IPL এর ৫টি Dark Secret, যা আপনাদের জানাতে চলেছি! এগুলো জানলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে

IPL এর ৫টি Dark Secret, যা আপনাদের জানাতে চলেছি! এগুলো জানলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে

IPL এর ৫টি Dark Secret,
যা আপনাদের জানাতে চলেছি!

আপনি হয়ত এখনো জানেন না!

এগুলো জানলে আপনার
মাথা ঘুরে যাবে!

বুঝাতে পারবেন _ কিভাবে?
কোথা থেকে, IPL এর টাকা আসে!

এই সিক্রেটগুলোর মধ্যেই
লুকিয়ে IPL এর সাংঘাতিক কালো অধ্যায়!

দেখুন

আইপিএলের সঙ্গে জড়িত প্রথম ডার্ক সিক্রেটটি হল, আইপিএলের পার্টি। আপনারা অনেকেই জানেন, IPL এর ম্যাচ শেষে, একটা বড়সড় পার্টি অর্গানাইজ করা হয়। সেই পার্টিতে সমস্ত প্লেয়াররা অংশগ্রহণ করেন। আর এই পার্টি থেকেই তৈরি হয় সাংঘাতিক সব কন্ট্রভারসি! আইপিএলের এই পার্টিগুলোকে নিয়ে অনেক কানাঘুষো শোনা যায়। তবে এই সমস্ত কানাঘুষোগুলোর মধ্যে সবথেকে আলোচিত হলেন রাহুল শর্মা। একবার এই তারকা ক্রিকেটার আইপিএলের ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের এক নামি হোটেল ধরা পড়েন। জানা যায়, হোটেলে বেশ কিছু সুন্দরীদের সঙ্গে তিনি নোংরা নেশা করছিলেন। তার পরেই আইপিএলের গায়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এমনকি এই ঘটনার শাস্তি স্বরূপ রাহুল শর্মাকে আইপিএল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় এই ঘটনা, ক্রিকেট জগতে সাংঘাতিক আলোড়ন ফেলে।

দ্বিতীয় কন্ট্রভারসিটি হল চিয়ার লিডার! আপনাদের আলাদা করে কিছু বলার নেই! আপনারা জানেন যে আইপিএলে দর্শক এবং ক্রিকেটারদের মনোরঞ্জন করার জন্য চিয়ার লিডারদের রাখা হয়। কোমর দুলিয়ে, নানা ধরনের অঙ্গ ভঙ্গি করে চিয়ার লিডাররা গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন। তবে এদের নিয়েও রয়েছে নানা ধরনের নোংরা কন্ট্রভারসি। বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যায়, শুধুমাত্র গ্যালারিতেই কোমর নাচান এমনটা নয়, মোটা টাকার বিনিময়ে এরা তারকা ক্রিকেটারদের সাথেও রাত কাটান। বহু নামজাদা তারকা ক্রিকেটাররা, চিয়ার লিডারদের সাথে রাত কাটিয়েছেন এমন তথ্য বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে।

আইপিএলের সবচেয়ে চর্চিত কন্ট্রভারসিটি হল কালো টাকা সাদা করা। আপনারা অনেকেই আইপিএলের কেচ্ছা কাহিনীতে শুনে থাকবেন,,, আইপিএলে কালো টাকা ঢালা হয়েছে! আইপিএল সংক্রান্ত আড্ডার ঠেকে এই কালো টাকার প্রসঙ্গ বহুবার ঘুরে ফিরে আসে। আইপিএলের সঙ্গে কালো টাকার যোগসূত্র প্রসঙ্গটি একেবারেই মিথ্যা নয়। আর এই কথা যে অক্ষর অক্ষরে সত্য, সেই বিষয়টি স্টিং অপারেশনে ধরা পড়ে। একবার এক স্টিং অপারেশনে আইপিএলেরই এক তারকা, নাম মণীশ মিশ্রা, তিনি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। সেখানেই তিনি রিপোর্টারকে জানান, তাকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয় , কিন্তু এর পর ফ্রাঞ্চাইজির তরফে বাকি ৭০ লাখ টাকা তাকে হাতে হাতে ক্যাশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ এখান থেকেই স্পষ্ট যে, সাদা টাকাটাই শুধু বৈধভাবে দেওয়া হয়েছে, আর বাকি কালো টাকাটা কেশে! এভাবেই আইপিএলে ক্রিকেটারদের কালো টাকা দেওয়া হয়! কি বন্ধুরা আপনাদের কি মনে হয়? অবশ্যই কমেন্ট করে জানান

এরপরেই যে কন্ট্রোভার্সির কথা বলব সেটি হলো ম্যাচ ফিক্সিং। খেলার দুনিয়ায় অত্যন্ত জঘন্য একটি আলোচ্য বিষয় হলো এটি। ম্যাচ ফিক্সিং এমন একটি অবৈধ কাজ, যার মধ্যে দিয়ে ক্রিকেটারদের নানা রকম ফাঁদে ফেলা হয়। ক্রিকেটারদের ফাঁদে ফেলে সম্পূর্ন ম্যাচটিকে কন্ট্রোল করা হয়। শুধুমাত্র এই ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগে ক্রিকেটার শ্রীশান্তকে আইপিএল থেকে আজীবনকালের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।

আইপিএল সম্পর্কে সবার শেষ যে কন্ট্রভার্সিটি হলো সেটি হল, আইপিএলের মূল লক্ষ্য! দেখুন আমরা প্রত্যেকেই জানি, আইপিএলের মূল লক্ষ্য সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করা। আইপিএল এর যিনি মূল উদ্যোক্তা তিনিও কিন্তু নিজের মুখে এই কথাটি বলেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে আইপিএল প্রতিভাবান ক্রিকেটার খোঁজার পরিবর্তে ব্যবসায়িক স্বার্থে সবথেকে বেশি নজর দিয়ে চলেছে! আইপিএল এখন ক্রিকেটের গুণগত মানের দিকে নজর না দিয়ে, বড় বড় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন। আইপিএলের ব্রডকাস্টিংগুলোর দেখে নজর রাখলেই লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময় টিভির পর্দা জুড়ে ঘুরে বেড়ায় বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *