খোলা হাটে বিয়ের মঙ্গলসূত্র বিক্রি করলেন ঐশ্বর্য রায় !
খোলা হাটে বিয়ের মঙ্গলসূত্র
বিক্রি করলেন ঐশ্বর্য রায় !
স্বামী অভিষেকের শেষ চিহ্ন
টুকু বেচে দিলেন চড়া দামে !
গলা থেকে ধুয়ে মুছে
সাফ করে দিলেন ৪৫ লাখের মঙ্গলসূত্র !
কেন এমন করলেন
রাই সুন্দরী ?
তাহলে কি এবার দুজনে
ডিভোর্সের পথে !
দেখে নিন সেই বিষয়ে
বলিপাড়ার অন্দরে অন্দরে এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে বচ্চন পরিবার। অভিষেক বচ্চন থেকে শুরু করে ,ঐশ্বর্য রাই , জয়া বচ্চন সকলেই চর্চার হট কেক । ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম সর্বত্রই জায়গা করে নিয়েছে এই একটি পরিবার । আর নেট নাগরিকরাও সর্বদা মুখিয়ে থাকেন এই পরিবারের দিকে । বচ্চন পরিবারেরর সাস বাহুর ঝগড়া থেকে শুরু করে পতি-পত্নিকা লড়াই সবই রয়েছে আলোচনায়। আর এই আলোচনার ঘিয়ে আহুতি দিয়েছে খোদ ঐশ্বর্য রাই । এত দিন অভিষেক এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের সেপারাশন এবং ডিভোর্স নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শোনা গিয়েছে। এবার নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে ঐশ্বর্য রাইয়ের মঙ্গলসূত্রকে নিয়ে। নিজের বিয়ের মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে দিয়েছেন অভিনেত্রী, এমন খবরই উঠে আসছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। স্বামীর দেওয়া শেষ সম্বল টুকু কি না বেচে দিলেন। তবে কি এবার তাদের বিচ্ছেদের জল্পনায় শিলমোহর পড়তে চলেছে। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারংবার ।
২০০৭ সালে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই এবং অভিষেক বচ্চন। বিয়ের দিন অভিনেত্রী যে পোশাক পড়েছিলেন তাঁর মধ্যে দামী শাড়ি কিংবা কোন গয়না নজর কেড়ে ছিল না। বরং নজর কেড়ে ছিল তাঁর সেই মঙ্গল সূত্র। অভিষেক বচ্চন ভালবেসে স্ত্রীয়ের গলায় পড়িয়ে দিয়েছিলেন ৪৫ লাখের মঙ্গলসূত্র। আর এই মঙ্গলসূত্র পড়েই অভিষেকের বউ হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এটি সামান্য একটি হারের মতো দেখতে হলেও হিন্দু মেয়েদের কাছে এটি হচ্ছে জীবনের অংশ। তবে অভিনেত্রী এই অংশকেই নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আসলে এমনটা নয়………এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কাহিনী। তথ্যসুত্রে জানা গিয়েছে , এই মঙ্গলসূত্র যেমন দামী তেমনই ভারী। এই হারটি তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ কিছু পুঁথি দিয়ে এবং এর সাথে ছিল হিরের বড় লকেট। বিয়ের পর এই হার পড়ে তাকে বেশ কয়েকবার জনসম্মুখেও আসতে দেখা যায় । হারটি এতোটাই লম্বা ছিল যে পুরো পেট অবধি নেমে আসত । কিন্তু অতিরিক্ত ভারী হওয়ার ফলে গলায় এটি বেশিক্ষন রাখা যেত না। বিয়ের পর এই মঙ্গলসূত্র পড়ে থাকতে ঐশ্বর্য রাইয়ের বেশ সমস্যা হত। কিন্তু একজন আয়স্থী স্ত্রীয়ের কাছে এটি বিবাহিতের চিহ্ন তাই খুলেও রাখতে পারতেন না। এরপর আরাধ্যা হয়ে যাওয়ার পর সমস্যা আরও বেশি বাড়তে থাকে । তাই তিনি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন এই হারটি ভেঙ্গে নতুন একটি হার তৈরি করবেন । যেমন ভাবা তেমন কাজ ! তিনি ওই একই ডিজাইনের ওই রকম আরও একটি মঙ্গলসূত্র তৈরি করেন। কিন্তু সেটি আগের তুলনায় ওজনে অনেক কম এবং লম্বায় অনেক ছোট । কিন্তু পড়ে আরাম রয়েছে ! এছাড়া তাঁর পোশাকের সাথেও বেশ মানানসই। নিজের সুবিধার কথা ভেবে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি যে পুরোপুরি মঙ্গলসূত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছেন এমনটা নয়। বলিউডে কত গল্পই না শোনা যায় । তেমনই তাদের বিচ্ছেদ নিয়েও বেশ জমকালো কাহিনী রয়েছে। তবে সব কথা যে সত্য এমন কোন প্রমাণ নেই।
Leave a Reply