হিন্দুদের ৫টি জাগ্রত মন্দির, যেখানে রয়েছে জ্যান্ত ঠাকুর! প্রত্যেক হিন্দুদের, জীবনে ১বার হলেও, এই মন্দিরগুলো দর্শন করা উচিত

হিন্দুদের ৫টি জাগ্রত মন্দির, যেখানে রয়েছে জ্যান্ত ঠাকুর!
প্রত্যেক হিন্দুদের, জীবনে ১বার হলেও, এই মন্দিরগুলো দর্শন করা উচিত

হিন্দুদের ৫টি জাগ্রত মন্দির,
যেখানে রয়েছে জ্যান্ত ঠাকুর!

প্রত্যেক হিন্দুদের, জীবনে ১বার
হলেও, এই মন্দিরগুলো দর্শন করা উচিত!

মৃত্যুর আগে হলেও, অন্তত ১বার
এই মন্দিরগুলোতে পা রাখুন!

এখান গেলে কেউ খালি
হাতে ফেরেন না!

পূরণ হবেই হবে
সকল মনস্কামনা থেকে মানত!

এখানে গেলে সাক্ষাৎ
ভগবানকেই দেখতে পাবেন!

প্রথমেই রয়েছে রাম মন্দিরঃ

ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে হেভিওয়েট মন্দির রাম মন্দির । ভারতের উত্তরপ্রদেশে অয্যোধ্যায় অবস্থিত এই মন্দিরে প্রতিদিন কাতারে কাতারে জমা হয় ভক্ত। এটি কোনও যে সে মন্দির নয় । এই মন্দির তৈরির পিছনে রয়েছে অগুনতি হিন্দু ভাই বোনেদের আত্মবলিদান। সনাতনধর্মীদের কাছে এই মন্দির আশীর্বাদ। এই মন্দিরে নির্মিত রামলালা শুধু মূর্তি প্রতিমাই নন ! এই প্রতিমার মধ্যে রয়েছে স্বয়ং ভগবান রামের প্রাণ। কারণ শোনা যায় রামলালার বিগ্রহ তৈরি করতে স্বয়ং প্রভু রাম সাহায্য করেছেন………মূর্তি নির্মাতা অরুণ যোগীরাজকে। তিনি মূর্তি তৈরির সময় প্রতিটি পদে পদে রামলালার আভাস পেয়েছেন। রামলালা যে নিজের মূর্তি নিজেই তৈরি করেছেন একথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই । তাই তো শুধুমাত্র একবার এই রামলালার দর্শন পাওয়ার জন্য……….প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন রাম ভক্তরা।

এরপরেই রয়েছে ,পুরীর জগন্নাথ মন্দিরঃ

দেশের তীর্থ স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নিদর্শন পুরীর জগন্নাথ মন্দির। উড়িষ্যার বুকে অবস্থিত এই মন্দিরের প্রতি মানুষের এক আলাদাই বিশ্বাস । অনেকেই মনে করেন এই মন্দিরে জগন্নাথ অবতারে শ্রীকৃষ্ণ বাস করেন । এই মন্দির আজকের নয় দীর্ঘ ৮০০ বছরের পুরনো। এই মন্দিরে শুধু জগন্নাথ একা নন তার সঙ্গে একই আসনে বসে আছেন দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা। তবে এই মন্দিরকে ঘিরে তৈরি একাধিক অলৌকিক কাহিনীর নেপথ্যে কোনও বিজ্ঞান কাজ আজও কাজ করেনি। ভক্তদের মুখে শোনা যায়, জগন্নাথদেবের ভেতরেই নাকি শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আজও শ্রীকৃষ্ণের হৃদস্পন্দনের আওয়াজ ভেসে আসে এই মন্দির থেকে । শুধু তাই নয় ভক্তদের বিশ্বাস পবিত্র মানে প্রভুর কাছ থেকে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত কোনও ভক্তই খালি হাতে ফেরত যাননি। অনেক মায়ের কোল ভরে দিয়েছেন খোদ জগন্নাথ। তিনি যে সত্যিই জাগ্রত সে প্রমাণ বারবার পাওয়া গিয়েছে ।

তিনে আছে , ইসকনের মন্দিরঃ

এরপর তালিকায় রয়েছে অন্যতম জাগ্রত মন্দির মায়াপুরের ইসকনের মন্দির। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় ভবন হচ্ছে ইসকনের মন্দির । এই মন্দিরের সৌন্দর্য টেক্কা দেবে তাজমহল থেকে শুরু করে দিল্লীর লালকেল্লাকে । এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত রাধা কৃষ্ণের বিগ্রহ দেখলে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে আসবে। শোনা যায় , এই মন্দিরে স্বয়ং রাধা কৃষ্ণ নাকি ঘুরে বেড়ান। এমনকি এই মন্দিরের ভেতরে শ্রী কৃষ্ণের বাঁশির আওয়াজ পর্যন্ত শোনা যায়। শ্রী কৃষ্ণের টানে কৃষ্ণ ভক্তরা বার বার এই মন্দিরে ছুটে আসেন।

চার, তিরুপতি মন্দিরঃ

এরপর যদি আর কোনও মন্দিরের কথা আসে তাহলে সেটি হচ্ছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতির বালাজির মন্দির । এই মন্দির শুধু ভারতেই নয় গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা অত্যন্ত জাগ্রত এবং শক্তিশালী। কথিত আছে , এই মন্দিরে চুল দান করলে নাকি মা লক্ষী তুষ্ট হন । শুধু পুরুষেরাই নন নারীরাও ভগবানের নামে চুল নিবেদন করে থাকেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের বেশি ভক্তরা এই মন্দিরে চুল দান করেন । সকল ভক্তদের মুখে শোনা যায় আজ পর্যন্ত প্রভু কাউকেই নিরাশ করেননি । যারা মানত করে গেছেন সকলেরই মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে ।

পাঁচ , কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরঃ

ভারতের বিখ্যাত হিন্দু মন্দির কাশী বিশ্বনাথ মন্দির । উত্তরপ্রদেশের বারানসিতে অবস্থিত এই মন্দিরে বাস করেন স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব । পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে , এই মন্দির নাকি স্বয়ং শিব নিজের হাতে প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। এই মন্দির ভোলা মহেশ্বর নিজে হাতে আগলে আগলে রাখেন । মন্দিরের গায়ে বিন্দুমাত্র আঁচড় কাটতে দেয় না তিনি । এই মন্দির জুড়ে রয়েছে একাধিক ইতিহাস যা আপনাদের অন্য আরেকদিন জানাবো । তবে এই মন্দিরের আরও একটি বিশেষত্ব হচ্ছে,,,,,, মন্দিরের চূড়া সোনার প্রলেপ দিয়ে তৈরি । গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মন্দির ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *