মা নামের কলঙ্ক এই মহিলা! দুধের শিশুকে টানা ১০ দিন একা ঘরে আটকে রাখলেন এই নারী

মা নামের কলঙ্ক এই মহিলা! দুধের শিশুকে টানা ১০ দিন
একা ঘরে আটকে রাখলেন এই নারী

মা নামের কলঙ্ক
এই মহিলা!

দুধের শিশুকে টানা ১০ দিন
একা ঘরে আটকে রাখলেন এই নারী!

বুকের সন্তানকে বেঁধে রাখলেন
ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে!

না দিয়েছেন পর্যাপ্ত দুধ,
না দিয়েছেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা!

অমানুষ মা তখন বয়ফ্রেন্ডের
সাথে মজা করতে ব্যস্ত!

বাড়ি ফিরে সন্তানকে যে অবস্থায় পেলেন,
শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও

দেখুন পেটের সন্তানের সঙ্গে,
কি মর্মান্তিক পরিণতিটাই না ঘটালেন এই মা

জন্ম দিলেই যে মা হওয়া যায় না, এবার সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন এই মা। যিনি তার

১৬ মাসের শিশু! বাড়িতে সম্পূর্ন একা । না আশেপাশে তার মা নেই । মা তখন ব্যস্ত প্রেমিকের সাথে একান্তে সময় কাটাতে। ফাঁকা বাড়িতে একটু দুধের আশায় কেঁদে চলেছে ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু এই কান্না মায়ের কান অবধি পৌঁছায়নি। মা জ্ঞান, বুদ্ধি হারিয়ে পেটের সন্তানকে বাড়িতে তালা দিয়ে তিনি নাচতে নাচতে চলে গেছেন ছুটি কাটাতে । তাও আবার একদিন দুদিন নয় টানা ১১ দিন । তিনি যে একজন মা সেকথাই তার মনে নেই। একজন ১৬ মাসের শিশুর যেখানে তিন বেলা মায়ের বুকের দুধের প্রয়োজন সেই শিশুটি ১১ দিন না খেয়ে থেকেছে। আর যার শেষ পরিণতি হয়েছে মর্মান্তিক মৃত্যু । হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন,,,,,, ক্ষিদের জ্বালা সইতে না পেরে মৃত্যু বরণ করেছে এই শিশু। পৃথিবীতে সবচেয়ে পবিত্র এবং নিখাদ সম্পর্ক মা এবং সন্তানের সম্পর্ক। তবে এবার সেই সম্পর্কের নামে কলঙ্ক সৃষ্টি করেছে এই মহিলা। এই জগতে সন্তানরা নাকি মায়ের কাছেই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। কিন্তু একথা ভুল প্রমাণ করে দিলো এই মহিলা।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ক্যান্ডেলারিও ১৬ মাসের কন্যা সন্তানের মা। তবে মা হলে কি হবে! মা হওয়ার গুন বিন্দুমাত্র তার মধ্যে নেই। একজন মায়ের দায়িত্ব সন্তানকে আগলে আগলে রাখা । কিন্তু তিনি কি করেছেন সন্তানকে বাড়িতে একা রেখেই নিজের মাইন্ড রিফ্রেশ করতে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন । তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে, ক্যান্ডেলারিও তার ১৬ মাসের কন্যা সন্তান জাইলিনকে বাড়িতে রেখে ছেলে বন্ধুর সাথে ঘুরতে ট্রিপে যান। তাও আবার ১১ দিনের জন্য । তবে হ্যাঁ যাওয়ার আগে মেয়ের জন্য কয়েক বোতল দুধ রেখে যেতে ভোলেননি । অচ্ছা আপনারাই বলুন ১৬ মাসের শিশু যে ঠিক ভাবে কথা বলতে জানেনা, হাঁটতে জানে না, সেকি নিজের হাতে করে দুধ খেতে পারবে। তবে আমি, আপনি বুঝলেও শিশুটির নিজের মা একথা বোঝেননি। যেসময় তার মা বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে ব্যস্ত সেসময় বাচ্চা শিশুটি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল । কিন্তু তার এই লড়াই শেষপর্যন্ত থেমে যায় দ্বিতীয় দিনেই। পেটের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে প্রাণত্যাগ করে সেই শিশু। তবে শিশুটি মারা গেলেও মায়ের কোনো হুশ নেই । তিনি দিব্যি ছুটি কাটিয়ে , খেয়ে দেয়ে……..ডেট্রয়েট, মিশিগান, পুয়ের্তো রিকো ঘুরে ১১ দিনের মাথায় বাড়িতে ফেরেন । আর দরজা খুলে দেখেন তার সন্তানের প্রাণহীন শরীর পড়ে রয়েছে বিছানায়। বাচ্চাটি যে বিছানায় অসাড় হয়ে পড়ে ছিল সেখানে ছড়ানো ছিটানো ছিল তারই মলমূত্র।

তবে এত দূর সব ঠিক থাকলেও ……… এরপর আপনাকে যে কথা শোনাবো তা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। সন্তানের মৃত্যু হয়েছে দেখেও মায়ের মন বিন্দুমাত্র কেঁদে ওঠেনি। বরং মহিলা নিজের দোষ ঢাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন । তিনি পরলোকগত সন্তানকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ভালো জামা কাপড় পড়িয়ে ডাক্তারকে খবর দেন। কিন্তু ডাক্তাররা শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখে বলেন দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মহিলা একথা শুনে এমন ভাব করেন তিনি যেন এই সমন্ধে কিছুট্টি জানেন না । তবে পরবর্তীকালে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তারপরও তিনি সাবলীল অস্বীকার করে যেতে থাকেন । এবিষয়ে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তবে এই মামলা আদালতে উঠলে রহস্যের জট একে একে খুলে যায়। বিচারকরা পর্যন্ত ক্যালেরিওর এমন কাজ দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন । একজন মা কতোটা নিষ্ঠুর হতে পারে তার প্রমাণ ক্যালেরিও। তবে তিনি তার করা পাপের ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন । বিচারকরা তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি মাসে মার্চেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের ফলাফল শুনে ক্যালেরিও কেঁদে দেন । নিজের সন্তানের জন্য নয়, নিজের শাস্তি শুনে হাউ হাউ করে আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন। তবে ওই যে কথায় আছে না পাপ তার বাপকে ছাড়ে না । তাই পাপের ফল তো পেতেই হতো
এই পৃথিবীতে ক্যালরিওর মতন স্বার্থপর মাও যে রয়েছেন তা প্রমাণ হয়ে গেলো


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *