মুরগির মাংস থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস  !

মুরগির মাংস থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস  !

 

মুরগির মাংস থেকে ছড়াচ্ছে

ভয়ঙ্কর ভাইরাস !

 

বাতাসে বাতাসে ভেসে

বেড়াচ্ছে এই জীবাণু !

 

আর এই রোগ ভয়ঙ্কর ভাবে

থাবা বসাচ্ছে মানুষের শরীরে !

 

কি এই মুরগির ভাইরাস ?

কিভাবে ছড়াচ্ছে মানুষের শরীরে ?

এর লক্ষন গুলি বা কি কি ?

 

একে তো গোটা বিশ্ব জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে ক্যান্সারের উপদ্রব । আর এই ক্যান্সারের দায়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত । সেখানে গোদের ওপর বিষফোঁড়া মুরগির ভাইরাস । বর্তমানে এই রোগটি ভয়ঙ্কর ভাবে চোখ রাঙ্গাচ্ছে । চিকেন প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ ! যারা চিকেন খাচ্ছেন তারা আজই খাওয়া বন্ধ করুন । নাহলে আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন মারাত্মক চিকেন ভাইরাসে । ইতিমধ্যে ভারতের বেশ কয়েক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগের ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।  ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গবেষকরা এই ভাইরাস নিয়ে সকলকে কড়াকড়ি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই সময় একেবারে মুরগি খেতে না করছেন বিশেষজ্ঞরা । তবে হঠাৎ করে এই রোগের বাড় বাড়ন্ত মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে । অনেকের মনে প্রশ্ন কি এই মুরগির ভাইরাস? মানুষের শরীরে কিভাবে ছড়াচ্ছে ? এই সব বিষয়ে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে ।

সবার আগে জানিয়ে রাখি মুরগির ভাইরাস আসলে কি ?

মুরগির ভাইরাস এটি একটি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ। এই ভাইরাস ঘটিত রোগ মূলত মুরগি সহ সকল পাখিদের  মধ্যে দেখা যায়। এই রোগ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। গবেষনায় দেখা গিয়েছে,  এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে । এই ভাইরাস পশু থেকে শুরু করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে  অনেকসময় মানুষদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। একমাত্র মুরগি কিংবা কোনও পাখির সংস্পর্শে এলেই এই রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে । বৈজ্ঞানিক ভাষায় , এই রোগের নাম হচ্ছে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা । মুরগির মধ্যে থাকা  H5N1 নামক ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে এই রোগ ছড়ায় ।

 

মানুষের মধ্যে এই রোগ দেখা দিলে বুঝবেন কি করে ?

মানুষেরা  এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে কিছু লক্ষন আপনার শরীরে ধরা পড়বে । এই লক্ষনগুলি হচ্ছে ,

এক, জ্বরঃ

এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে জ্বর আসবে । আর এই জ্বর সাধারন কোন জ্বর নয় । জ্বরের তাপমাত্রা এতটাই বেশি থাকবে যে আপনি বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারবেন না। জ্বরের মেয়াদ যদি তিনদিনের বেশি থাকে তাহলে আপনি শীঘ্রই ডাক্তারের শরনাপন্ন হন।

দুই, কাশিঃ

আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মধ্যে এই লক্ষণটি দেখা দেবে । এই কাশিকে ভুলেও সাধারন কাশি বলে উড়িয়ে দেবেন না । গবেষকদের মতে , এই কাশির তীব্রতা এতটাই জোরালো হবে কাশতে কাশতে আপনার পেটে ব্যাথা , বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে যাবে ।

তিন, শ্বাসকষ্টঃ

এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে । এরফলে আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় । ঘুমানোর সময়, কিংবা অল্প কাজ করলেই শরীরে হাঁপানি দেখা দেয় । এই লক্ষনগুলিই জানিয়ে দেবে আপনি চিকেন ভাইরাসে আক্রান্ত ।

চার, শরীরে দুর্বলতাঃ

মুরগি থেকে এই ভাইরাস মানব শরীরে গিয়ে………যেভাবে কাবু করে তা আপনার ধারণার বাইরে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে  এই ভাইরাস । এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যেতে পারে । হাঁটাচলার ক্ষমতা টুকু থাকবে না ।

এছাড়াও পেশি ব্যথা , পেটে ব্যথা ,  তীব্র মাথা যন্ত্রণা এগুলিও এই রোগের লক্ষন ।

 

কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?

গবেষকদের মতে, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি মুরগি বিক্রেতা এবং পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের । কারণ এরাই সবচেয়ে বেশি মুরগিদের সংস্পর্শে থাকে । এছাড়াও যাদের বাড়িতে পোষয় পাখি রয়েছে তাদেরও এই রোগ হওয়ার প্রবনতা রয়েছে ।

তবে এই রোগে যেই আক্রান্ত হন না কেন , সবার আগে চিকিৎসা করিয়ে নেবেন। চিকিৎসক না দেখিয়ে বাড়িতে শুশ্রূষা করার কথা ভাববেন না । নাহলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *