ডিভোর্সি মহিলাদের মাথায় বাজ ! এবার থেকে শুধু পুরুষেরাই নয় , মহিলাদেরও দিতে হবে মোটা অঙ্কের খোরপোষ !
ডিভোর্সি মহিলাদের
মাথায় বাজ!
এবার থেকে শুধু পুরুষেরাই নয় ,
মহিলাদেরও দিতে হবে মোটা অঙ্কের খোরপোষ !
মহিলাদেরও ওঠাতে
হবে স্বামীর দায়িত্ব !
ফাটাফাটি রায়
দিলো আদালত !
আজকাল ছেলে মেয়ে সকলে সমান ! কোথাও কোন লিঙ্গ ভেদাভেদ চলবে না। এমনই চিন্তাধারা দেখা যায় সকলের মধ্যে। অফিস হোক কিংবা বাড়ি সব জায়গায় পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব সামলাছেন মহিলারা। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সত্যি কি সবজায়গায় নারী পুরুষকে সমান ভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ? আজ্ঞে না ! বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের সুবিধা একটু বেশি দেওয়া হয়। বাসে ট্রামে যেমন লেডিস বলে আগে সিট পেয়ে যায়। তেমনই ডিভোর্সের সময়ও নারীরা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন । কখনো কি দেখেছেন যে স্বামীর খোরপোষ নিচ্ছে তার স্ত্রীরা। বরং দেখা যায় স্বামীদের স্ত্রীদের খোরপোষ নিতে। তবে এবার সেই পাশা খেলা বদলে গেল। এখন থেকে শুধু স্বামীরাই ভরণপোষণ নেবেন এমনটা নয়। স্ত্রীদেরও এই দায়িত্ব সামলাতে হবে। প্রতিমাসেই পুরুষদের হাতে তুলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা । এমনই নজিরবিহীন রায় ঘোষণা করল বোম্বে হাইকোর্ট।
ঘটনার সূত্রপাত , মুম্বাইয়ের এক দম্পতিকে কেন্দ্র করে। বেশ কিছুদিন ধরে আদালতে চলছিল তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা । এবার এই বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে বড়সড় রায় ঘোষণা করল আদালত। জানা গিয়েছে , এই দম্পতির বছর কয়েক আগে বিয়ে হয়েছে, তাদের এক সন্তানও রয়েছে । তবে স্ত্রীর হঠাৎ করেই মন ঘুরে যায় । তিনি সিদ্ধান্ত নেন স্বামীকে ডিভোর্স দেবেন । তবে ডিভোর্সের পিছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে স্বামীর অসুস্থতা। যেহেতু স্ত্রী একজন ব্যাঙ্কের কর্মচারী তাই অক্ষম স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে পারবেন না। এই জন্য এই সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে চান। যেমন ভাবা তেমন কাজ । ২০২০ সালে স্ত্রী তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের প্রথম মামলা তোলেন সিভিল কোর্টে । এরপর আদালত দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে , তাদের সেপারশনের জন্য টাইম দেয় । তবে সেই টাইম কোন কাজে লাগে না । কারণ স্ত্রী তার সিদ্ধান্তে কোন নড়চড় করেন না। এই সিদ্ধান্তের জেরেই, আইন অনুসারে দুজনের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্স অবধি সব ঠিক থাকলেও আদালতের ঘোষণা স্ত্রীর মাথায় বাজ ফেলে । হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে , স্ত্রীকে তার প্রাক্তন স্বামীর খোরপোষের দায়িত্ব নিতে বলে আদালত। প্রতিমাসে স্বামীকে ১০ হাজার টাকা খোরপোষ দিতে বলা হয় আদালতের তরফ থেকে । কিন্তু তিনি কোনও মতেই এই দায়িত্ব নিতে নারাজ, সিভিল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দ্বারস্থ হন বোম্বে হাই কোর্টে । তবে সেখানে গিয়েও কোন লাভ হয় না। স্ত্রীয়ের অভিযোগ তিনি নাকি ২০১৯ সালেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তাছাড়াও তার স্বামী এখন পুরোপুরি সুস্থ , এমনকি নিজে কাজ করেও খেতে পারবেন । তাই স্ত্রী তার প্রাক্তন স্বামীর কোনো দায়িত্ব নিতে পারবে না । তবে তার কোন অভিযোগই বোম্বে হাইকোর্টের কাছে ধোপে টেকে না । শর্মিলা দেশমুখের সিঙ্গল বেঞ হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে , নির্দেশ দেওয়া হয় স্ত্রীকে স্বামীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতেই হবে। সিভিল কোর্টের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে এর হেরফের হবে না ।
আপনাদের কি মনে হয় এই রায় কতটা উপযুক্ত ? এই রায়ে পুরুষেরা কতটা উপকৃত হবে ? আপনাদের মুল্যবান মন্তব্য কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না ।
Leave a Reply