এ…কি… করলেন ঐশ্বর্য রাই? শেষমেষ ডিভোর্সের পথে বচ্চন পুত্র বধূ? বিয়ের মঙ্গলসূত্র বেচে দিলেন!

এ…কি… করলেন ঐশ্বর্য রাই? শেষমেষ ডিভোর্সের পথে
বচ্চন পুত্র বধূ? বিয়ের মঙ্গলসূত্র বেচে দিলেন!

এ…কি… করলেন
ঐশ্বর্য রাই?

শেষমেষ ডিভোর্সের পথে
বচ্চন পুত্র বধূ?

বিয়ের মঙ্গলসূত্র
বেচে দিলেন!

মুছে ফেললেন
স্বামীর শেষ স্মৃতিটুকু!

টাকার জন্যই কি,
এমন সিদ্ধান্ত?

নাকি আছে অন্য গল্প?

ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চনের ডিভোর্স, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বি টাউনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই খবর। কখনো শোনা যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি ছেড়েছেন রাই সুন্দরী, আবার কখনো শোনা যাচ্ছে, মেয়েকে নিয়ে আলাদা করে ঘুমাচ্ছেন বচ্চন পুত্র বধূ! তবে এবার যে খবর সামনে এলো, শুনলে চমকে উঠবেন! তথ্যসূত্রে জানা যাচ্ছে বচ্চন বাড়ির একমাত্র বড় বউ অর্থাৎ রাইসুন্দরী নাকি স্বামীর দেওয়া মঙ্গলসূত্র বেচে দিয়েছেন। অভিষেক বচ্চনের দেওয়া বহুমূল্যের মঙ্গলসূত্র, চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন ঐশ্বর্য। এই নিয়েই তোলপাড় গোটা বলিউড! কেউ প্রশ্ন তুলছেন, রাই সুন্দরীর কি টাকার অভাব হল? নাকি অন্য কোনও কেস?!

২০০৭ সালে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চন। বিয়ের দিন অভিনেত্রী যে পোশাক পড়েছিলেন তাঁর মধ্যে দামী শাড়ি কিংবা কোন গয়না নজর কেড়ে ছিল না। বরং নজর কেড়েছিল তাঁর সেই মঙ্গল সূত্র! অভিষেক বচ্চন ভালবেসে স্ত্রীয়ের গলায় পড়িয়ে দিয়েছিলেন ৪৫ লাখের মঙ্গলসূত্র। আর এই মঙ্গলসূত্র পড়েই অভিষেকের বউ হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এটি সামান্য একটি হারের মতো দেখতে হলেও হিন্দু মেয়েদের কাছে এটি হচ্ছে জীবনের অংশ। তবে অভিনেত্রী এই অংশকেই নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। আর একথা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন খোদ অভিনেত্রী । কেন তিনি এই মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে দিয়েছেন সেই নিয়ে  স্পষ্ট জানিয়েছেন। ঐশ্বর্য রাইয়ের মত……… এই মঙ্গলসূত্র যেমন দামী তেমনই ভারী। এই হারটি তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ কিছু পুঁথি দিয়ে এবং এর সাথে ছিল হিরের বড় লকেট। বিয়ের পর এই হার পড়ে তাকে বেশ কয়েকবার জনসম্মুখেও আসতে দেখা যায় । হারটি এতোটাই লম্বা ছিল যে পুরো পেট অবধি নেমে আসত। কিন্তু  অতিরিক্ত ভারী হওয়ার ফলে এই মঙ্গলসূত্র পড়ে থাকতে ঐশ্বর্য রাইয়ের বেশ সমস্যা হত। শুধু তাই নয় এত দামী হার পড়ে থাকার জন্য তিনি সর্বদা ভয়ে ভয়ে থাকতেন। চুরি হওয়ার ভয় তাকে তাড়া করে বেড়াত। কিন্তু একজন আয়স্থী স্ত্রীয়ের কাছে  যেহেতু এটি বিবাহিতের চিহ্ন তাই খুলেও রাখতে পারতেন না। এরপর আরাধ্যা হয়ে যাওয়ার পর সমস্যা আরও বেশি বাড়তে থাকে। তাই তিনি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন এই হারটি তিনি বিক্রি করে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ ! হারটি তিনি বেশ ভালো মূল্যেই বিক্রি করেন। তবে বিক্রি করে যে টাকা তিনি পান সেই টাকায় নতুন একটি মঙ্গলসূত্র তৈরি করেন। কিন্তু সেটি আগের তুলনায় ওজনে অনেক কম এবং লম্বায় অনেক ছোট। অভিনেত্রীর মতে , এই স্বল্প ওজনের মঙ্গলসূত্র পড়ে আরাম এবং তাঁর পোশাকের সাথেও বেশ মানানসই। নিজের সুবিধার কথা ভেবে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে  তিনি যে পুরোপুরি মঙ্গলসূত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছেন এমনটা নয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *