ভোট মিটলেই বিয়ে তৃণমূলের দেবাংশুর? বাজবে সানাই ভট্টাচার্য বাড়িতে, পাত্রী কে চেনেন? কি নাম?
ভোট মিটলেই বিয়ে
তৃণমূলের দেবাংশুর?
বাজবে সানাই
ভট্টাচার্য বাড়িতে!
টোপর মাথায়
দেখা যাবে যুবনেতাকে!
পাত্রী কে চেনেন?
কি নাম?
পেশা কি?
রাজনীতি নাকি অন্য কিছু?
শুনুন দেবাংশুর মায়ের
কাছ থেকেই
চলছে লোকসভা ভোট ! আর এই লোকসভা ভোটে সবচেয়ে চর্চিত নাম দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুকে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে যেন তাকে নিয়ে জল্পনা বেড়ে গিয়েছে । তবে এবার তিনি কোন ছোটখাটো কারণে চর্চায় আসেননি । তৃণমূলের যুবনেতা খুব শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন । ইতিমধ্যেই ভট্টাচার্য বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের তোড়ঝোড় । মিসেস ভট্টাচার্য কে হবে তাও ফাইনাল হয়ে গিয়েছে । এখন শুধু বাকি সঠিক সময়ের অপেক্ষায়। ভোট শেষ হলেই চার হাত এক হবে । তবে যুবনেতার জন্য পাত্রী ঠিক করেছেন তার নিজের মা। রুপে গুণে একেবারে লক্ষ্মীমন্ত বউমা পছন্দ করে এনেছেন তিনি। কার সাথে শেষপর্যন্ত ছেলের বিয়ে হতে চলেছে সেই বিষয়ে জানিয়েছেন খোদ দেবাংশুর মা ।
তৃণমূলের ইয়ুথ আইকন দেবাংশু ভট্টাচার্য । ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটের সময় তার গাওয়া ” খেলা হবে” গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে । বলা যায় এই গানটি শাসকদলের কাছে হয়ে ওঠে টাইটেল সং । তবে এই গানের মাধ্যমে তিনি শুধু জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন এমনটা নয় । অনেক তরুণীদের মনে জায়গাও করে নিয়েছেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখতে পাবেন তার ফ্যান ফলয়ার্সও প্রচুর । তিনি একজন সুদর্শন যুবনেতা স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর মেয়ে ভক্তর সংখ্যা বেশি হওয়ারই কথা । এইসময় যুবনেতার বিয়ের কথা শুনে ইতিমধ্যেই অনেকের মন ভাঙ্গতে শুরু করে দিয়েছে । তবে এখনই অধৈর্য হবেন না …… আগে পুরো বিষয়টা শুনে নিন । বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে যুবনেতার মা একটি সাক্ষাৎকার দেন । আর এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি দেবাংশুর নামে বিশেষ কিছু তথ্য শেয়ার করেন । সেখান থেকে জানা যায়, যুবনেতার নামে প্রায়দিন ভট্টাচার্য বাড়িতে প্রেমের প্রস্তাব আসছে । নানাধরনের চিঠি, গিফট মেয়েরা পাঠিয়ে থাকেন। আর এগুলো দেখতে দেখতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ছেলের এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই ! সে ব্যস্ত তাঁর রাজনীতির কাজে । তিনি আরও জানিয়েছেন , ছেলের এখন বিয়েই দিতে চান না । কারণ দেবাংশুর নাকি বিয়ে করার বয়সই হয়নি । শুধু তাই নয় বিয়ে করে বউ আনলে তো আর হবে না । বউকে খাওয়াতে হবে। কিন্তু ছেলে তো তেমন রোজগার করেন না । তাই আগে ভালোভাবে রোজগার করুক তারপর নাই বিয়ের কথা ভাবা যাবে । সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ছেলের সম্বন্ধে আরও অনেক কিছু বলেন । তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে যেন ইঞ্জিনিয়ার হোক। মাস গুণে ভালো বেতন পাবে । এতে করে ছেলের একটা ভালো ভবিষ্যৎও হবে। কিন্তু ছেলে ছোটো থেকেই রাজনীতিতে নাম লেখাবে বলেই ঠিক করে নিয়েছিল । তাই তাকে আটকানো যায়নি । তিনি বলেন ছেলে যাতে রাজনীতিতে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য তিনি পাড়ার লোকেদের দিয়েও ভয় দেখান । তাতে কোনও লাভ হয়নি, দেবাংশু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। তবে তিনি এখন ভীষণ খুশি । সকলের মুখে ছেলের এত নাম,ডাক দেখে তিনি খুবই গর্বিত। বিয়ে সাদি দেওয়ার কথা ভাবছেন না আগে ছেলে ভোটে জিতে আসুক তারপর যা হওয়ার দেখা যাবে ।
Leave a Reply