সত্যজিৎ রায়ের জন্য মরতে চেয়েছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়!

সত্যজিৎ রায়ের জন্য মরতে চেয়েছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়! ৬০টি ঘুমের ঔষধ গিলে ফেলেন, নষ্ট করে ফেলেন নিজেকে

 

সত্যজিৎ রায়ের জন্য
মরতে চেয়েছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়!

৬০টি ঘুমের ঔষধ
গিলে ফেলেন!

নষ্ট করে ফেলেন
নিজেকে!

কেন ভেঙেছিল
সত্যজিৎ রায় ও মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক?

কি হয়েছিল
দুজনের মধ্যে?

যা নিয়ে এখনও
ফিসফাস হয়!

সত্যজিত রায় ! কিংবদন্তি পরিচালক । এই মানুষটিকে নিয়ে কোন স্ক্যান্ডেল থাকবে ভাবাও যায় না । কিন্তু বন্ধুরা এই মানুষটিকে নিয়েও রয়েছে বিস্তর কেচ্ছাকাহিনী । বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক থেকে শুরু করে গোপন প্রেম সবেতেই নাম জড়িয়েছে সত্যজিত রায়ের । আর তাঁর এই কেচ্ছা কাহিনীর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় । এই দুজনের নামেই রয়েছে বিস্তর রসালো কেচ্ছাকাহিনী । আজও ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায় দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কথা। কিভাবে বিবাহিত পুরুষ হয়েও সত্যজিত রায় মাধবী মুখপাধ্যায়ের সঙ্গে গোপনে  দেখা করতেন সেই সমস্ত গল্প আজও ঘুরে বেড়ায় ।

সেইসময় শ্রেষ্ঠ পরিচালক সত্যজিত রায়ের সঙ্গে সকলেই কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন । তাই তাঁর এক ডাকে সকলেই  ছুটে আসতেন সিনেমায় কাজ করতে । ব্যতিক্রম ছিলেন না অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় । আর এই কাজ করতে গিয়েই শুরু হয়ে দুজনের মধ্যে  সম্পর্ক । যার জল বহুদূর গড়ায় । তবে একথা কোন গল্প কিংবা জল্পনা নয় । বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমেও এই নিয়ে জোর চর্চা চলে । এমনকি পরিচালকের স্ত্রী বিজয়া তাঁর স্বামীর লীলাখেলা সম্পর্কে জানতেন ।   আর বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ।  বিশিষ্ট গনমাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়,,,,,,,,,তাদের ঘিরে জল্পনা আসলেই সত্যি ।

জানা গিয়েছে  সত্যজিৎ রায়ের সাথে অভিনেত্রী প্রথম কাজ করেন মহানগর সিনেমায়। বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল সেই সিনেমা । শহর জুড়ে তখন সকলের মুখে মাধবী এবং পরিচালকের নাম । এতদূর ঠিক সব ঠিক ছিল ,,,,,,,,, এরপরই শুরু হয় আসল কাহিনী । মহানগরের পর অভিনেত্রী সুযোগ পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘চারুলতা’ ছবিতে । এই সিনেমাতে কাজ করা কালীনই চারুলতা সত্যজিত বাবুকে মন দিয়ে বসেন । পরিচালকের প্রেমে এতটাই ডুবে যান যে ,,,,,,,, তাঁর স্বয়নে, স্বপনে একমাত্র তিনিই থাকতেন। বর্ষীয়ান পরিচালককে নিয়ে তিনি ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন । তবে অভিনেত্রী যে মানুষটির প্রেমে পড়েন তিনি ছিলেন বিবাহিত । স্ত্রী বিজয়াকে নিয়ে সত্যজিতের ভরা সংসার। প্রথম প্রথম ভালোবাসাটা একতরফা হলেও পরে পরিচালকও মাধবী দেবীর প্রেমে পড়েন। কিন্তু কোনোদিনও তিনি ভালবাসার দাবি নিয়ে মহারাজের সামনে দাঁড়াননি । আসলে অভিনেত্রী কখনোই চাননি যে একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের সংসার ভেঙে ফেলতে। তাই তিনি নিজে থেকেই সরে এসেছিলেন এই সম্পর্ক থেকে। তবে কাজ করা বন্ধ করে দেননি। মন শক্ত রেখে তিনি চারুলতা এরপর কাপুরুষেও কাজ করেন । এই দুটি সিনেমা  বেশ ভালোই সুনাম অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী । তবে কাপুরুষই ছিল তার শেষ কাজ। এরপর আর কখনোই তিনি সত্যজিৎ রায়ের সাথে কাজ করেনি। নিজে থেকেই সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন । এমনকি পরিচালক নায়ক সিনেমায় কাজ করার সুযোগ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। এই প্রত্যাখ্যানের পিছনে যদিও বিশেষ কারণ রয়েছে।

অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী, সেই সময় তাদের দুজনকে নিয়ে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যা অভিনেত্রী নিতে পারছিলেন না । এমনকি তিনি কখনো চাননি তার জন্য সত্যজিৎ রায় অসম্মানিত হোক। তবে তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি এতটা নিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে তিনি শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। একসাথে ৬০ খানা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলেন । বদনাম সইতে না পেরেমৃত্যুকেই বেছে নেন তিনি ।  তবে সেদিন ভাগ্য ভালো থাকায়  বেঁচে যান । এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আরো অনেক কিছু জানান । সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের দুজনের সম্পর্ক পরিচালকের স্ত্রীকে খুব আঘাত দিয়েছিল । যা বিজয়া দেবীর লেখা আত্মজীবনী “আমাদের কথা”-র পাতায় লেখা রয়েছে। তবে পরিচালক কিংবা অভিনেত্রী তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কখনোই কোনো মন্তব্য করেননি। বরং অভিনেত্রী সর্বদা এ বিষয়টিকে এড়িয়ে চলে গেছেন। সকলের প্রিয় চারুলতা তথা অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় সদ্য বিকশিত হওয়া প্রেম নিজের হাতেই কবর দিয়ে দিয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *