অবশেষে অপেক্ষার অবসান! এখন থেকে খুবই সহজ চারধাম যাত্রা করা!

Title: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! এখন থেকে খুবই সহজ চারধাম যাত্রা করা! ট্রেনে চড়ে হুশ করে পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ!

Focus:

অবশেষে অপেক্ষার অবসান!

এখন থেকে খুবই সহজ
চারধাম যাত্রা করা!

ট্রেনে চড়ে হুশ করে
পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ!

সহজেই দর্শন করা
যাবে ভোলেবাবাকে!

আপনার ড্রিম ডেস্টিনেশন
এখন হাতের মুঠোয়!

রেলের কাজ প্রায়
শেষের পথে!

রেলমন্ত্রকের তরফে করা
হল বড়সড় ঘোষণা!

Body:

কেদারনাথ দর্শন এখন আরো সহজ! শুধু বসবেন চোখ বন্ধ করতে না করতেই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যস্থলে। তাও আবার ট্রেনে করে। কি শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়ই? মনে হচ্ছে গাঁজাখুরির গল্প বলছি। একদমই নয়, কারণ একথা একেবারেই সত্য। প্রতিনিয়ত পর্যকটকদের সুবিধার্থে ভারতীয় রেল দক্ষযজ্ঞ করছে। কখনো হিমালয়কে জয় করে সেখানে রেললাইন বিস্তার করে চলছে। তো আবার রাস্তার মান উন্নত করার জন্য একের পর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। যদি হিমালয়ের বুকের উপর দিয়ে রাস্তা কেটে কেটে সেবক-রংপো হিমালয়ান রেলওয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে সেখানে উত্তরাখণ্ডর উপর দিয়ে রেলপথ তৈরি করাও অসম্ভব কিছু নয়। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, রেলপথের কাজ প্রায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেই বিষয়ে খোলসা করে জানিয়েছে, রেলওয়ে মন্ত্রক।

সম্প্রতি মৌসুরিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার এই বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এখানকার রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এখনোও পর্যন্ত ৭০% কাজ সম্পূর্ণ। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পর্যন্ত রেললাইনের কাজ চলছে। এমনকি উত্তরাখণ্ডের এই রেলপ্রকল্পের জন্য সরকারের তরফ থেকে ১৬২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ পর্যন্ত ১২৫ কিলোমিটার অবধি রেলরুট তৈরি করা হবে। জানা গিয়েছে, এই রেলপ্রকল্পে ১২৫ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১০৫ কিলোমিটার রেল লাইন যাবে টানেলের ভিতর দিয়ে। তথ্যসূত্রে আরো জানা যায়, দেবপ্রয়াগ থেকে লাছমোলির মধ্যে ১৫.১ কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের মধ্যে এটি সবচেয়ে দীর্ঘতম রেল টানেল হতে চলেছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই রেল লাইনের মধ্যে দিয়ে ১৬টি প্রধান রেলসেতু এবং ৪টি ছোট রেলসেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।

তবে কি জানেন এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ২৮ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে। কারণ উত্তরাখণ্ডের রেল প্রকল্পের ইতিহাস বলছে, ১৯৯৬ সালে প্রথম এই রেল কাজের সমীক্ষা শুরু হয়। আর সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন সৎপাল মহারাজ। সেইসময় জমি জরিপের কাজ ছাড়া আর কোন কাজ হয়নি। সরকার বদলানোর কারণে সেই কাজ থেমে যায় । এরপর ২০১৪ সালে ভারত মোদি সরকারের আয়ত্তে আসলে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সাল থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছিল। আর এখন জানা যাচ্ছে ২০২৫ এর শেষের দিকে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

তবে এই রেললাইন চালু হয়ে গেলে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী থেকে বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের মত তীর্থস্থান গুলিতে সহজেই যাত্রা করা যাবে। এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হলেই আগে যেখানে কর্ণপ্রয়াগে পৌঁছাতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লেগে যেত। সেখানে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ ঘন্টা। এমনকি শুধু তীর্থযাত্রীদের জন্যই সুবিধা হবে না, সেই সাথে সেনাবাহিনী, সামরিক বাহিনীরাও বড়সড় সুবিধা পেতে চলেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *