মেয়েদের কারণে বাড়ছে ডিভোর্স! ভাঙছে সংসার, তছনছ হয়ে যাচ্ছে ফ্যামিলি, প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

মেয়েদের কারণে বাড়ছে ডিভোর্স! ভাঙছে সংসার,
তছনছ হয়ে যাচ্ছে ফ্যামিলি, প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

মেয়েদের কারণে বাড়ছে
ডিভোর্স!

ভাঙছে সংসার,
তছনছ হয়ে যাচ্ছে ফ্যামিলি!

বিবাহ বিচ্ছেদে সবচেয়ে এগিয়ে
নারীরা!

কিন্তু মেয়েরা কেন
ডিভোর্সের জন্য দায়ী?

পুরুষেরা নয় কেন?

প্রকাশ্যে এলো
চাঞ্চল্যকর তথ্য!

সারাদেশে একেবারে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডিভোর্সের হার! প্রতিদিন গড়ে আটটিরও বেশি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে। কোর্ট চত্বরে গেলেই দেখা যায় বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দম্পতিদের লম্বা লাইন। আইনজীবীদের ঘরে ভর্তি ভর্তি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা জামা পড়ে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে,,, বিশ্বের মধ্যে আমেরিকায় বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর অধিকাংশ বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে মেয়েদের ভূমিকা অধিক জোরালো। পরিসংখ্যা এবং সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট, মেয়েদের ইচ্ছেতেই ডিভোর্সের ফাইল সবথেকে বেশি তৈরি হয়। মেয়েদের কারণে সাজানো-গোছানো সংসারে ফাটল ধরে। অনেকেই হয়তো এই দাবির সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন। আবার অনেক মহিলাই হয়তো এই প্রতিবেদনটি দেখে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তাদের জন্যই, এই পরিসংখ্যানগুলোর তরফে,,,,,, মেয়েদের কারণে ডিভোর্স হওয়ার, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

প্রথম কারণটি হল – নারীদের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়ছে

আসলে এই বিষয়টি খুবই বিতর্কিত। নারীদের কারণে ডিভোর্সের রমরমা বাড়ার পেছনে, বহু বড় বড় বিবাহ বিশারদেরা উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করেছেন। তাদের মতে আধুনিক চিন্তাসম্পন্ন নারীদের মধ্যে, আকাশ ছোঁয়া আশা আকাঙ্ক্ষা দেখা যাচ্ছে, যা সংসার ভাঙ্গার চাবিকাঠি। বহু নারীই, সাধ্যের মধ্যে না থাকা সত্ত্বেও কোনও বস্তুকে বলপূর্বকভাবে পাওয়ার আশায় নিজের সুখের সংসারে আগুন লাগাতেও দুবার ভাবছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আধুনিক সমাজের মহিলাদের অবশ্যই দূরদর্শী এবং উচ্চ আকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন হওয়া উচিত। কিন্তু তাই বলে কোনও মহিলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা এতটাও ভয়ঙ্কর পর্যায়ে যাওয়া উচিত নয় যা সংসারে অশান্তি তৈরি করতে পারে। তাদের ব্যাখ্যায়, বহু মহিলা সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে, পার্টনারকে প্রেশারাইজ করে ফেলেন। যা আগামীতে সংসার ভাঙ্গার মতন পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়।

২, পুরুষের সমকক্ষ হওয়ার বোকা বোকা প্রতিযোগিতা

বর্তমান সমাজে ফ্যামিনিজম বা বাংলায় যাকে বলে নারীবাদ _ এটি অত্যন্ত বাজে পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আধুনিক সমাজের এক শ্রেণীর মহিলারা ফেমিনিজম তথা নারীবাদকে এক ধরনের হুজুগে রোগে পরিণত করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ মহিলাদের কাছেই ফেমিনিজম মানেই হল পুরুষের মতন সমস্ত কাজ করার অধিকার পাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নারীবাদ মানে পুরুষের মতন সমস্ত ক্ষমতা পাওয়ার অধিকারকে বোঝায় না, নারীবাদ মানেই হল নারী তার নিজস্ব স্বত্বা অনুযায়ী নিজেকে বিকশিত করবে। নারীবাদ মানেই পুরুষ বিরোধিতা নয়। বিবাহ বিশারদদের মতে এই নারীবাদ কনসেপ্টটি , নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতাকে অনেক বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে তুলছে। সংসারে পান থেকে চুন খসলেই মেয়েরা নারীবাদের তত্ত্ব খাড়া করে, পুরুষকে গালমন্দ করতে দুবার ভাবছে না।

৩, নারীদের বেকারত্ব

এই বিষয়টি নারীদেরকে ডিভোর্স করাতে সবচেয়ে বেশি বাধ্য করে। বর্তমানে যুগ অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখনো অনেক নারী রয়েছেন যারা এখনও আত্মনির্ভরতায় বিশ্বাসী নয়। অনেক মহিলা রয়েছেন যারা স্বামীর টাকায় আরাম আয়েশ করার চিন্তা ভাবনা করেন। বিশেষ করে তাদের মধ্যে এইরকম একটি ধারণা কাজ করে যে – নিজে কাজ বাজ না করলেও অসুবিধা নেই,, সমস্ত আরাম আয়েশ সুখ শান্তি স্বামীর টাকায় করা যাবে। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে এই সমস্ত মহিলাদের সঙ্গে স্বামীদের প্রতিনিয়ত মানসিক অশান্তি ঘটে। আর স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এই নারীরা ডিভোর্সের পক্ষে বেছে নেন।

৪, সংসার আলাদা করার প্রবণতা

বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে ধৈর্য এবং নিষ্ঠা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলা নয় পুরুষদের মধ্যেও ধৈর্য এবং নিষ্ঠার অভাব দেখা যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এখনকার মেয়েরা যৌথ ফ্যামিলির থেকেও সিঙ্গেল ফ্যামিলি অনেক বেশি পছন্দ করে। ফল স্বরূপ যাদের বিয়ে যৌথ তথা বড় পরিবার হচ্ছে,,, তারা প্রত্যেকেই চাইছে নিজেদের মতন ব্যক্তিগতভাবে সংসার সাজাতে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বহু পরিবারেই স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্য বাঁধে। একদিকে স্বামী বলে বাবা মাকে নিয়ে মিলেমিশে থাকবে অন্যদিকে স্ত্রী বলে সন্তানদের নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে থাকবে। এই ছোট্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করেও মেয়েদের মধ্যে ডিভোর্সের আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি বাড়ছে।

৫, পর পুরুষের প্রতি আসক্ত

বর্তমানে বিবাহিত মহিলারা অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন, আবার পুরুষেরাও বিয়ের পরেও অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেম করতে পারবেন। এমনটা ভারতীয় আইনে বৈধ। এরপরেও এই বিষয়টি এখনো সেই ভাবে সহজ হয়ে ওঠেনি। অনেক মহিলা বিয়ের পর পরপুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে বিষয়টিকে মিউচুয়ালি মেটানোর চেষ্টা করা হলেও,,, সেক্ষেত্রে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট নারীর স্বামী ব্যাপারটিকে মান্যতা দিতে রাজি থাকেন না। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যেই ব্যাপক মনোমালিন্যের উৎপত্তি হয়। এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মহিলারাই ডিভোর্সকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

প্রিয় দর্শক এই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি – মহিলারা কেন ডিভোর্সের জন্য দায়ী, সেই পরিপ্রেক্ষিতকে লক্ষ্য রেখেই, গবেষণা এবং সমীক্ষাকে পুঁজি করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা একবারও দাবি করছি না যে ডিভোর্সের জন্য পুরুষেরা দায়ী নয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *