নওশাদ সিদ্দিকী ঠিক কি করতে চাইছেন? আইএসএফ নেতা কি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন?
নওশাদ সিদ্দিকী
ঠিক কি করতে চাইছেন?
আইএসএফ নেতা কি
টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন?
নাকি তৃণমূলের কাছে ভয় পেলেন?
নাকি বিজেপির সাথে সেটিং?
কোনটা?
কেন ডায়মন্ড হারবারে
নিজে দাড়ালেন না?
কোন পথে হাঁটছেন
ভাঙরের ভাইজান?
নওশাদ সিদ্দিকী……….. এই মুর্হুতে এই মানুষটিকে কেন্দ্র করে, বঙ্গ রাজনীতির কাঁটা ভন ভন করে ঘুরছে। নওশাদ এমন একজন ব্যক্তি, যার নাম শুনলেই চোখে ভাসে _ সাহসী, প্রতিবাদী, দৃঢ় একটি মুখ। সেই মুখ, যে মুখ বাংলার শাসক থেকে বিরোধীদের কঠোর কঠোর প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে পারে! যার প্রতিবাদী কণ্ঠকে দমানোর জন্য রাজ্যের শাসক শিবিরকে দিন রাত ভাবনা চিন্তা করতে হয়! এখন সেই মানুষটিকেই নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন! প্রশ্ন উঠছে নওশাদের সততা নিয়ে!
আপনারা জানেন যে, নওশাদ সিদ্দিকী আইএসএফ নেতা। আসন্ন লোকসভা ভোটে এই নওশাদকে কেন্দ্র করে একাধিক জল্পনা কল্পনা শোনা গিয়েছিল। যার মধ্যে সব থেকে বেশি চর্চায় ছিল, ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ সিদ্দিকী আইএসএফের পক্ষ থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন। অভিষেক ব্যানার্জিকে বধ করতে ভাঙ্গড়ের ভাইজান নওশাদ সিদ্দিকী সূক্ষ্ম রণনীতিও সাজিয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে সেই সমস্ত জল্পনা কল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ নওশাদ! যে ডায়মন্ড হারবারকে কেন্দ্র করে, বারে বারে নওশাদ সিদ্দিকীর নাম জড়িয়েছিল সেই ডায়মন্ড হারবারে তিনি তো দাঁড়াননি উল্টো কোনও প্রকার টু শব্দ না করেই মজনু লস্কর নামের এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে সেখানে। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা!
নওশাদ নিজে কেন ডায়মন্ড হারবারের মতন গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দাঁড়ালেন না? বিভিন্ন রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারে, দাঁড়াতেন, তাহলে অভিষেক ব্যানার্জীর চাপ অনেকটাই বেড়ে যেত? কোথাও গিয়ে অভিষেক ব্যানার্জীর ভোট ব্যাংকে প্রভাব পড়তো! নওশাদ সিদ্দিকী নিজেও এই বিষয়গুলো জানা সত্ত্বেও কেন ডায়মন্ড হারবারে নিজের ব্রহ্মাস্ত্র চালালেন না?! তবে কি কোথাও গিয়ে নওশাদ বাবু তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলালেন? নাকি তৃণমূলকে ভয় পেলেন? এমন প্রশ্ন কিন্তু উঠে আসছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। উল্লেখ্য ডায়মন্ড হারবার এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে একটি পাখির চোখ। এখান থেকেই ২০১৪ সালে অভিষেক ব্যানার্জি প্রথমবার ভোটে লড়েছিলেন। একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় ডায়মন্ড হারবার অভিষেক ব্যানার্জীর হাতের মুঠোয়! এই জায়গায় যদি আইএসএফের পক্ষ থেকে নওশাদ সিদ্দিকী দাঁড়াতেন তাহলে কিন্তু অভিষেক ব্যানার্জি ভালো রকমের প্রতিযোগিতা পেতেন। কিন্তু তেমনটা হল না!
এখানেই শেষ নয়, নওশাদের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে সেটিং তত্ত্বেরও প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। কেউ কেউ নওশাদের দিকে আঙ্গুল তুলে বলছেন বিজেপিকে সুযোগ পাইয়ে দিতেই নাকি নওশাদ এমন চাল চালছেন! তবে তৃণমূল বা বিজেপি নওশাদের দিকে, যে যাই অভিযোগ তুলুক না কেন! এই সমস্ত অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকর এক বাক্যে নাকচ করে দিয়েছেন আইএসএফ লিডার! তিনি সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তার অবস্থান। ডায়মন্ড হারবারে তিনি নিজে না দাঁড়ানোর পেছনে সংগঠনের পরিকল্পনার বলে উল্লেখ করেছেন।
Leave a Reply