সাবধান! যখন তখন ভুলেও বজরং বাণ পড়বেন না, সব বিপদে বজরং বাণ পড়া যায় না

সাবধান! যখন তখন ভুলেও বজরং বাণ পড়বেন না, সব বিপদে বজরং বাণ পড়া যায় না

হনুমান ভক্তরা সাবধান!
বন্ধ করুন বজরং বাণ পাঠ!

যখন তখন ভুলেও
বজরং বাণ পড়বেন না!

বিপদ কতটা তীব্র হলে,
বজরং বাণ পাঠ করতে হয়, জানেন?

সব বিপদে বজরং বাণ
পড়া যায় না!

তাহলেই মর্মান্তিক বিপদ,
প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে!

কোন কোন বিপদে
বজরং বাণ পাঠ করবেন, দেখুন

বজরংবলী ! যিনি বিপদের রক্ষাকর্তা । যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে একবার মন থাকে বজরংবলীকে ডাকলে ………সমস্ত বিপদ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। বজরংবলীকে তুষ্ট করার জন্য অনেকেই বজরং বাণ পাঠ করে থাকেন । বজরং বাণ পাঠ করলে সমস্ত দোষ কেটে যায় । এমনকি যাদের কুণ্ডলীতে মঙ্গল দশা রয়েছে সেই দশাও কেটে যায়।  শুধু তাই নয় এই মন্ত্র পাঠের ফলে আপনার সকল শত্রু বিনাশ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে । এই বজরং বাণকে রক্ষা কবচ বলেও মনে করা হয়। ১৬ শতকে সাধক তুলসী দাস এই বজরং বাণ লিখেছিলেন। তিনি এই বাণ সম্পর্কে বেশ কিছু বিধি নিষেধ দিয়েছিলেন। তার মতে এই বাণ এতটাই তীব্র এবং শক্তিশালী যে ছোটখাটো বিপদে এই বাণ পড়া যায় না। কারণ এই বাণের প্রত্যেকটি অক্ষর এবং শব্দ শ্রী শ্রী হনুমানকে জাগ্রত করার জন্য যথেষ্ট। তিনি বলে গিয়েছেন, ভুলভাল সময়ে এই বাণ পাঠ করে ভগবান হনুমানকে অসন্তুষ্ট করা ঠিক নয়। তবে অনেকেই ভুল ভাবে এই মন্ত্র পাঠ করে থাকেন । জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যেকোনো সময় এই মন্ত্র পাঠ করা যায় না। বিপদের মাত্রা বুঝেই এই মন্ত্র পাঠ করতে হয়। মনে রাখবেন পরিস্থিতি বুঝেই এই মন্ত্র পাঠ করবেন। নাহলে বিপদ কাটার বদলে আপনার জীবনে আরও ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি হবে । এরফলে আপনার জীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । তাই কখন কিভাবে বজরং বাণ পাঠ করবেন জেনে নিন –

সবার আগে জেনে নিন কখন  বজরং বাণ মন্ত্র পাঠ করবেন ?

প্রথমত , আপনাকে বুঝতে হবে  আপনার জীবনে বিপদের তীব্রতার মাত্রা কতটা । যদি আপনি একা বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তখনই এই মন্ত্র পাঠ করুন।

দুই , আপনি যদি শারীরিক দিক থেকে বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন…………তাহলে এই মন্ত্র পাঠ করুন। চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি এই মন্ত্র পাঠ করলে ব্যাপক ফল পাবেন ।

তিন , কোনও ভালো কাজ শুরু করার আগে বারবার বাঁধা তৈরি হলে , পড়াশোনায় লাগাতার খারাপ ফল করলে এই মন্ত্র পাঠ করুন । শুধু তাই নয় বারবার ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি না জুটলে, আপনার পদোন্নতি না ঘটলে বজরং বাণ মন্ত্র পাঠ করতে পারেন ।

চার , এছাড়াও গুপ্ত শত্রুরা যদি আপনার কাজে বিঘ্ন ঘটায়  , আপনার পিছনে আপনার ক্ষতি করতে চায়  তখনই এই মন্ত্র পাঠ করুন। এমনকি গ্রহদশা খারাপ থাকলে, বাড়িতে কোন দোষ থাকলে, আপনাকে কালো জাদু করলে অবশ্যই পাঠ করা উচিত বজরং বাণ ।

তবে বারবার একটা কথা জানিয়ে রাখছি বিপদ ছোট হলে ভুলেও এই মন্ত্র পাঠ করবেন না ।

বজরং বাণ পাঠ করারও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে , সেগুলি কি কি জেনে নিন –

এক , এই মন্ত্র পাঠ করতে হলে ব্রহ্মমুহূর্তে অর্থাৎ ৩ঃ৩০ থেকে ৪ টের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। আর সেই সময় পারলে স্নান করে পবিত্র হয়ে নিন। তারপর বজরং বাণ মন্ত্র জপ করুন।

দুই , হাতে রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে। তাহলেই এই মন্ত্র পাঠ কাজ করবে ।

তিন, মন্ত্র পাঠ করার সময় অবশ্যই সামনে হনুমান মূর্তি সামনে রাখুন । প্রথমে বজরংবলীকে পুজো করে তারপর মন্ত্র পাঠ শুরু করুন ।

চার , চেষ্টা করুন এই বজরং বাণ মন্ত্র পাঠ করার সময় লাল কাপড় পড়ার ।

পাঁচ,  এই মন্ত্র পাঠের সময় কখনোই মনে লোভ , লালসা, উচ্চাকাঙ্খা রাখবেন না, নইলে হিতে বিপরীত হবে।

ছয় , অন্য কোনও দিকে মন দেবেন না। মন্ত্র পাঠ করার সময় শুধু এখানেই ধ্যান দেবেন এবং গোটা গোটা অক্ষরে উচ্চারন করবেন ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *