অরিজিৎ সিং এর বিশ্বাসঘাতকার জন্য, অন্ধকারে তলিয়ে যান এই যুবক! চেনেন এই যুবককে? এর কারণে অরিজিৎ সিং আজকে জনপ্রিয়

অরিজিৎ সিং এর বিশ্বাসঘাতকার জন্য, অন্ধকারে তলিয়ে যান এই যুবক! চেনেন এই যুবককে? এর কারণে অরিজিৎ সিং আজকে জনপ্রিয়

অরিজিৎ সিং এর বিশ্বাসঘাতকার
জন্য, অন্ধকারে তলিয়ে যান এই যুবক!

গায়ক অরিজিৎ চরমভাবে
ঠকান এই যুবককে!

বন্ধুরূপে স্বার্থপরতার
পরিচয় দেন অরিজিৎ!

গায়কের ১টি ভুল,
এই যুবকের ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেয়!

চেনেন এই যুবককে?

এই ছেলেটির কারণেই
আজকে অরিজিৎ সিং এত জনপ্রিয়!

ইনি না থাকলে গায়ক অরিজিতের
এর জন্মই হতো না

অরিজিৎ সিং ! তিনি শুধু গুনি গায়কই নন একজন ভালো মনের মানুষ । এমনটাই মনে করেন তার ভক্ত মহলের একাংশ। বলিউডের সকল সেলিব্রেটিদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হলেও,,,,,,,,,, অরিজিত সিংকে নিয়ে জিরো কন্ট্রোভার্সি । অরিজিৎ ভক্তদের মতে তার মতন সাদামাটা মানুষ এমন কোনও কাজ করতে পারেন না। যা তাকে সমালোচনার শীর্ষে নিয়ে আসবে। তবে ভক্তমহল এ কথা বললেও বলিউড মহল অন্য কথা বলছে। বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাবে গায়কের নামে লোক ঠকানোর কাহিনী। তথ্যসূত্রে জানা যায়, অরিজিৎ সিংয়ের জন্যই ক্যারিয়ার বরবাদ হয়ে গিয়েছে তার নিজের বন্ধুর। নিজের ক্যারিয়ার তৈরীর জন্য তিনি পিছনে ছুরি মেরেছেন প্রিয় বন্ধুকে। বন্ধুকে বাঁচানোর বদলে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন অরিজিৎ সিং। যার জেরে কপালে জুটেছে বিশ্বাসঘাতকতার তকমা।

ঘটনার সূত্রপাত, জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ফেম গুরুকুল কে কেন্দ্র করে। এই ফেম গুরুকুল যেখান থেকে অরিজিৎ সিং এর পথচলা শুরু। সময়টা ২০০৫ এর নাগাদ। তখন অরিজিৎ সিংয়ের এত জনপ্রিয়তা ছিল না। সবেমাত্র নিজের ক্যারিয়ার শুরু। সেই সময় তিনি ফেম গুরুকুলের একজন প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তার গান দর্শক থেকে বিচারক সকলকেই মুগ্ধ করতে থাকে। আর যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতার স্থান,,,,,, তাই একে অপরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো হবেই। তবে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝেই অরিজিত সিং খুঁজে পেয়েছিলেন একজন আদর্শ বন্ধু। বন্ধু বলা ভুল! তিনি ছিলেন গায়কের বড় ভাইয়ের মতন। আর এই বন্ধুর নাম শমিত ত্যাগী। তিনিও অরিজিৎ সিংয়ের মতই এই রিয়েলিটি শোয়ের অন্যতম টাফ কম্পিটিটার ছিলেন। তবে অন্যদের কাছে তারা প্রতিযোগী হলেও, নিজেদের কাছে তারা দুইভাই। অরিজিতের যেকোনো সমস্যার সমাধান করে দিতেন তার বড় ভাই। শমিত ত্যাগী বরাবরই অরিজিৎকে ভাইয়ের মতো আগলে আগলে রাখতেন। এমনকি দুজনের সম্পর্কও দর্শক মহলে বেশ নজর কাড়ে। কেউ কেউ আবার তাদের বড় মিয়া ছোট মিয়া বলেও ডাকতেন । তবে হঠাৎই তাদের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। ফেম গুরকুলের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল। এই শোয়ে যে দুজন সবচেয়ে কম ভোট পাবেন তাদের আবার ভোট দিতে পারবে অন্যান্য প্রতিযোগীরা। এরপর এই দুজনের মধ্যে যে কম ভোট পাবে তাকে এই শো থেকে বিদায় জানাতে হবে। আর ঠিক এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় শমিত ত্যাগীকে। ভোট কম পাওয়ার দরুন মনিকা নামের আরেক প্রতিযোগীর সঙ্গে তাকে এই ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়। তবে তাঁর সাথে যে ঘটনাটি ঘটে তা তিনি কল্পনাও করে ছিলেন না। জানা যায় সেই সময় রিয়েলিটি শো এর সকল প্রতিযোগীরা শমিত কে ভোট দিলেও,,,,,,,, একমাত্র অরিজিতই তাকে ভোট দেননি। তিনি ভোট দিয়েছিলেন অপর আরেক প্রতিযোগিকে। আর এই কান্ডটি দেখে বিচারক থেকে গোটা দর্শক মহল অবাক হয়ে যান। শুধু তাই নয়, শমিতও শকড হয়ে যান। সকলেই সেই সময় অরিজিৎ সিংয়ের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এই শোয়ের বিচারকরা তাকে রীতিমত বিশ্বাসঘাতক বলে দাবি করেন। শমিত যেখানে প্রতিনিয়ত অরিজিৎ সিংকে সেরা হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছেন,,,,,,,, সেই মানুষটির সাথে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করলেন তিনি । এটা কেউ মেনে নিতে পারেননি। সেই সময় অনেকেই বলতে শোনা যায়, অরিজিৎ নাকি নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে গিয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এই সব সম্পর্কের কোন দাম ছিল না তাঁর কাছে। তাই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে এত কিছু জল্পনা কল্পনার মাঝে তাদের বন্ধুত্বে বিন্দুমাত্র আঁচড় কাটতে পারেনি। সেইসময় করা কাজে গায়ক নিজেই অনুতপ্ত । তাঁর বন্ধুসম ভাইকে কখনোই তিনি কষ্ট দিতে চাননি। আজও তাদের সম্পর্ক আগের মতই রয়েছে। এখনও অরিজিতের শোতে প্রায়সময় শমিতকে দেখা যায়। আগের মত দেখা হলেই একে অপরকে আলিঙ্গন করতে ভোলেন না।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *