সত্যজিৎ রায়ের জন্য কাঁদতে হয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায় !

সত্যজিৎ রায়ের জন্য কাঁদতে হয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায় !

সত্যজিৎ রায়ের জন্য কাঁদতে
হয়েছে মাধবী মুখোপাধ্যায় !

বিবাহিত সত্যজিৎকে ভালোবেসে নিজের জীবনে বিপদ ডেকে এনেছিলেন অভিনেত্রী !

সম্পর্ক শুরু হওয়ার
আগেই শেষ হয়ে যায়!

শুধুমাত্র পরিচালকের জন্যই
মৃত্যুবরণ করতে হয় অভিনেত্রীকে !

 

আচ্ছা বাংলা সিনেমার কথা বললে কার নাম সবার আগে আসে ? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন সত্যজিৎ রায়। যাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে শব্দও কম পড়ে যায় । সিনেমা আসলে কি সেই সংজ্ঞা তৈরি করেছেন লেজেন্ড সত্যজিৎ রায়। আর অন্যদিকে অভিনয়ের পাঠ শিখিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের চারুলতা তথা স্বনামধন্য অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি এই দুজন মানুষ। এদের হাত ধরেই বাংলা সিনেমা আজ বিশ্বের দরবারে। বর্ষীয়ান দুই মানুষের দক্ষতা, গুন সম্পর্কে সকলে জানলেও ,,,,,,, গুঞ্জন সম্পর্কে কি জানেন ? না কেউই জানেন না । সত্যজিৎ রায় এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে রয়েছে বিস্তর কেচ্ছাকাহিনী। অল্পবয়সী মাধবীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সত্যজিৎ রায়ের। বিবাহিত জেনেও চারু মন দিয়ে বসেন পরিচালককে। তবে তার পরিণতি হয়েছিল খুবই ভয়াবহ। ভালোবেসে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। আজও টালিপাড়ায় কান পাতলে দুজনের গোপন প্রেমের সম্পর্ক কানাঘুষো শোনা যায়। তাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে
মুখ খুলেছেন খোদ অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়।

বিশিষ্ট গনমাধ্যমের কাছে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়,,,,,,,,,তাদের ঘিরে জল্পনা আসলেই সত্যি । সেই সময় পরিচালক একের পর এক সিনেমায় সাফল্য পেয়ে যাচ্ছেন । অভিনেত্রীও বাংলা সিনেমায় বেশ ভালই নাম কামিয়ে নিয়েছেন। মাধবী দেবী তখন সিনেমার কাজে ব্যস্ত । হঠাৎ করেই সত্যজিৎ রায়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। তখন প্রায় সকল পরিচালকই চাইতেন মাধবীদেবীকে নিয়ে কাজ করার । সকলের পছন্দের একেবারে শীর্ষে থাকতেন । তার কাজের দক্ষতা দেখে সত্যজিত রায়ের পছন্দ হয় । অভিনেত্রীকে কাজ করার সুযোগ করে দেন । আর তিনিও এক কথায় রাজি হয়ে যান । এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের সাথে প্রথম কাজ করেন মহানগর সিনেমায়। বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল সেই সিনেমা। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে করা প্রথম কাজই তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন। শহর জুড়ে তখন সকলের মুখে মাধবী এবং পরিচালকের নাম । এতদূর ঠিক সব ঠিক ছিল ,,,,,,,,, এরপরই শুরু হয়আসল কাহিনী । মহানগরের পর অভিনেত্রী সুযোগ পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘চারুলতা’ ছবিতে । এই সিনেমাতে কাজ করা কালীনই চারুলতা সত্যজিত বাবুকে মন দিয়ে বসেন । পরিচালকের প্রেমে এতটাই ডুবে যান যে ,,,,,,,, তাঁর স্বয়নে, স্বপনে একমাত্র তিনিই থাকতেন। বর্ষীয়ান পরিচালককে নিয়ে তিনি ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন । তবে অভিনেত্রী যে মানুষটির প্রেমে পড়েন তিনি ছিলেন বিবাহিত । স্ত্রী বিজয়াকে নিয়ে সত্যজিতের ভরা সংসার। প্রথম প্রথম ভালোবাসাটা একতরফা হলেও পরে পরিচালকও মাধবী দেবীর প্রেমে পড়েন। কিন্তু কোনোদিনও তিনি ভালবাসার দাবি নিয়ে মহারাজের সামনে দাঁড়াননি । আসলে অভিনেত্রী কখনোই চাননি যে একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের সংসার ভেঙে ফেলতে। তাই তিনি নিজে থেকেই সরে এসেছিলেন এই সম্পর্ক থেকে। তবে কাজ করা বন্ধ করে দেননি। মন শক্ত রেখে তিনি চারুলতা এরপর কাপুরুষে কাজ করেন । এই দুটি সিনেমাতেল বেশ ভালোই সুনাম অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী । তবে কাপুরুষি ছিল তার শেষ কাজ। এরপর আর কখনোই তিনি সত্যজিৎ রায়ের সাথে কাজ করেনি। নিজে থেকেই সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ।এমনকি পরিচালক নায়ক সিনেমায় কাজ করার সুযোগ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। এই প্রত্যাখ্যানের পিছনে যদিও বিশেষ কারণ রয়েছে।

অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী, সেই সময় তাদের দুজনকে নিয়ে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যা অভিনেত্রী নিতে পারছিলেন না । এমনকি তিনি কখনো চাননি তার জন্য সত্যজিৎ রায় অসম্মানিত হোক। তবে তাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি এতটা নিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে তিনি শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। একসাথে ৬০ খানা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলেন । বদনাম সইতে না পেরে সকলের প্রিয় চারু মৃত্যুকেই বেছে নেন। তবে সেদিন ভাগ্য ভালো থাকায় তিনি সেই বেঁচে যান । এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আরো অনেক কিছু জানান । সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের দুজনের সম্পর্ক পরিচালকের স্ত্রীকে খুব আঘাত দিয়েছিল । যা বিজয়া দেবীর লেখা আত্মজীবনী “আমাদের কথা”-র পাতায় লেখা রয়েছে। তবে পরিচালক কিংবা অভিনেত্রী তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কখনোই কোনো মন্তব্য করেননি। বরং অভিনেত্রী সর্বদা এ বিষয়টিকে নিয়ে এড়িয়ে চলে গেছেন। সকলের প্রিয় চারুলতা তথা অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় সদ্য বিকশিত হওয়া প্রেম নিজের হাতেই কবর দিয়ে দিয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *