ফুচকা থেকে ছড়াচ্ছে বিষধর ক্যান্সার! মুখরোচক ফুচকাতেই লুকিয়ে ক্যান্সারের মারণ ছোবল

ফুচকা থেকে ছড়াচ্ছে বিষধর ক্যান্সার! মুখরোচক ফুচকাতেই লুকিয়ে ক্যান্সারের মারণ ছোবল

ফুচকা থেকে ছড়াচ্ছে
বিষধর ক্যান্সার !

মুখরোচক ফুচকাতেই লুকিয়ে
ক্যান্সারের মারণ ছোবল!

এবার ক্যান্সারের কারণে
উঠে এলো, ফুচকা!

মেয়েরা সবচেয়ে বিপদে!

কীভাবে শরীরে ঢুকেছে
এই ভয়ঙ্কর ক্যান্সারের বিষ?

গবেষণায় উঠে এলো
চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ফুচকাপ্রেমীরা এক্ষুনি সাবধান হয়ে যান ! আজই বন্ধ করুন ফুচকা খাওয়া। নইলে আপনার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। কি শুনে অবাক হচ্ছেন ? অবাক হবেন না এটাই সত্যি। প্রতিদিন তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে গপগপ করে ফুচকা খাচ্ছেন টক জল দিয়ে। তাও আবার একটা দুটো নয় , একসাথে ৪০, ৫০ টা। সাথে বাটি বাটি টক জল। ফুচকা এমনই লোভনীয় খাবার যা দেখে বাঙালিরা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে না। শুধু বাঙালিরাই নয়, ভারতের সকলেই ফুচকার প্রেমে মাতোয়ারা। তবে এই ফুচকা থেকেই ছড়াচ্ছে সাংঘাতিক ক্যান্সার। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্যান্সার হওয়ার হাইরিস্ক এই ফুচকা থেকে । কারণ মেয়েরাই ফুচকা খেতে বেশি ভালোবাসেন। এটা আমাদের কথা নয় । এবিষয়ে মুখ খুলেছেন বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে জিভে জল আনা ফুচকার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যু ঝুঁকি। ইতিমধ্যেই ফুচকা খেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশের সিংহভাগ মানুষ। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে একদিন , দুদিন ফুচকা খেলে শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধে না। গবেষকরা এর নেপথ্যে বিশেষ কারণ দেখিয়েছেন।

সবার আগে জানাই কি কি কারণে ফুচকা থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হচ্ছে ?

এক, ফুচকাওয়ালার হাত থেকে ছড়াচ্ছে ক্যান্সার:

ফুচকা থেকে ছড়ানো ক্যান্সারের মূল কারণই হচ্ছে ফুচকাওয়ালার হাত । কারণ তারা ফুচকার আলু মাখার সময় হাত ব্যবহার করেন। কিন্তু সেই হাত আদৌতেও পরিষ্কার কিনা আমরা দেখতে যাই না । অনেকসময় যেহাত দিয়ে ফুচকা কাকু আলু মাখছেন, সেই হাত দিয়েই ঘাম মুছছেন । শুধু তাই নয় ওই একই হাত দিয়েই আবার বিভিন্ন নোংরা জায়গাতেও হাত দিচ্ছেন। কিন্তু সেই হাত যে তিনি ধুয়ে কিংবা স্যানিটাইজ করে ফুচকা পরিবেশন করছে এমনটা নয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় ফুচকার আলু কাটতে গিয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে হাত কেটে যেতে পারে। এই কাটা হাতে অনেক সময় ঘা কিংবা র‍্যাস তৈরি হতে পারে। আর এই ঘা থেকে নিঃসৃত রস ফুচকার সাথে মিশে গিয়ে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। আর এই ফুচকা পেটে যাওয়া মাত্রই ক্যান্সারের জীবাণুর জাগ্রত হয়ে ওঠে।

দুই , বিষাক্ত টকজল :

ফুচকাতে যে টক জল খান সেটি কোন তেঁতুল জল কিংবা জলজিরার জল নয় । এই টক জল তৈরির জন্য ফুচকা বিক্রেতারা যে মারাত্মক উপাদানটি ব্যবহার করেন,,,,,,,,,,, সেটি ক্যান্সার তৈরির মূল উপাদান। জানা গিয়েছে , এই টক জলে মেশানো হয় টেস্টিং সল্ট। এই টেস্টিং সল্টে আলাদা করে কোন স্বাদ থাকে না। তবে এর মধ্যে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আমাদের শরীরে থাকা টেস্ট রিসেপ্টরের উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। আর এর জন্যই মেয়েদের টক জলের গন্ধ নাকে এলেই জিভ থেকে লালা ঝরতে থাকে। আর এই উপাদানটি শরীরে দিনের পর দিন যেতে থাকলে ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে। শুধু তাই নয় এর জন্য যে জল ব্যবহার করা হয় সেটিও একেবারে অপরিশোধিত। আর অপরিশোধিত জল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

তিন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ:

সব ফুচকা কিন্তু ঢাকা কিংবা নিরাপদ ভাবে থাকে না। এরফলে বাতাসে থাকা রোগ জীবাণু এই খাবারের মধ্যে মিশে যায়। আর এই খাবারগুলি আমাদের পেটে যাওয়া মাত্রই ভয়ঙ্কর প্রভাব তৈরি করে। এই জীবাণু গুলো পেটে গেলে পেটের গোলমাল সৃষ্টি হয়। পাচন ক্রিয়াতেও সমস্যা দেখা দেয়। লাগাতার এই সমস্যা চলতে থাকলে একসময় তা ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে।

চার, মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসী তেল:

কোন ফুচকাওয়ালাই ফুচকা তৈরির জন্য ব্র্যান্ডেড তেল ব্যবহার করেন না। ব্যবসা করার স্বার্থে সর্বদা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ তেল ব্যবহার করে থাকেন । শুধু তাই নয়, অনেক সময় দেখা যায় একবার রান্নার তেল ব্যবহার করে সেটিকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে থাকেন । আর এধরনের তেলে ফুচকা ভাজার ফলে শরীরের মধ্যে কর্কট রোগ বাসা বাঁধছে। তার কারণ এই মেয়াদ উত্তীর্ণ তেলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নানা ধরনের সব জীবাণু। যা আমাদের শরীরকে ক্ষতি করছে।

পাঁচ, অতিরিক্ত ঝাল:

অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে ফুচকা খাওয়া অধিকাংশ মেয়েদের লক্ষন। মেয়েরা মনে করেন, এইভাবে ফুচকা খেলে ফুচকার স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু গবেষকদের মতে অতিরিক্ত ঝাল ফুচকা খাবার ফলে অন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। অন্ত্রের ঝিল্লি নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে যেকোনো খাবারের পুষ্টিগুন শোষন করা ধ্বংস হয়ে যায় । অন্ত্রের ঝিলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে সেই স্থানে ঘাও সৃষ্টি হতে থাকে। আর এই ঘা থেকেই ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

এবার আসি ফুচকা থেকে কি কি ক্যান্সার হতে পারে?

গবেষকদের মতে ফুচকা থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। পাকস্থলীর ক্যান্সার,ওরাল ক্যান্সার , কোলন ক্যান্সার, মস্তিষ্কে ক্যান্সার এমনকি মেয়েদের বুকের ক্যান্সার। তবে মস্তিষ্কে ক্যান্সার এবং মেয়েদের বুকে ক্যান্সারের জন্য ভয়ংকর ভাবে দায়ী টেস্টিং সল্ট।

তাহলে বুঝতেই পারছেন ফুচকা থেকে কিভাবে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে। তাই প্রতিদিন ফুচকা না খেয়ে সপ্তাহে কিংবা মাসে এক দুবার খান। তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিদিন ফুচকা খেলে আপনিও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *