যে ক্যান্সারের জন্য দায়ী তা নিয়ে অনেক ব্যাখা দিয়েছে বিশিষ্ট গনমাধ্যম । যেহেতু এই রাসায়নিক উপাদানটি একপ্রকার কীটনাশক । তাই এই বিষাক্ত উপাদানটি মানুষের পেটে গেলে সমস্ত কার্যকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয় । আর পেটের ভিতর ক্যান্সারের কোষগুলিকে জন্ম দিতে থাকে । দীর্ঘদিন ধরে, যদি এই ফিশকারি মশলা আপনি রান্নায় ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনারও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে । সেজ জার্নালস নামক একটি সংবাদ প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা রয়েছে কিভাবে এই ইথিলিন অক্সাইড থেকে ক্যান্সার তৈরি হতে পারে ।
এই মশলা থেকে কি কি ক্যান্সার ছড়াতে পারে ?
এভারেস্টের ফিশকারি মশলা রান্নায় ব্যবহারের ফলে এটা সরাসরই পেটে যাচ্ছে । যার ফলে এতে থাকা ইথিলিন অক্সাইড সবার আগে কাবু করে পাকস্থলী , লিভার এবং কিডনিকে । পেটের ভিতর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে দুমড়ে মুচড়ে নাশ করে দেয় । এরপর পাকস্থলীর ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার , কিডনিতে ক্যান্সার তৈরি হয় । এছাড়াও মেয়েদের বুকের ক্যান্সারও সৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে তথ্যসুত্রে । তাহলে বুঝতেই পারছেন এটি কতোটা ক্ষতিকর ।
Leave a Reply